সোমবার ৮ জুলাই, ২০২৪


ছবি: প্রতীকী। সংগৃহীত।

আমাদের মতো গ্রীষ্ম প্রধান দেশে প্রায় সারা বছরই তীব্র গরম, ঘাম আর রোদের প্রখর তেজের সঙ্গে লড়াই করতে হলে এপ্রিল, মে ও জুন, এই তিনটে মাস যেন দাবদাহের দাপটে মানুষজন নাজেহাল হয়ে পড়েন।

কখনও কোথাও লু বইছে তো কোথাও আবার বাতাসের আর্দ্রতা বেশি থাকার জন্য গরমের সঙ্গে সঙ্গে ঘেমে নিয়ে একসা অবস্থা। অতিরিক্ত ঘামের সঙ্গে দেহ থেকে জল ও ইলেকট্রোলাইটস বেরিয়ে গিয়ে ডিহাইড্রেশন, ক্লান্তি, অবসন্নভাব, চোখ মুখ অন্ধকার হয়ে যাওয়া, গলা ও বুক শুকিয়ে যাওয়া, প্রেসার ফল করা ইত্যাদি ছাড়াও বদহজম, ইউরিনারি ট্র্যাক ইনফেকশন, সর্দি কাশি, ভাইরাল ফ্লু এবং সানস্ট্রোকের সমস্যাও বেড়ে যেতে পারে। অগত্যা এই গরমকালে গরমের সঙ্গে মোকাবিলা করে ভালো থাকার জন্য ডায়েটের উপর বিশেষ নজর দেওয়া প্রয়োজন।
আমাদের মতো গ্রীষ্ম প্রধান দেশে প্রায় সারা বছরই তীব্র গরম, ঘাম আর রোদের প্রখর তেজের সঙ্গে লড়াই করতে হলে এপ্রিল, মে ও জুন, এই তিনটে মাস যেন দাবদাহের দাপটে মানুষজন নাজেহাল হয়ে পড়েন।

কখনও কোথাও লু বইছে তো কোথাও আবার বাতাসের আর্দ্রতা বেশি থাকার জন্য গরমের সঙ্গে সঙ্গে ঘেমে নিয়ে একসা অবস্থা। অতিরিক্ত ঘামের সঙ্গে দেহ থেকে জল ও ইলেকট্রোলাইটস বেরিয়ে গিয়ে ডিহাইড্রেশন, ক্লান্তি, অবসন্নভাব, চোখ মুখ অন্ধকার হয়ে যাওয়া, গলা ও বুক শুকিয়ে যাওয়া, প্রেসার ফল করা ইত্যাদি ছাড়াও বদহজম, ইউরিনারি ট্র্যাক ইনফেকশন, সর্দি কাশি, ভাইরাল ফ্লু এবং সানস্ট্রোকের সমস্যাও বেড়ে যেতে পারে। অগত্যা এই গরমকালে গরমের সঙ্গে মোকাবিলা করে ভালো থাকার জন্য ডায়েটের উপর বিশেষ নজর দেওয়া প্রয়োজন।
আরও পড়ুন:

ডায়েট ফটাফট: জেনে নিন নিয়মিত ব্রেকফাস্টে ওটস খাওয়ার ১০ উপকারিতা

এগুলো কিন্তু ঠিক নয়, পর্ব-২১: ক্যানসার মানেই মৃত্যু?

 

শাক-সব্জি

কুমড়ো, ঝিঙে, পটল, বেগুন, ঢেঁড়স, লাউ, চাল কুমড়ো, পেঁপে, উচ্ছে, ডাঁটা এবং বিভিন্ন ধরনের সবুজ পাতা জাতীয় শাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, মিনারেলস, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ফাইবার থাকে। গ্রীষ্মকালীন প্রায় সব ধরনের শকসব্জিতেই ক্যালরির পরিমাণ বেশ কম থাকে। কনসটিপেশন, বদহজম, ওবেসিটি ইত্যাদি সমস্যা কমাতে সাহায্য করে। তবে এ প্রসঙ্গে বিশেষ কিছু সব্জির গুণাগুণের কথা উল্লেখ না করলেই নয়। যেমন উচ্ছে বা করোলা ন্যাচারাল ইনসুলিন বুস্টার হিসেবে কাজ করে ও ফোঁড়া, র‍্যাশ, চুলকানি ইত্যাদি ত্বকের সমস্যা দূর করে। লাউ কুমড়ো, চাল কুমড়ো, পটল ইত্যাদি সব্জি অ্যা, বদহজম, হিটস্ট্রোক, হাই ব্লাড প্রেশার, হাই ব্লাড সুগার ও ডিহাইড্রেশন কমায়। রক্তের খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে বেগুন। ইউরিনারি ট্র্যাক ইনফেকশনে শসা ও লাউ বেশ উপকারী। ডায়াবেটিসে মেথিশাক ও অ্যানিমিয়ায় নোটেশাকের উপকারিতার কথা অনেকেই জানেন।

আরও পড়ুন:

বৈষম্যের বিরোধ-জবানি, পর্ব-২১: ষষ্ঠী ষাট ষাট ষাট ও সমৃদ্ধি কামনা

গা ছমছমে ভৌতিক উপন্যাস: মিস মোহিনীর মায়া, পর্ব-৩: এরকম ভুল হল কী করে? তবে কি আমাকে কিছুতে বশ করেছে?

 

দুধ ও দুধ জাতীয় খাবার

যাঁদের ল্যাকটোজ ইনটলারেন্স আছে তাঁরা গরুর দুধের বদলে আমন্ড মিল্ক, ওটস মিল্ক, রাইস মিল্ক, সোয়া মিল্ক ইত্যাদি খেতে পারেন। অন্যান্য ক্ষেত্রে দুধের বদলে দুই, ছানা, ঘোল, লো ফ্যাট পনির ইত্যাদি দিনে অন্তত কিছু পরিমাণে খেতে পারলে প্রোটিন, ভিটামিন ডি এবং ক্যালশিয়ামের চাহিদা পূরণ হয়।
 

মাছ মাংস ডিম

গরমকালে রেডমিট বা খুব বড় তৈলাক্ত মাছের বদলে ডায়েটে রাখুন চিকেন বা লিন ফিশ। এ সময়ে পুকুর বা নদীর তাজা মাছের পাতলা ঝোল, ফিশ বা চিকেন স্ট্যু, স্টিমড ফিশ, চিকেন স্যুপ, ডিম সেদ্ধ বা পোচ, কাঁচা আম বা ঝিঙে, পটল, ডাঁটা ইত্যাদি দিয়ে রাঁধা পাতলা মাছের ঝোল অত্যন্ত সহজপাচ ও পুষ্টিকর। ডিম সম্পর্কে একটা ভ্রান্ত ধারণা আছে যে, ডিম শরীর গরম করে। কিন্তু এটা একেবারেই ভুল ধারণা।
 

ডাল জাতীয় খাবার

গরমকালে মুগ, মসুর, অরহরড, ছোলা, বিউলি-সহ ধরনের ডাল কম তেল মশলা সহযোগে রান্না করে নিয়মিত খাওয়া উচিত। এতে প্রোটিন, ক্যালশিয়াম, আয়রন বিভিন্ন ধরনের ভিটামিনস এবং ডায়েটারি ফাইবার থাকায় বিভিন্ন অসুখ-বিসুখ প্রতিরোধে সাহায্য করে। এ সময়ে স্কুল, কলেজ, অফিসের টিফিন বা স্নাকস হিসেবে স্পাউটিস বা ছোলা, মটর, মুগ, রাজমা ইত্যাদি বেশ ভালো। নিরামিষাশীদের বিভিন্ন ধরনের ডাল ও সয়াবিন প্রোটিনের বেশ ভালো উৎসব।

আরও পড়ুন:

দশভুজা: যে গান যায়নি ভোলা— প্রাক জন্মদিনে তাঁর প্রতি বিশেষ শ্রদ্ধার্ঘ্য…/১

চলো যাই ঘুরে আসি: ইতিহাস যেখানে ঘুমিয়ে আছে

 

গরমে ভালো থাকার টিপস

এ সময়ে পর্যাপ্ত পরিমাণে জল ও জলীয় খাবার খান।

রাস্তার ধারের কাটা ফুল ও ফলের রস, আখের রস, রঙিন পানীয় ইত্যাদি বর্জন করুন।

কম ক্যালরির খাবার খান। দিনে চার-পাঁচ বার আহার করুন।

তাজা ফল ও গরমের শাকসব্জি পর্যাপ্ত পরিমাণে ডায়েটে রাখার চেষ্টা করুন।

চিনি ও চিনি জাতীয় খাবার, বেকারির নানা রকম মুখরোচক খাবার, স্যাচুরেটেড ফ্যাট ও ট্রান্সফ্যাটি অ্যাসিড যুক্ত খাবার, অতিরিক্ত তেল মশলাযুক্ত খাবার, ভাজাভুজি ও অতিরিক্ত প্রসেসড খাবার এড়িয়ে চলুন।

চলবে না অতিরিক্ত চা কফি কোলড্রিংস আইসক্রিম ও ক্যান্ট ফ্রুট জুস।

যোগাযোগ: ৯৮৩০২১৪৯৭১

* ডায়েট ফটাফট (Healthy Diet tips): শম্পা চক্রবর্তী (Shampa Chakrabarty), ডায়েট কনসালটেন্ট।

Skip to content