ছবি প্রতীকী, সংশ্লিষ্ট সংস্থার সৌজন্যে।
লাল আপেল সবুজ আপেলের থেকে অনেক বেশি জনপ্রিয়। কারণ এটি খেতেও বেশ মিষ্টি এবং সব জায়গাতেই পাওয়া যায়। তুলনামূলকভাবে সবুজ আপেল অতটা মিষ্টি নয় বরং কিছুটা টক স্বাদের। তাছাড়া সব জায়গায় পাওয়াও যায় না। লাল আপেলের খোসা সবুজ আপেলের থেকে বেশ মোটা। পুষ্টি দিক দিয়ে বিচার করলে লাল আপেলে মিষ্টি বেশি থাকায় এর মধ্যে চিনির পরিমাণ বেশি থাকে। তাছাড়া লাল আপেলে কার্বোহাইড্রেট বেশি, ফাইবার কম। অন্যদিকে সবুজ আপেলের কার্বোহাইড্রেট কম, ফাইবার বেশি। তাই যাঁরা অপেক্ষাকৃত কম ক্যালরির আপেল খেতে চান, তাঁদের পছন্দের তালিকায় শীর্ষে থাকতে পারে সবুজ আপেল। কিন্তু অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সবুজ আপেলের থেকে লাল আপেলে অনেক বেশি পরিমাণে থাকে। এটি আমাদের শরীরের কোষকে ভালো রাখতে সাহায্য করে। কোষকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে। এই অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট জাতীয় খাবার আমাদের শরীরের ফ্রি রেডিকেল কমিয়ে শরীর থেকে বেশিরভাগ দূষিত পদার্থ বের করে দেয়। এতে হৃদপিন্ড ভালো থাকে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। তাছাড়া লাল আপেলের তুলনায় সবুজ আপেলে প্রায় দ্বিগুণ পরিমাণ ভিটামিন-এ আছে। আমাদের চোখ ভালো রাখতে সাহায্য করে ভিটামিন-এ। এছাড়া লাল ও সবুজ আপেলের পুষ্টিগুণ প্রায় সমানই। তাই লাল বা সবুজ যেকোনও একটি আপেল আপনার প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রাখা উচিত।