শুক্রবার ২২ নভেম্বর, ২০২৪


ছবি প্রতীকী

বিজ্ঞাপনের দৌলতে আজকাল অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের নাম আমরা সবাই জানি। সুস্বাস্থ্যের জন্যে খুবই জরুরি একটি উপাদান। কিন্তু আসলে কী এই অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট? ডায়েটে এর ভূমিকা ঠিক কী? প্রতিদিন ঠিক কতটা করে প্রয়োজন? কোন কোন খাবারে পাওয়া যায়? এরকম কিছু জরুরি প্রশ্নের উত্তর জেনে নিন। অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হল এমন পদার্থ যা শরীরে প্রতিরোধের প্রতিক্রিয়া জাগিয়ে তুলতে সাহায্য করে। অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সাধারণত অক্সিডেটিভ রিঅ্যাকশন রোধ করে (তাই এর নাম অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট) ও অক্সিডেটিভ রিঅ্যাকশন-এর দ্বারা ফ্রি রাডিকালস উৎপন্ন হতে বাধা দেয়। কিছু অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট শরীরেই উৎপন্ন হয় আবার কিছু বাইরে থেকে সরবরাহ করতে হয়। যেহেতু খাদ্যের সঙ্গেই অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট যথেষ্ট ভাবে পাওয়া যায় তাই পরিপূরক এর প্রয়োজন প্রায় হয়ই না।

অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের কার্যকারিতা
মানুষের স্বাস্থ্যের ওপর অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের বিশেষ উপকারিতা আছে।
ত্বকের জন্য : ত্বকের জন্যে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট খুবই উপকারী কারণ এটি ত্বক কুচকে যাওয়া, ত্বকে বলিরেখা ও বয়সের অন্যান্য ছাপ আসাকে প্রতিরোধ করে।
চুলের জন্য: চুলের জন্যেও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট খুবই উপকারী। এটি চুল পড়ে যাওয়া ও চুলের অকালপক্বতা প্রতিরোধ করে চুলকে রক্ষা করে।
চোখের জন্য: ছানি পড়া বিলম্বিত করে।
মস্তিষ্কের জন্য: অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের জন্য মস্তিষ্কের স্নায়ুর ক্ষয় ও স্মৃতি লোপ পাওয়া প্রতিরোধ করে।
ওজন হ্রাসের জন্য: বিপাকে সহায়তা করে ও ওজন কমানোর প্রক্রিয়াতে সহায়তা করে।

রোগ প্রতিরোধে ভূমিকা
হার্টের অসুখের ঝুঁকি কম করে। কর্কট রোগ প্রতিরোধেও অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের ভূমিকা প্রমাণিত হয়েছে।

অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের স্বাস্থ্য উপযোগিতা
মনে রাখতে হবে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট কোনও রোগ নিরাময়কারী ওষুধ নয় বরং এটি শরীর সুস্থ রাখতে ও রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। এটাও ভুলে গেলে চলবে না যে শরীরে অতিরিক্ত অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের মাত্রাও কিন্তু বিপজ্জনক।

অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাদ্য
ডার্ক চকোলেট, ব্লু বেরি, স্ট্রবেরি, আর্টিচোক, কেল, রাস্প বেরি, গোজি বেরি, পালং শাক, বিট, বিনস, লেবু জাতীয় ফল ইত্যাদি।

অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সাপ্লিমেন্ট
অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সম্পূরক দ্রব্য হিসেবে ভিটামিন সি, ভিটামিন-ই, ক্যারোটিনয়েড যুক্ত খাদ্য ইত্যাদির নাম করা যেতে পারে।

পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
অতিরিক্ত বিটা ক্যারোটিন গ্রহণ করলে ক্যানসারের সম্ভাবনা বাড়তে পারে।
অতিরিক্ত ভিটামিন-ই গ্রহণ করলে হামারেজিক স্ট্রোকের ও একই সঙ্গে প্রোস্টেট ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে।
দীর্ঘকাল ধরে অতিরিক্ত মাত্রায় কৃত্রিমভাবে প্রস্তুত অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট গ্রহণ করলে শরীরে আরও নানা সমস্যার সৃষ্টি হয়।
তাহলে বোঝা গেল সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে আর রোগ প্রতিরোধে অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তেমনি আবার অতিরিক্ত অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও ক্ষতিকারক।

যোগাযোগ: ৮৯৬১৩৯২৫০৬

Skip to content