ছবি প্রতীকী, সংশ্লিষ্ট সংস্থার সৌজন্যে।
দৈনন্দিন বাজারে ছড়াছড়ি, চাইলেই হাতের কাছে পাই এমন সহজলভ্য একটি ফল হল আমলকী। কিন্তু আমরা কজন এর ভেষজগুণ সম্পর্কে অবগত? এর ভেষজগুণ এতটাই বেশি যে একে ধন্বন্তরি ফল বললেও খুব একটা ভুল হবে না। তাই প্রত্যেকদিনের খাদ্যতালিকায় আমলকী আপনাকে রাখতে পারে সুস্থ আর ফিট।
জেনে নিই ১০০ গ্রাম আমলকীর পুষ্টিগুণ ঠিক কত
● ভিটামিন সি ৬০০ মিলিগ্রাম
● ভিটামিন-এ ৯ মাইক্রোগ্রাম
● সোডিয়াম ৫০ মিলিগ্রাম
● পটাশিয়াম ২২৫ মিলিগ্রাম
● ক্যালশিয়াম ৫০ মিলিগ্রাম
● ফসফরাস ২০ মিলিগ্রাম
● আয়রন ১.২ মিলিগ্রাম
● প্রোটিন ০.৫ গ্রাম
● ফ্যাট ০.১ গ্রাম
● ফাইবার ৩.৪ গ্রাম
● খাদ্যশক্তি ৫৮ কিলোক্যালোরি।
উপকারিতা
● আমলকী ভিটামিন-সি-এর সর্বোৎকষ্ট উৎস। আর ভিটামিন-সি একটি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট যা দেহকোষের ক্ষয় রোধ করে মানবদেহের স্বাভাবিক বার্ধক্যকে বিলম্বিত করে। এটি ত্বকের কোলাজেন প্রোটিনকে ক্ষয় হতে বাধা দেয়।
● এটি চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। কিছু পরীক্ষায় দেখা গেছে আমলকী চুল ঝরে পড়ার জন্য দায়ী এনজাইমকে প্রতিহত করে যা চুল ঝরে পড়তে বাধা দেয়।
● এটি চোখের সুস্বাস্থ্য বজায় রেখে বার্ধক্যজনিত চোখের সমস্যার থেকে আমাদের সাহায্য করে।
● মানবদেহের লিপিড প্রোফাইলকে সঠিক মাত্রায় বজায় রাখতে আমলকীর অবদান অনেক। এটি রক্তে ট্রাইগ্লিসারাইড ও খারাপ কোলেস্টেরলl যেমন এলডিএল (Low Density Lipoprotein), ভিএলডিএল (Very Low Density Lipoprotein)-এর মাত্রা কমিয়ে ও ভালো কোলেস্টেরলl অর্থাৎ এইচডিএল (High Density Lipoprotein)-এর মাত্রা বাড়িয়ে রক্তে ফ্যাট-এর স্বাভাবিক মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।
● ব্লাড প্রেশার কমাতে খুবই উপকারী এই আমলকী। আমলকী ‘ভাসোডিলেটর’-এর কাজ করে অর্থাৎ রক্তনালীকে সম্প্রসারিত করে স্বাভাবিক রক্তপ্রবাহ বজায় রেখে উচ্চ রক্তচাপকে হ্রাস করে হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
● রক্তপ্রবাহে রক্তকে জমাট বাঁধতে দেয় না ফলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব।
● ঘরোয়া পদ্ধতিতে ডায়াবেটিসকে নিয়ন্ত্রণ করতে আমলকী অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি ইনসুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে ব্লাড সুগারের মাত্রা (fasting ও Post Prandial) স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে।
● দেহে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস বাড়লে (ফ্রি রেডিক্যাল-এর মাত্রা বৃদ্ধি) আমলকীতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট তা অপসারণ করে বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করে আমাদের সুস্থ রাখে।
● ১০০ গ্রাম আমলকীতে দৈনিক চাহিদার ৫০০% এর বেশি ভিটামিন সি বা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকায় এটি ইমিউনিটি বাড়িয়ে বিভিন্ন রোগের প্রকোপ থেকে আমাদের রক্ষা করে।
● ভিটামিন-সি ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট-এর পাশাপাশি ট্যানিন ও ফ্ল্যাভোনয়েডস থাকায় ম্যালিগন্যান্ট সেল-এর মিউটেশন প্রতিরোধ করে ক্যানসার রোগের ঝুঁকি কমায়।
● আমলকীতে ফাইবার (Insoluble fiber)-এর পরিমাণ বেশি থাকায় এটি মল গঠনে ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূরীকরণে সহায়ক এবং সলিউবল ফাইবার-এর পরিমাণ বেশি থাকায় এটি খাবার ধীরে ধীরে হজম হতে ও পেট ভর্তি ভাব বজায় রেখে ক্ষুধা নিবারণ করে ওজন কমাতেও আমাদের সাহায্য করে এবং এর ক্যালোরি মাত্রাও খুব কম তাই প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় এর গুরুত্ব অনেক।
কীভাবে খাবেন
আমলকী স্বাদে মিশ্র। টক ও তেতো স্বাদের তাই এটি কাঁচা তো খাওয়া যায়ই আর যাঁরা খেতে পারেন না তাঁরা আমলকীর মোরব্বা, আমলকীর রস, আমলকী পাউডার, আমলা ক্যান্ডি, আমলকীর আচার বিভিন্নভাবে এটি রোজকার খাদ্যতালিকায় অনায়াসেই আমরা রাখতে পারি।
কতটা পরিমাণ খাবেন
দিনে ১-২টি আমলকী খাওয়া যায়। পরিমাণের বেশি খেলে অ্যাসিডিটির সমস্যা, পেটে ব্যথা ইত্যাদি হতে পারে৷
যাঁরা খেতে পারবেন না: যদি কারও এলার্জিজনিত সমস্যা থাকে তাঁরা অবশ্যই এড়িয়ে চলবেন। যাঁরা কিডনির রোগে ভুগছেন বা যাঁরা পটাশিয়াম রেস্ট্রিক্টেড ডায়েটে আছেন তাঁরা অবশ্যই আমলকী খাবেন না কারণ এতে পটাশিয়ামের পরিমাণ অনেকটাই বেশি থাকে। এটি একটি অ্যাসিডিক ফল তাই এটি খেলে কারওর অ্যাসিডিটির সমস্যা হলে তাঁরা অবিলম্বে এড়িয়ে চলতে পারেন।
আমলকী স্বাদে মিশ্র। টক ও তেতো স্বাদের তাই এটি কাঁচা তো খাওয়া যায়ই আর যাঁরা খেতে পারেন না তাঁরা আমলকীর মোরব্বা, আমলকীর রস, আমলকী পাউডার, আমলা ক্যান্ডি, আমলকীর আচার বিভিন্নভাবে এটি রোজকার খাদ্যতালিকায় অনায়াসেই আমরা রাখতে পারি।
দিনে ১-২টি আমলকী খাওয়া যায়। পরিমাণের বেশি খেলে অ্যাসিডিটির সমস্যা, পেটে ব্যথা ইত্যাদি হতে পারে৷
যাঁরা খেতে পারবেন না: যদি কারও এলার্জিজনিত সমস্যা থাকে তাঁরা অবশ্যই এড়িয়ে চলবেন। যাঁরা কিডনির রোগে ভুগছেন বা যাঁরা পটাশিয়াম রেস্ট্রিক্টেড ডায়েটে আছেন তাঁরা অবশ্যই আমলকী খাবেন না কারণ এতে পটাশিয়ামের পরিমাণ অনেকটাই বেশি থাকে। এটি একটি অ্যাসিডিক ফল তাই এটি খেলে কারওর অ্যাসিডিটির সমস্যা হলে তাঁরা অবিলম্বে এড়িয়ে চলতে পারেন।