শনিবার ১৮ জানুয়ারি, ২০২৫


ছবি: প্রতীকী।

রেস্তরাঁতে পেটপুজোর পর মৌরি খেতে দেওয়া হয়। মৌরি হজমে সাহায্য করে। হালকা মিষ্টি স্বাদের এই মৌরি শুধু মুখশুদ্ধি হিসাবেই নয়, রান্নাতেও ব্যবহার করা হয়। শুধু মৌরি চিবিয়ে খেলেই যে এর উপকার পাওয়া যায় তা নয়, মৌরি-জলও সমান উপকারী। মৌরি ভেজানো জল বানানো খুবই সহজ। এক চামচ কাঁচা মৌরি ভালো করে ধুয়ে নিন। এবার এক গ্লাস জলের মধ্যে পরিষ্কার করে রাখা মৌরি ভিজিয়ে সারা রাত রেখে দিন। পর দিন সকালে উঠে জল ছেঁকে নিয়ে খালি পেটে পান করুন। দেখবেন, উপকার পাবেন।

মৌরি কেন খাবেন?

পিরিয়ডের সমস্যা দূর করে

প্রত্যেক মেয়েদেরই পিরিয়ডের সময় কমবেশি তলপেটে এবং কোমরে যন্ত্রণা হয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে মৌরি-জল বা মৌরির চা খাওয়া যেতে পারে। কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়ায় পিরিয়ডের সময়ের যন্ত্রণা কমাতে সাহায্য করে এই পানীয়।

আরও পড়ুন:

সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-৭৯: সুন্দরবনের পাখি: টুনটুনি

শ্যাম বেনেগল সাদাকে সাদা আর কালোকে কালো বলতে পারতেন

হজমের সমস্যায়

মৌরি ভেজানো জল হজম ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এই পানীয় বেশ কিছু এনজাইম নিঃসরণে সাহায্য করে, যা গ্যাস অম্বল ও বিভিন্ন পেটের সমস্যা সহজেই দূর করতে সাহায্য করে।

আরও পড়ুন:

ত্রিপুরা: আজ কাল পরশুর গল্প, পর্ব ৪৩: বীরবিক্রম ত্রিপুরায় শিক্ষা সম্প্রসারণে বহুমুখী উদ্যোগ নিয়েছিলেন

গল্পকথায় ঠাকুরবাড়ি, পর্ব-১০৪: আশ্রমের আনন্দময় পিকনিক

অতিরিক্ত মেদ ও ওজন ঝরাতে

মৌরি আমাদের মেটাবলিজমকে ভালো করতে সাহায্য করে। তাই প্রতিদিন খালি পেটে মৌরি জল খেলে ওজন কমাতে ভীষণভাবে সাহায্য করে।

আরও পড়ুন:

মহাকাব্যের কথকতা, পর্ব-৯৫: বিরোধিতায় নয়, মৈত্রীবন্ধনেই রয়েছে পারিবারিক ও রাজনৈতিক সমস্যার সমাধানসূত্র

উত্তম কথাচিত্র, পর্ব-৫৯: হারিয়ে যাওয়ার ‘জীবন তৃষ্ণা’

উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে

মৌরিতে যেহেতু প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম রয়েছে, তাই যাঁদের হাই ব্লাড প্রেশারের সমস্যা রয়েছে তাঁরা নিয়মিত মৌরি ভেজানো জল পান করতে পারে। এতে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা ধীরে ধীরে কমে যাবে।

আরও পড়ুন:

দশভুজা, সরস্বতীর লীলাকমল, পর্ব-৪৮: প্রতিভা দেবী—ঠাকুরবাড়ির সরস্বতী

গল্পবৃক্ষ, পর্ব-১১: কাঁটার মুকুট

টক্সিন বের করে দেয়

মৌরির জল আমাদের শরীর থেকে সহজেই টক্সিন বার করে দেয়। তাই ব্লাড পিউরিফায়ার হিসেবে খুব ভালো কাজ করে মৌরির জল। সেই সঙ্গে আমাদের ত্বকেও ভালো রাখে।

যোগাযোগ: ৯৮৩০৭৬৮১৫২

* হেলদি ডায়েট (Healthy Diet): সুতনুকা পাল (Sutanuka Paul), পুষ্টিবিদ, ডায়েট-টু-ফাইট।/strong>

Skip to content