সোমবার ২৫ নভেম্বর, ২০২৪


"তিমির লয় হল দীপ্তিসাগরে"

প্রায় কুড়ি মাসের শীতঘুম কাটিয়ে এই যে আলোয় ফিরল আমাদের ভবিষ্যনিধিরা, এমন অনভিপ্রেত দীর্ঘ অদর্শনে ওদের ঈষৎ বড় হয়ে ওঠা চুল, চোখ আর মনের কোথাও যেন কী এক ত্রাসের পাথরকুচি লেগে এখনও।

একেবারেই ছোট্টগুলো, যারা সব চিনির ড্যালা, গুড়ের পাটালিপ্রায়— বলেই ফেলছে, ‘সবসময়ই মাস্ক পোরো দিমিনি, নইলে ফের আমাদের ঘরে বসে থাকতে হবে।’

চমকে উঠে একখানার ‘পরে আর একখানা মুখবন্ধনী আঁটি। ধোয়া হাতে ফের সাবান-স্যানিটাইজার ঘষি।আর না আর নাআআ, বাপরে! প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই মনে হয়, তাই তো— আমরাই যে সবজান্তার দল, এমন বোকাভাবনা মাথায় পুষলাম কী করে?

উত্তর আসে, আসলে বহুদিন এইসব খুদে সংশোধনীর শাসন জোটেনি কিনা! প্রাক্ প্রাথমিকের একটি একটি পাপড়িমোচিত পদ্মকুঁড়ির থেকে দ্বাদশের পূর্ণদল সহস্রার–— ওরাই তো আমাদের সত্যিকারের অভিভাবক!

ফের কদ্দিন বাদে একসঙ্গে পড়ব নতুনপাঠ, খেলব পড়া পড়া খেলা আর শরীরগত জন্ম না দিয়েও বর্ষে বর্ষে দলে দলে বিদ্যামঠতলে ধেয়ে আসা ছাত্রধারায় অভিসিঞ্চিত জননান্তর সৌহৃদানির মন্ত্রে পাব মাতৃত্বের স্বাদ।

"তোমায় আমায় মিলে এমনি বহে ধারা"

কাগজে কলমে সম্পর্কের হিসেবটা যাই থাকুক গে, আমার পেশার প্রায় সব মাস্টারমশাই-দিদিমণিরা আজ ফিরিয়ে পাওয়া সন্তানের সান্নিধ্যে মশগুল। দিনশুরুর প্রার্থনাসভায় লেগেছে সেই খুশিয়াল রোদ্দুরটুকু—’ওঁ পিতা নো অসি’-র চিরচেনা সুরে।

আহা!
‘তুমি আমাদের পিতা
তোমায় পিতা বলে যেন জানি
তোমায় নত হয়ে যেন মানি
তুমি কোরো না কোরো না রোষ!’

Skip to content