সোমবার ২৫ নভেম্বর, ২০২৪


ছবি প্রতীকী, সংশ্লিষ্ট সংস্থার সৌজন্যে

আমার প্রিয় ছাত্রছাত্রীরা, তোমরা সকলেই জানো, বেদভিত্তিক ভারতীয় দর্শন দুটি ভাগে বিভক্ত। ১. আস্তিক দর্শন ও ২. নাস্তিক দর্শন। ভারতীয় দর্শনে ‘আস্তিক’ বলতে তাঁদেরই বোঝায় যাঁরা বেদকে প্রমাণ বলে স্বীকার করেন অর্থাৎ যাঁরা বেদের জীবনচর্যা ও বৈদিক দৃষ্টিভঙ্গিতে বিশ্বাসী আর যাঁরা বেদকে প্রমাণ বলে স্বীকার করেন না, যাঁরা বৈদিক জীবনচর্যা ও দৃষ্টিভঙ্গিতে বিশ্বাসী নন, তাঁরা নাস্তিক বলে অভিহিত হন। বেদবিরোধী তিনটি নাস্তিক ভারতীয় দর্শন সম্প্রদায় হল চার্বাক, বৌদ্ধ ও জৈন। ন্যায়, বৈশেষিক, সাংখ্য, যোগ, মীমাংসা ও বেদান্ত বেদের প্রামাণ্যে বিশ্বাসী হওয়ায় আস্তিক দার্শনিক এই সুপ্রসিদ্ধ আস্তিক ষড়দর্শনের মধ্যে ন্যায়দর্শন অন্যতম।

মহর্ষি গৌতম হলেন ন্যায়দর্শনের প্রবক্তা। গৌতম প্রণীত ‘ন্যায়সূত্র’ ন্যায়দর্শনের প্রথম গ্রন্থ। এই ‘ন্যায়সূত্র’ গ্রন্থের ভাষ্য (সূত্রকারের অতি সংক্ষিপ্ত সূত্রের প্রাথমিক ব্যাখ্যাকে ভাষ্য বলে) রচনা করেন মহর্ষি বাৎস্যায়ন। মহর্ষি গৌতম তাঁর ‘ন্যায়সূত্র’ গ্রন্থের প্রথম আহ্নিকের প্রথম সূত্রে ষোলোটি পদার্থের যথাযথ জ্ঞানের দ্বারা নিঃশ্রেয়স বা মুক্তিলাভের কথা বলেছেন। এই ষোলোটি পদার্থ হল— ১. প্রমাণ, ২. প্রমেয়, ৩. সংশয়, ৪. প্রয়োজন, ৫. দৃষ্টান্ত, ৬. সিদ্ধান্ত, ৭. অবয়ব, ৮. তর্ক, ৯. নির্ণয়, ১০. বাদ, ১১. জল্প, ১২. বিতণ্ডা, ১৩. হেত্বাভাস, ১৪. ছল, ১৫. জাতি, ১৬. নিগ্রহস্থান। এই ষোলোটি পদার্থের মধ্যে প্রথমটি হল প্রমাণ। প্রমাণ হল প্রমার যা করণ বা অসাধারণ কারণ। ‘প্রমা’ শব্দের অর্থ যথার্থ জ্ঞান। যেমন রজ্জুকে রজ্জু বলে জানা সর্প বলে না জানা হল যথার্থ জ্ঞান । এরূপ যথার্থ জ্ঞানের করণ হল প্রমাণ। ন্যায়দর্শনে চারটি প্রমাণ স্বীকৃত। যথা—প্রত্যক্ষ, অনুমান, উপমান ও শব্দ। আমাদের আলোচ্য বিষয় অনুমান। ‘অনু’ শব্দের অর্থ হল পশ্চাৎ আর ‘মান’ শব্দের অর্থ হল জ্ঞান। যে প্রমাণটি একটি প্রমাণের পর বা প্রত্যক্ষ প্রমাণের পর কার্যকরী হয়—তাই অনুমান প্রমাণ। অনুমান প্রমাণের ফল হল অনুমিতি। অবশ্য প্রত্যক্ষ জ্ঞানের পর যেকোনও জ্ঞানকেই অনুমিতি বলা যায় না। শব্দশ্রবণ করে যে শাব্দবোধ হয়, তাকেও তাহলে অনুমিতি বলতে হয়। কিন্তু শাব্দবোধ অনুমিতি নয়। তাই প্রত্যক্ষপূর্বক বললে প্রত্যক্ষবিশেষকেই বুঝতে হবে। মহর্ষি গৌতম বলেছেন—’অথ তৎপূর্বকমনুমানম্’ (ন্যায়সূত্র, মহর্ষি গৌতম, ১/১/৫)। এক্ষেত্রে ‘তৎ’ বলতে তিনি প্রত্যক্ষবিশেষকেই বুঝিয়েছেন। ভাষ্যকার বাৎস্যায়ন বলেছেন— ”তৎপূর্বক’ এই পদের দ্বারা লিঙ্গ (হেতু) ও লিঙ্গির (সাধ্যের) সম্বন্ধের প্রত্যক্ষ, লিঙ্গের প্রত্যক্ষ এবং সেই সম্বন্ধবিশিষ্ট লিঙ্গ ও লিঙ্গীর প্রত্যক্ষের দ্বারা সেই লিঙ্গের স্মরণরূপ জ্ঞান অভিপ্রেত’ (ন্যায়পরিচয়, ৮ম অধ্যায়)। ন্যায়বার্তিক উদ্যোতকর এই ‘তৎ’ বলতে পরামর্শকে বা লিঙ্গপরামর্শকে বুঝিয়েছেন। নব্যনৈয়ায়িক অন্নংভট্ট অনুমিতির লক্ষণ প্রসঙ্গে বলেছেন—’পরামর্শজন্যং জ্ঞানমনুমিতিঃ’ (তর্কসংগ্রহ, নারায়ণচন্দ্র গোস্বামী), অর্থাৎ পরামর্শজন্য যে জ্ঞান উৎপন্ন হয়, তাই অনুমিতি। অনুমিতি হতে গেলে তিনটি জ্ঞান আবশ্যক—
১. পক্ষধর্মতাজ্ঞান, ২. ব্যাপ্তিজ্ঞান, ৩. পরামর্শজ্ঞান

এই আলোচনার পূর্বে তোমাদের হেতু ,সাধ্য এবং পক্ষ সম্বন্ধে জানা প্রয়োজন।যেখানে কিছু অনুমান করা হয় তা পক্ষ।যা অনুমান করা হয় তা সাধ্য। যার দ্বারা অনুমান করা হয় তা হেতু। যেমন—পর্বতে ধোঁয়া দেখে যখন অনুমান করা হয় পর্বতে আগুন আছে। তখন পর্বত পক্ষ, আগুন—সাধ্য ধূম হল হেতু।

এবার বলি, পক্ষধর্মতাজ্ঞান কাকে বলে? পক্ষে হেতুর অবস্থিতির জ্ঞান হল পক্ষধর্মতা জ্ঞান। প্রথমে পর্বতে ধূম দেখা যায় অর্থাৎ পর্বতরূপ পক্ষে ধূমরূপ হেতুর অবস্থিতির জ্ঞানই হল পক্ষধর্মতা জ্ঞান। এরপর স্মরণ হয় যেখানে যেখানে ধূম (হেতু) সেখানে সেখানে বহ্নি (সাধ্য)। যেমন—রান্নাঘর। এরূপ হেতু ও সাধ্যের নিয়ত সহচার অবস্থানের জ্ঞানই হল ব্যাপ্তিজ্ঞান। এরপর জ্ঞান হয় সাধ্য বহ্নি দ্বারা ব্যাপ্য হেতু ধূম পক্ষ পর্বতে আছে। এই জ্ঞানই পরামর্শ জ্ঞান। বহ্নি ব্যাপক কারণ তা ধূম অপেক্ষা অধিক স্থানে থাকে। অর্থাৎ ধূম ছাড়া বহ্নি থাকতে পারে কিন্তু ধূম বহ্নি ছাড়া থাকতে পারে না ।তাই ধূম ব্যাপ্য। এরূপ ব্যাপ্য ধূম পক্ষ পর্বতে আছে—এমন জ্ঞানই পরামর্শজ্ঞান। এই পরামর্শ জ্ঞানের পরেই ‘পর্বত বহ্নিমান’ এরূপ অনুমিতি হয়।

অবশ্য অন্নংভট্ট তর্কসংগ্রহে অনুমিতির যে লক্ষণ নির্দেশ করেছেন দীপিকাটীকায় তার বিরুদ্ধে বলা হয়—পরামর্শের ফলে যে জ্ঞান উৎপন্ন হয়—তাকে অনুমিতি বলা হলে লক্ষণটিতে অতিব্যাপ্তির সম্ভাবনা (অলক্ষ্যে লক্ষণের গমন) দেখা দেয়। কারণ সংশয়ের পরে উৎপন্ন যে প্রত্যক্ষ, সেই সংশয়োত্তর প্রত্যক্ষে লক্ষণটি প্রযোজ্য হয়ে যাওয়ায় অতিব্যাপ্তি দোষের আশঙ্কা দেখা দেয়।

এখন প্রশ্ন হল, এই সংশয়োত্তর প্রত্যক্ষ বলতে কী বোঝায়? কোনও ব্যক্তি হয়তো দূর থেকে কোনও বস্তু দেখে বুঝতে পারছে না বস্তুটি বৃক্ষকাণ্ড না পুরুষ? উভয়েরই সাধারণ ধর্ম ঊর্ধ্বতা। যদি কেবলমাত্র সাধারণ ধর্মের জ্ঞান হয়—বিশেষ দর্শন না ঘটে—তাহলে সংশয় থেকে যায়। স্থাণুর (বৃক্ষকাণ্ড) বিশেষ দর্শন হল স্থাণুত্বব্যাপ্য বল্কল, কোটর, বক্রতাদির দর্শন। পুরুষের বিশেষ দর্শন হল মানুষ্যত্বব্যাপ্য হস্তপদাদির দর্শন। দূরত্ববশত ব্যক্তিটির সাধারণ ধর্মের জ্ঞান হলেও বিশেষ দর্শন ঘটেনি। ব্যক্তিটি নিকটে গিয়ে মনুষ্যত্বব্যাপ্য হস্তপদাদি দর্শন করলেন। ফলে তাঁর সংশয় দূর হয়ে এই বোধ হল যে—এটি বৃক্ষকাণ্ড নয়, মানুষ। এই বোধকেই দীপিকাটীকায় সংশয়োত্তর প্রত্যক্ষ বলে অভিহিত করা হয়েছে। মানুষ্যত্বব্যাপ্য হস্তপদাদিমান্ অয়ম্—রূপ সংশয়োত্তর প্রত্যক্ষ পরামর্শজন্য উৎপন্ন। আবার অনুমিতি ও পরামর্শজন্য উৎপন্ন জ্ঞান। ফলে সংশয়োত্তর প্রত্যক্ষকেও অনুমিতি বলতে হয়। কিন্তু তা অনুমিতি নয়। সংশয়োত্তর প্রত্যক্ষ যে প্রত্যক্ষাত্মক—তা অনুব্যবসায় দ্বারা জানতে পারি। সুতরাং, সংশয়োত্তর প্রত্যক্ষে পরামর্শের লক্ষণ প্রযোজ্য হয়ে যাওয়ায় অনুমিতির লক্ষণে অতিব্যাপ্তি ঘটে।

তাই দীপিকাটীকায় অনুমিতির লক্ষণটিকে সংশোধিত করা হয়েছে এবং বলা হয়েছে—পক্ষতাসহকৃত পরামর্শজ্ঞানই হল অনুমিতি। সংশয়োত্তর প্রত্যক্ষ পরামর্শজন্য হলেও পক্ষতাসহকৃত পরামর্শজন্য নয়। সুতরাং, সংশয়োত্তর প্রত্যক্ষ অনুমিতি নয়। তাই সংশয়োত্তর প্রত্যক্ষে অনুমিতির সংশোধিত লক্ষণটি প্রযোজ্য না হওয়ায় অনুমিতির লক্ষণে অতিব্যাপ্তির আশঙ্কা দূরীভূত হল।

প্রশ্ন ওঠে, পক্ষতা বলতে কী বোঝায়? পক্ষ হল এমন আধার যেখানে সাধ্যকে সংশয় করা হয়। কোনও আধারে সাধ্যকে নিশ্চিতভাবে সিদ্ধ করতে হলে আধারটির পক্ষ হবার যোগ্যতা থাকা দরকার। বিষয়টির পক্ষ হবার যোগ্যতা নির্ভর করে বিশেষ অবস্থার উপর। বিশেষ অবস্থাটি হল অনুমান করার ইচ্ছার অভাববিশিষ্ট যে সিদ্ধি—তার অভাব। তাই তর্কসংগ্রহে পক্ষতার লক্ষণ দেওয়া হয়েছে—’সিষাধয়িষাবিরহসহকৃত সিদ্ধ্যভাবঃ পক্ষতা’ (তর্কসংগ্রহ, শ্রীনারায়ণচন্দ্র গোস্বামী)। ‘সিষাধয়িষা’ বলতে বোঝায় অনুমান করার ইচ্ছা, ’সিষাধয়িষাবিরহ’ হল অনুমান করার ইচ্ছার অভাব। পক্ষে সাধ্যের সিদ্ধি হয়ে থাকলে অনুমান করার ইচ্ছা থাকে না, ফলে পক্ষতা থাকে না, অনুমিতিও হয় না। তবে সিদ্ধি থাকলেও যদি সিষাধয়িষা থাকে, তাহলেও অনুমিতি হয়। আসলে অনুমান করার ইচ্ছা হল উত্তেজক। সিদ্ধি তখনই অনুমিতির প্রতিবন্ধক হয়, যখন অনুমান করার ইচ্ছার অর্থাৎ উত্তেজকের অভাব থাকে। অর্থাৎ উত্তেজকের অভাববিশিষ্ট যে প্রতিবন্ধক তার অভাবই কার্যের কারণ। সুতরাং, অনুমিতিরূপ কার্যের কারণ হল অনুমান করার ইচ্ছার অভাববিশিষ্ট পক্ষে সাধ্যের সিদ্ধির অভাব।

একটি দৃষ্টান্তের দ্বারা বিষয়টিকে সরলভাবে বোঝানো যায়। অগ্নি দহন করে। চন্দ্রকান্তমণি নামক একপ্রকার মণির সংস্পর্শে এলে অগ্নি দহন করবে না। অতএব চন্দ্রকান্তমণি হল দহনের প্রতিবন্ধক। আবার সূর্যকান্তমণি নামক আরেকটি মণি আনলে চন্দ্রকান্তমণি থাকলেও দহন হবে। অতএব সূর্যকান্তমণি হল উত্তেজক। এখন সূর্যকান্তমণি অর্থাৎ উত্তেজকের অভাববিশিষ্ট চন্দ্রকান্তমণি অর্থাৎ প্রতিবন্ধকের অভাব হল অগ্নির দহনের কারণ। ঠিক তেমনি অনুমান করার ইচ্ছার অভাববিশিষ্ট অর্থাৎ উত্তেজকের অভাববিশিষ্ট পক্ষে সাধ্যের সিদ্ধির অভাব অর্থাৎ প্রতিবন্ধকের অভাবই হল পক্ষতা। এই পক্ষতা থাকলেই অনুমিতি হয়। যেমন—

চন্দ্রকান্তমণি উপস্থিত থাকলেও যদি সূর্যকান্তমণি থাকে তাহলে যেমন অগ্নির দহনকার্য হবে তেমনি ‘পর্বতে বহ্নি আছে’ —নিশ্চিতভাবে এটি জানা থাকলেও কোনও ব্যক্তির অনুমান করার ইচ্ছা থাকলে বা অপরের সাধ্য সংশয় নিমিত্তপূর্বক অনুমান করতে পারেন। অর্থাৎ সেক্ষেত্রে পক্ষতা থাকবে, অনুমিতিও হবে।

চন্দ্রকান্তমণি নেই, সূর্যকান্তমণি আছে দহন হবে। তেমনি ‘পর্বতো বহ্নিমান্ ধূমাৎ’ পর্বতে বহ্নি আছে, যেহেতু পর্বতে ‘ধূম’ আছে এরূপ ক্ষেত্রে অনুমান করার ইচ্ছা আছে, পক্ষে সাধ্যের সিদ্ধি নেই সেক্ষেত্রেও পক্ষতা থাকবে, অনুমিতিও হবে।

চন্দ্রকান্তমণি নেই, সূর্যকান্ত মণিও নেই অগ্নি দাহ করবে। সেরূপ অনুমান করার ইচ্ছা নেই এবং পক্ষে সাধ্যের সিদ্ধি ও নেই, পক্ষতা থাকবে, অনুমিতিও হবে। যেমন, পূর্বে অনুমান করার ইচ্ছা না থাকলেও, আকাশে মেঘ করেছে জানা না থাকলেও বাইরে বজ্রপাতের শব্দ শুনে আমরা অনুমান করি বৃষ্টি হবে।

চন্দ্রকান্তমণি আছে কিন্তু সূর্যকান্তমণি নেই অগ্নির দহন হবে না। একইভাবে অনুমান করার ইচ্ছা নেই, পক্ষে সাধ্যের সিদ্ধি আছে পক্ষতা থাকবে না, অনুমিতিও হবে না। এই ক্ষেত্রটি ব্যতীত অপর তিনটি ক্ষেত্রেই পক্ষতা ও অনুমিতি সম্ভব।

এখন সংশয়ের পরে যে প্রত্যক্ষ হয় তা পরামর্শ জন্য হলেও পক্ষতাসহকৃত পরামর্শজন্য নয়। এক্ষেত্রে সিষাধয়িষাবিরহসহকৃত সিদ্ধি বিদ্যমান। অর্থাৎ অনুমান করার ইচ্ছার অভাববিশিষ্ট পক্ষে সাধ্যের সিদ্ধি বিদ্যমান। সংশয়োত্তর প্রত্যক্ষে প্রত্যক্ষের সকল শর্ত উপস্থিত রয়েছে ফলে অনুমান করার ইচ্ছা নেই। যেখানে প্রত্যক্ষ হয় সেখানে অনুমান হয় না। প্রত্যক্ষের শর্ত অনুমানের তুলনায় বলবৎতর। আর মনুষ্যত্বব্যাপ্য হস্তপদাদির বিশেষ দর্শনের ফলে প্রণীত হয় যে— ‘ইহা মানুষ’। অতএব পক্ষে সাধ্যের সিদ্ধি আছে। সুতরাং পক্ষতা নেই, অনুমিতিও হবে না।

এই কারণেই শুধু পরামর্শজন্য জ্ঞান অনুমিতির লক্ষণ নয়। পক্ষতা সহকৃত পরামর্শজন্য জ্ঞানই অনুমিতি। এই অনুমিতির করণই অনুমান প্রমাণ।

সম্ভাব্য প্রশ্নাবলি
ন্যায়দর্শন অনুসারে অনুমিতির লক্ষণটি আলোচনা কর।
তর্কসংগ্রহে প্রদত্ত অনুমিতির লক্ষণটি ব্যাখ্যা কর। দীপিকাটীকায় লক্ষণটির কীরূপ পরিবর্তন করা হয়েছে এবং কেন?
পক্ষতা কাকে বলে?
অনুমিতি হতে গেলে কী কী জ্ঞান আবশ্যক?

উত্তর লেখার সময় প্রশ্ন এবং তার প্রদত্ত নম্বর অনুযায়ী উত্তর লেখার কথা মাথায় রাখবে। শুধুমাত্র অনুমিতির লক্ষণ আলোচনা করতে বললে পক্ষতার বিষয়টি শুধু উল্লেখ করলেই হবে। কিন্তু তর্কসংগ্রহ অনুযায়ী অনুমিতির লক্ষণ ব্যাখ্যা করতে হলে পক্ষতার বিষয়টি বিস্তারিত আলোচনা করবে। পক্ষতা কাকে বলে? এই প্রশ্নের উত্তরে পক্ষতার বিষয়টিই আলোচনা করবে। অনুমিতির ক্ষেত্রে কী কী জ্ঞান আবশ্যক এই আলোচনা করার সময় খেয়াল রাখবে শুধু তিনটি জ্ঞান উল্লেখ করলেই হবে না উদাহরণসহ বোঝাতেও হবে। সবশেষে বলি, তোমার উত্তর দেখে যেন বোঝা যায় যে বিষয়টি তুমি যথেষ্ট বুঝে লিখেছ, না বুঝে নয়।

Skip to content