ছবি প্রতীকী, সংশ্লিষ্ট সংস্থার সৌজন্যে
উচ্চমাধ্যমিকের পরবর্তী ক্ষেত্রে কলা বিভাগে বিষয় নির্বাচন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এক্ষেত্রে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে বেশ সংশয় থাকে। আজ আমি শিক্ষার্থীদের সামনে এমন একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করব যে বিষয়টি অনার্স হিসেবে রেখে এগিয়ে গেলে পরবর্তী ক্ষেত্রে বিভিন্নভাবে সুযোগ সুবিধার জায়গা রয়েছে, যা জীবিকা নির্বাহের ক্ষেত্রেও সমানভাবে কার্যকারী। বিষয়টি হল শিক্ষাবিজ্ঞান।
শিক্ষাবিজ্ঞান কী?
শিক্ষাবিজ্ঞান বা শিক্ষাতত্ত্ব একটি জনপ্রিয় বিষয়। কিন্তু শিক্ষা আসলে কী? শিক্ষাবিজ্ঞানের বিষয়বস্তুই বা কী? মানব সভ্যতা এবং সংস্কৃতির বিকাশের ধারা লক্ষ করলে দেখা যাবে মানুষের জীবনের সঙ্গে শিক্ষার যোগ অবিচ্ছেদ্য। শিক্ষা শব্দটি সংস্কৃত ‘শিক্ষ্’ ধাতু থেকে এসেছে। যার অর্থ বিদ্যা গ্রহণ, শিক্ষণ বা শেখা। এডুকেশন শব্দের ব্যুৎপত্তিগত অর্থ নিয়ে শিক্ষাবিদদের মধ্যে মতপার্থক্য আছে। কেউ বলছেন, ল্যাটিন শব্দ এডুকেয়ার (লালনপালন করা) কেউ বা বলছেন এডুশিয়ার (নির্দেশ দান করা) আবার কেউ বলছেন এডুকেটাম (শিক্ষাদানের কাজ) থেকে এসেছে। এককথায় শিক্ষা বলতে বোঝায় শিক্ষার্থীর মধ্যেকার সম্ভাবনাগুলির উপযুক্ত শিক্ষাদানের মাধ্যমে জাগ্রত করা ও পরিচর্যার দ্বারা শিক্ষার্থীকে জীবন পথে অগ্রসর হতে সাহায্য করা, শিক্ষিত করে তোলা। অনেকে মনে করেন, শিক্ষা নিছক একটি বিদ্যালয়মুখী প্রক্রিয়া যা কেবলমাত্র জ্ঞান অর্জনের প্রয়াস, মনের প্রশিক্ষণ, প্রচলিত প্রথাকে অনুসরণ করা। কিন্তু শিক্ষা হল জীবনব্যাপী গতিশীল একটি সামাজিক প্রক্রিয়া যা মানুষের সর্বাঙ্গীণ বিকাশ সাধন করে।
শিক্ষাবিজ্ঞান পাঠের প্রয়োজনীয়তা
জন্মের পর থেকেই মানুষ প্রতিনিয়ত শিক্ষা গ্রহণ করে আসছে। অবারিত অভিজ্ঞতা প্রতিনিয়ত তার জ্ঞানভাণ্ডারকে বৃদ্ধি করে চলেছে। কখনও পরিকল্পনামাফিক আবার কখনও বা কোনও পরিকল্পনা ছাড়াই সে শিক্ষা গ্রহণ করছে। শিক্ষা সারা জীবন ধরে প্রবহমান থাকে মানুষের জীবনে। আত্মপ্রচেষ্টা ও আত্মসক্রিয়তার মাধ্যমে শিশু অভিজ্ঞতা অর্জন করে। পরিবর্তনশীল জগতের সঙ্গে প্রতিনিয়ত মানিয়ে চলার শিক্ষা সে লাভ করে। আচরণের পরিবর্তন ও পরিমার্জন ঘটে। নির্দিষ্ট পাঠক্রমের মধ্যে এই শিক্ষা সীমাবদ্ধ থাকে না।
শিক্ষাবিজ্ঞান বনাম জীবিকা
শিক্ষাবিজ্ঞান এমনই একটি আকর্ষণীয় বিষয় যা বিগত কয়েক বছর ধরেই শিক্ষার্থী ও শিক্ষাবিদদের কাছের ও প্রাণের বিষয় হয় দাঁড়িয়েছে। যেখানে জীবিকা নির্বাহের সুযোগ প্রতিনিয়ত বেড়ে চলেছে।
স্কুলে শিক্ষকতা
শিক্ষাবিজ্ঞান নিয়ে মাস্টার ডিগ্রি কমপ্লিট করলে বিভিন্ন সার্ভিস কমিশনের প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মাধ্যমে একাদশ দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়ানোর একটা সুযোগ বিদ্যালয়গুলিতে তৈরি হয়।
কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়
নেট, সেট প্রভৃতি প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মাধ্যমে রাজ্যে বা দেশের যেকোনও সরকারি-বেসরকারি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনার সুযোগ রয়েছে। উল্লেখ্য, নেট বা সেটে নিজের বিষয় ছাড়া একটি জেনারেল পত্র থাকে যেখানে শিক্ষা ও গবেষণা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়। এক্ষেত্রে শিক্ষাবিজ্ঞান বিষয়টি নিয়ে পড়াশোনা করলে আলাদা করে আর প্রথম পত্রের জন্য পড়তে হয় না।
গবেষণা
শিক্ষাবিজ্ঞানের মধ্যে চাইল্ড সাইকোলজি, সোসিওলজি, ফিলোসফি, স্ট্যাটিস্টিক, এডুকেশনাল টেকনোলজি প্রভৃতি বিষয় নিয়ে গবেষণার সুযোগ রয়েছে।
বিএড কলেজ
সাধারণ ডিগ্রি কলেজের পাশাপাশি বিএড কলেজে অধ্যাপনার সুযোগ এনে দেয় শিক্ষাবিজ্ঞান। সর্বোপরি অন্য কোনও বিষয়ে অনার্স করে মাস্টার্স ডিগ্রি শেষ করে স্কুলে শিক্ষকতার জন্য বিএড ডিগ্রি বর্তমানে আবশ্যিক। দু’বছরের কোর্স শেষে যদি এমএড (মাস্টার অফ এডুকেশন) করা যায় তাহলে নেট সেট পরীক্ষায় নিজের অনার্সের বিষয় ছাড়াও এডুকেশন বিষয়ে পরীক্ষা দেওয়া যায় এবং সরকারি বেসরকারি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরির সুযোগ থাকে। এক্ষেত্রেও কিন্তু নিজের অনার্সের বিষয় যেমন গবেষণার সুযোগ রয়েছে তেমনি একজন শিক্ষার্থী এমএড শেষ করার পর শিক্ষাবিজ্ঞানে এমফিল, পিএইচডি-র সুযোগও পায়।
স্পেশাল এডুকেটার
এডুকেশন নিয়ে পড়াশোনা করলে যেকোনও রিহ্যাব সেন্টারে বা স্কুলে যে সব ‘স্পেশাল নিড চিল্ড্রেন’ আছে তাদের জন্য স্পেশাল এডুকেটার হিসাবে কাজ করতে পারার সুযোগ থাকে।
সাইকোলজিক্যাল কাউন্সিলর
শিক্ষাবিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করলে সাইকোলজি বিষয়ে পড়তে হয়। যেখানে বিভিন্ন সাইকোলজিক্যাল পরীক্ষা শিক্ষার্থীদের জানতে ও শিখতে হয়। পরবর্তীকালে শিক্ষার্থীদের জীবন জীবিকার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করে। বর্তমানে স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট থেকে শুরু করে ক্যারিয়ার কাউন্সেলিং যেকোনও কাউন্সেলিং বিষয়ক পেশা হিসাবে নির্বাচনের সুযোগ রয়েছে।
শিক্ষাবিষয়ক পরামর্শদাতা
প্রাক স্বাধীনতা থেকে শুরু করে বর্তমান সময় পর্যন্ত বিভিন্ন শিক্ষা পরিকল্পনা শিক্ষা কমিটি কমিশন বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাবিজ্ঞানে পড়তে হয় তার ফলে যেকোনও সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে বিভিন্ন সংস্থায় শিক্ষাবিষয়ক পরামর্শদাতা হিসেবে কাজ করতে পারে, শিক্ষা পরিকল্পনাবিদ হিসেবেও কাজ করতে পারে।
বিদ্যালয় পরিদর্শক
শিক্ষাবিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করলে বিদ্যালয় পরিদর্শক যাকে চলতি কথায় এস আই, ডিআই বলি এই পদে চাকরির সুযোগ তৈরি হয়।
তথ্য প্রযুক্তিতে নিযুক্তি
বর্তমান যুগ তথ্য প্রযুক্তির যুগ। শিক্ষাবিজ্ঞানের অনেকটা অংশ জুড়ে রয়েছে এই তথ্য প্রযুক্তির বিষয়। যা পরবর্তীকালে শিক্ষার্থীদের যেকোনও আইটি সেন্টারে কাজের সুযোগ এনে দেয়।
সোশ্যাল ওয়ার্ক
শিক্ষাবিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করলে সোশ্যাল ওয়ার্কার হিসাবে নিজেকে তুলে ধরার সুযোগ রয়েছে। নিজে সংস্থা গঠন করে বা বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের নিজেকে যুক্ত করে কাজ করতে পারা যায়।
বিভিন্ন স্কলারশিপ
উচ্চ শিক্ষা ও গবেষণার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট স্কোরের উপর স্কলারশিপের ব্যবস্থা আছে। যেমন নেট যে আরএফএস আরএফ, এসসি, এসটি ওবিসি এর ফেলোশিপ, স্বামী বিবেকানন্দ মেরিট কাম মেন্স স্কলারশিপ ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের স্কলারশিপ।
শিক্ষাবিষয়ক ব্যবসা
নিজস্ব বাচনিক ক্ষমতা পরিশ্রম নৈতিকতা সূক্ষ্ম বুদ্ধি দিয়ে যেকোনও শিক্ষাসংক্রান্ত ব্যবসার কাজে নিজেকে যুক্ত করার একটা সুযোগ থেকে যায়।
ডাটা এনালাইসিস
স্ট্যাটিস্টিক্স-এর একটা বড় অংশ শিক্ষাবিজ্ঞানের মধ্যে রয়েছে যার ফলে যেকোনও শিক্ষার্থী পরবর্তীকালে ডাটা এনালাইসিসের কাজের সঙ্গে যুক্ত হতে পারে বিভিন্ন সংস্থায়।
সর্বোপরি বলতে হয় শিক্ষাবিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করলে সমাজের বিভিন্ন গঠনমূলক দিক যেমন বয়স্ক শিক্ষা, নিরক্ষরতা দূরীকরণ, নারীশিক্ষার মতো সামাজিক কর্মকাণ্ডে নিজেকে নিয়োজিত করা যায়। শিক্ষা একটি প্রবহমান প্রক্রিয়া। একে কখনওই জীবিকার মধ্যে ধরে রাখা যায় না। তবু জীবনে চলার পথে শিক্ষাবিজ্ঞান খুব উপকারী নিজের কাছে, সমাজের কাছে, পরবর্তী প্রজন্মের কাছে।
শিক্ষাবিজ্ঞান বা শিক্ষাতত্ত্ব একটি জনপ্রিয় বিষয়। কিন্তু শিক্ষা আসলে কী? শিক্ষাবিজ্ঞানের বিষয়বস্তুই বা কী? মানব সভ্যতা এবং সংস্কৃতির বিকাশের ধারা লক্ষ করলে দেখা যাবে মানুষের জীবনের সঙ্গে শিক্ষার যোগ অবিচ্ছেদ্য। শিক্ষা শব্দটি সংস্কৃত ‘শিক্ষ্’ ধাতু থেকে এসেছে। যার অর্থ বিদ্যা গ্রহণ, শিক্ষণ বা শেখা। এডুকেশন শব্দের ব্যুৎপত্তিগত অর্থ নিয়ে শিক্ষাবিদদের মধ্যে মতপার্থক্য আছে। কেউ বলছেন, ল্যাটিন শব্দ এডুকেয়ার (লালনপালন করা) কেউ বা বলছেন এডুশিয়ার (নির্দেশ দান করা) আবার কেউ বলছেন এডুকেটাম (শিক্ষাদানের কাজ) থেকে এসেছে। এককথায় শিক্ষা বলতে বোঝায় শিক্ষার্থীর মধ্যেকার সম্ভাবনাগুলির উপযুক্ত শিক্ষাদানের মাধ্যমে জাগ্রত করা ও পরিচর্যার দ্বারা শিক্ষার্থীকে জীবন পথে অগ্রসর হতে সাহায্য করা, শিক্ষিত করে তোলা। অনেকে মনে করেন, শিক্ষা নিছক একটি বিদ্যালয়মুখী প্রক্রিয়া যা কেবলমাত্র জ্ঞান অর্জনের প্রয়াস, মনের প্রশিক্ষণ, প্রচলিত প্রথাকে অনুসরণ করা। কিন্তু শিক্ষা হল জীবনব্যাপী গতিশীল একটি সামাজিক প্রক্রিয়া যা মানুষের সর্বাঙ্গীণ বিকাশ সাধন করে।
জন্মের পর থেকেই মানুষ প্রতিনিয়ত শিক্ষা গ্রহণ করে আসছে। অবারিত অভিজ্ঞতা প্রতিনিয়ত তার জ্ঞানভাণ্ডারকে বৃদ্ধি করে চলেছে। কখনও পরিকল্পনামাফিক আবার কখনও বা কোনও পরিকল্পনা ছাড়াই সে শিক্ষা গ্রহণ করছে। শিক্ষা সারা জীবন ধরে প্রবহমান থাকে মানুষের জীবনে। আত্মপ্রচেষ্টা ও আত্মসক্রিয়তার মাধ্যমে শিশু অভিজ্ঞতা অর্জন করে। পরিবর্তনশীল জগতের সঙ্গে প্রতিনিয়ত মানিয়ে চলার শিক্ষা সে লাভ করে। আচরণের পরিবর্তন ও পরিমার্জন ঘটে। নির্দিষ্ট পাঠক্রমের মধ্যে এই শিক্ষা সীমাবদ্ধ থাকে না।
শিক্ষাবিজ্ঞান এমনই একটি আকর্ষণীয় বিষয় যা বিগত কয়েক বছর ধরেই শিক্ষার্থী ও শিক্ষাবিদদের কাছের ও প্রাণের বিষয় হয় দাঁড়িয়েছে। যেখানে জীবিকা নির্বাহের সুযোগ প্রতিনিয়ত বেড়ে চলেছে।
শিক্ষাবিজ্ঞান নিয়ে মাস্টার ডিগ্রি কমপ্লিট করলে বিভিন্ন সার্ভিস কমিশনের প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মাধ্যমে একাদশ দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়ানোর একটা সুযোগ বিদ্যালয়গুলিতে তৈরি হয়।
নেট, সেট প্রভৃতি প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মাধ্যমে রাজ্যে বা দেশের যেকোনও সরকারি-বেসরকারি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনার সুযোগ রয়েছে। উল্লেখ্য, নেট বা সেটে নিজের বিষয় ছাড়া একটি জেনারেল পত্র থাকে যেখানে শিক্ষা ও গবেষণা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়। এক্ষেত্রে শিক্ষাবিজ্ঞান বিষয়টি নিয়ে পড়াশোনা করলে আলাদা করে আর প্রথম পত্রের জন্য পড়তে হয় না।
শিক্ষাবিজ্ঞানের মধ্যে চাইল্ড সাইকোলজি, সোসিওলজি, ফিলোসফি, স্ট্যাটিস্টিক, এডুকেশনাল টেকনোলজি প্রভৃতি বিষয় নিয়ে গবেষণার সুযোগ রয়েছে।
সাধারণ ডিগ্রি কলেজের পাশাপাশি বিএড কলেজে অধ্যাপনার সুযোগ এনে দেয় শিক্ষাবিজ্ঞান। সর্বোপরি অন্য কোনও বিষয়ে অনার্স করে মাস্টার্স ডিগ্রি শেষ করে স্কুলে শিক্ষকতার জন্য বিএড ডিগ্রি বর্তমানে আবশ্যিক। দু’বছরের কোর্স শেষে যদি এমএড (মাস্টার অফ এডুকেশন) করা যায় তাহলে নেট সেট পরীক্ষায় নিজের অনার্সের বিষয় ছাড়াও এডুকেশন বিষয়ে পরীক্ষা দেওয়া যায় এবং সরকারি বেসরকারি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরির সুযোগ থাকে। এক্ষেত্রেও কিন্তু নিজের অনার্সের বিষয় যেমন গবেষণার সুযোগ রয়েছে তেমনি একজন শিক্ষার্থী এমএড শেষ করার পর শিক্ষাবিজ্ঞানে এমফিল, পিএইচডি-র সুযোগও পায়।
এডুকেশন নিয়ে পড়াশোনা করলে যেকোনও রিহ্যাব সেন্টারে বা স্কুলে যে সব ‘স্পেশাল নিড চিল্ড্রেন’ আছে তাদের জন্য স্পেশাল এডুকেটার হিসাবে কাজ করতে পারার সুযোগ থাকে।
শিক্ষাবিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করলে সাইকোলজি বিষয়ে পড়তে হয়। যেখানে বিভিন্ন সাইকোলজিক্যাল পরীক্ষা শিক্ষার্থীদের জানতে ও শিখতে হয়। পরবর্তীকালে শিক্ষার্থীদের জীবন জীবিকার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করে। বর্তমানে স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট থেকে শুরু করে ক্যারিয়ার কাউন্সেলিং যেকোনও কাউন্সেলিং বিষয়ক পেশা হিসাবে নির্বাচনের সুযোগ রয়েছে।
প্রাক স্বাধীনতা থেকে শুরু করে বর্তমান সময় পর্যন্ত বিভিন্ন শিক্ষা পরিকল্পনা শিক্ষা কমিটি কমিশন বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাবিজ্ঞানে পড়তে হয় তার ফলে যেকোনও সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে বিভিন্ন সংস্থায় শিক্ষাবিষয়ক পরামর্শদাতা হিসেবে কাজ করতে পারে, শিক্ষা পরিকল্পনাবিদ হিসেবেও কাজ করতে পারে।
শিক্ষাবিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করলে বিদ্যালয় পরিদর্শক যাকে চলতি কথায় এস আই, ডিআই বলি এই পদে চাকরির সুযোগ তৈরি হয়।
বর্তমান যুগ তথ্য প্রযুক্তির যুগ। শিক্ষাবিজ্ঞানের অনেকটা অংশ জুড়ে রয়েছে এই তথ্য প্রযুক্তির বিষয়। যা পরবর্তীকালে শিক্ষার্থীদের যেকোনও আইটি সেন্টারে কাজের সুযোগ এনে দেয়।
শিক্ষাবিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করলে সোশ্যাল ওয়ার্কার হিসাবে নিজেকে তুলে ধরার সুযোগ রয়েছে। নিজে সংস্থা গঠন করে বা বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের নিজেকে যুক্ত করে কাজ করতে পারা যায়।
উচ্চ শিক্ষা ও গবেষণার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট স্কোরের উপর স্কলারশিপের ব্যবস্থা আছে। যেমন নেট যে আরএফএস আরএফ, এসসি, এসটি ওবিসি এর ফেলোশিপ, স্বামী বিবেকানন্দ মেরিট কাম মেন্স স্কলারশিপ ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের স্কলারশিপ।
নিজস্ব বাচনিক ক্ষমতা পরিশ্রম নৈতিকতা সূক্ষ্ম বুদ্ধি দিয়ে যেকোনও শিক্ষাসংক্রান্ত ব্যবসার কাজে নিজেকে যুক্ত করার একটা সুযোগ থেকে যায়।
স্ট্যাটিস্টিক্স-এর একটা বড় অংশ শিক্ষাবিজ্ঞানের মধ্যে রয়েছে যার ফলে যেকোনও শিক্ষার্থী পরবর্তীকালে ডাটা এনালাইসিসের কাজের সঙ্গে যুক্ত হতে পারে বিভিন্ন সংস্থায়।
সর্বোপরি বলতে হয় শিক্ষাবিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করলে সমাজের বিভিন্ন গঠনমূলক দিক যেমন বয়স্ক শিক্ষা, নিরক্ষরতা দূরীকরণ, নারীশিক্ষার মতো সামাজিক কর্মকাণ্ডে নিজেকে নিয়োজিত করা যায়। শিক্ষা একটি প্রবহমান প্রক্রিয়া। একে কখনওই জীবিকার মধ্যে ধরে রাখা যায় না। তবু জীবনে চলার পথে শিক্ষাবিজ্ঞান খুব উপকারী নিজের কাছে, সমাজের কাছে, পরবর্তী প্রজন্মের কাছে।