তৎক্ষণাৎ করণীয়
● প্রথমেই ঘড়িতে চোখ রাখুন। এসময় বাড়ির সদস্যদের ধৈর্য হারালে চলবে না। পাশাপাশি শিশুকেও শান্ত রাখার চেষ্টা করুন।
● বাচ্চাকে মেঝেতে বা সমান জায়গায় নরম বিছানায় মাথার নীচে নরম বালিশ দিয়ে শুইয়ে দিন।
● শিশুকে এমন জায়গায় রাখতে হবে, যাতে সে পড়ে না যায় বা আঘাত না লাগে।
● এক পাশ করে শুইয়ে দিতে হবে, যাতে মুখ থেকে নিঃসৃত লালা বা গ্যাঁজা শ্বাসনালীতে চলে যেতে না পারে।
● মলদ্বারে একটা প্যারাসিটামল সাপোজিটরি এবং একটা ডায়াজিপাম সাপোজিটরি দিলে তাড়াতাড়ি জ্বরও কমে যাবে, আবার তরকাও থামবে। তবে মুখে কোন ওষুধ দেওয়া যাবে না।
● বাচ্চার শরীর থেকে পোশাক খুলে ফেলতে হবে। চশমা পরা থাকলে তাও খুলে ফেলুন।
● কাছাকাছি কোনও ধারাল অস্ত্র রাখা যাবে না।
● ঘরের আলো কম করে দিতে হবে।
কী কী করবেন না
● খিচুনির সময় চামচ বা অন্য কোনও কিছু মুখে ঢোকানোর চেষ্টা করবেন না।
● হাত ও পা ধরে জোর করে খিচুনি বন্ধ করার চেষ্টা করা উচিত নয়।
● বাচ্চাকে রোদে রাখা যাবে না।
● ঠান্ডা জল দিয়ে স্নান করানো উচিত নয়।
চিকিৎসা ও প্রতিরোধ
● প্রথমবার জ্বর থেকে তরকা হলে শিশুকে হাসপাতালে বা শিশুরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে অবশ্যই নিয়ে যেতে হবে।
● তরকা থেমে গেলে, জ্বর হওয়ার দিন থেকে তিনদিন পর্যন্ত শিশুর বয়স ও ওজন অনুযায়ী প্যারাসিটামল দিনে চারবার, সঙ্গে ক্লোবাজাম (Clobazam 5mg) দিনে দু’ বার খাওয়াতে হবে। শিশুর অন্য সময় জ্বর হলেও তরকা প্রতিরোধের জন্য তিনদিন একইরকম চিকিৎসা করতে হবে।
● তবে পরিস্থিতি একেবারেই নিয়ন্ত্রণে না এলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে দেরি করবেন না।
জরুরি সতর্কতা
● জ্বরজনিত তরকা হলে এবং শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা দেখা দিলে বাচ্চার শরীর যদি নীল হতে শুরু করে তাহলে দ্রুততার সঙ্গে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে হবে।
● এই ধরনের সমস্যা দেখা দিলে তৎক্ষণাৎ তা সামাল দেওয়ার জন্য শিশু যে স্কুলে পড়ে সেখানে সেই ব্যবস্থা থাকা জরুরি।
● এইসব শিশু যাতে আগুন বা জলের কাছে না যায় তার জন্য সদা সতর্ক থাকতে হবে।
● শিশু বাড়ির বাইরে গেলে তার সঙ্গে অভিভাবকদের থাকা বাঞ্ছনীয়।
ছবি: সংশ্লিষ্ট সংস্থার সৌজন্যে
যোগাযোগ: ৯৮৩০২৯৪৯৩২