সিনিয়রের নেতৃত্বে, দেখানো পথে জুনিয়র চলেছে, মহাজন যে পথে যায় তাই-ই পথ হয়ে উঠেছে, এই ‘বড়দের মেনে চলা’ যেমন সত্য, তেমনই “ছোট মুখে বড় কথা” শোনার মতো, সমমর্মী হতে পারার মতো ‘বড়’ কি অনায়াসেই হয়ে ওঠা যায়?

সিনিয়রের নেতৃত্বে, দেখানো পথে জুনিয়র চলেছে, মহাজন যে পথে যায় তাই-ই পথ হয়ে উঠেছে, এই ‘বড়দের মেনে চলা’ যেমন সত্য, তেমনই “ছোট মুখে বড় কথা” শোনার মতো, সমমর্মী হতে পারার মতো ‘বড়’ কি অনায়াসেই হয়ে ওঠা যায়?
জন্মান্তরবাদ, অধ্যাত্মতত্ত্ব কিংবা মানুষের লৌকিক ইতিহাসটাই কেমন আপেক্ষিক আর মায়া বলে মনে হয় না? নাকি আদৌ এসব একটা বড় কৈবল্যবাদী ক্যাবলামির ছোট ছোট মণিরত্ন?
দেখা যাক মহেশ কি ভাবছেন। ইনি শরত্ চাটুয্যের নন, রীতিমতো মানুষ। পেশায় অধ্যাপক।
হিউম্যান এরর। মনুষ্যকৃত ভ্রান্তি, যা যন্ত্র করে না, মানুষ, মানুষ বলেই করে। এদিকে ব্যাকরণের বাইরে মানুষের যে সামাজিক লক্ষণ তাতে বলা হয় মান আর হুঁশ নিয়েই নাকি মানুষ। তো, মান মানে কচু, আর হুঁশ… কী জানি, পরে দেখা যাবে। ব্যাপারটা হল এই যে, যাদের মান আর হুঁশ আছে, তারা ভুল করে।
নববর্ষার দিনক্ষণ আসে, নববর্ষা হয়তো বা আসে না তেমন করে। এই দাবদাহ-ই বুঝি সত্য, তার অবসানের কল্পনাও হয়তো দুরাশা, ভুবন-চরাচর জুড়ে মোহন বর্ষণভার নামে না।
“তর্কবাগীশ মশাই নাসিরুদ্দিনের সঙ্গে তর্ক করবেন বলে দিনক্ষণ ঠিক করে তার বাড়িতে এসে দেখেন মোল্লাসাহেব বেরিয়ে গিয়েছেন। মহা বিরক্ত হয়ে তিনি মোল্লার সদর দরজায় খড়ি দিয়ে লিখে গেলেন মূর্খ।
সি-হর্সের বাহারি এই নাকটি অদ্ভুত সৌন্দর্য্য বাড়িয়ে তোলেছে। শরীরকে হেলিয়ে দুলিয়ে দেহের বায়ুর পরিমাণ কমিয়ে বাড়িয়ে যখন এরা জলে দুলকি চালে চলাফেরা ও ওঠানামা করে সে দৃশ্য যে কোনও মানুষকেই আকৃষ্ট করে থাকে।
সমাজে সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে আমাদের যেমন ডাক্তারবাবুকে দরকার, তেমনই মাছেদের মধ্যেও বিশেষ করে গভীর সমুদ্রে বসবাসকারী মাছেদেরও এইরকম কিছু চিকিৎসকের প্রয়োজন হয়। এইরকম এক মাছেদের ডাক্তার হল, ল্যাবরয়ডেস ডিমিডিয়েটাস।
পতঙ্গবাহিত কিছু রোগবালাই বিশেষ করে ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি জনস্বাস্থ্য উন্নয়নে একটি চ্যালেঞ্জ। এ সব ক্ষেত্রে মূল লক্ষ্য হল, রোগসৃষ্টিকারী বাহক অর্থাৎ মশার উৎপত্তি এবং বংশবিস্তারকে সমূলে বিনাশ।
হোয়াইট স্পট ডিজিজ নিয়ন্ত্রণে কোনও ওষুধই কার্যকরী নয়। বিভিন্ন জৈব সুরক্ষাবিধি মেনে চলাই একমাত্র উপায়। এ ভাবে রোগ সংক্রমণের সম্ভাবনা অনেকটাই কমানো সম্ভব। পুকুরে চাষের শুরুতে পিসিআর পরীক্ষিত চিংড়ির মীন ছাড়তে পারলে অনেকটাই নিশ্চিন্ত থাকা যায়।
মাছচাষের প্রসারের সঙ্গে সঙ্গে কিছু কিছু উৎপাদনের প্রতিবন্ধকতাও তৈরি হচ্ছে। বিভিন্ন প্রকার জীবাণুঘটিত রোগ বিঘ্ন সৃষ্টি করছে। প্রথাগত বা কিছুটা উন্নত চাষে এই প্রতিবন্ধকতা বিশেষ নেই। আধুনিক মাছ ও চিংড়িচাষে তাই নানা ধরণের রাসায়নিক প্রায়শই ব্যবহৃত হচ্ছে।
জাতকমালার গত পর্বের গল্পে দেখা গিয়েছিল এক চতুর শেয়াল-দম্পতি এবং এক নিরীহ কিন্তু বুদ্ধিমতী ছাগীকে। আজকের গল্পটির প্রতিপাদ্য প্রায় একরকম, এবং আগের কাহিনিতে মুখ্যচরিত্র না হলেও এই কাহিনিতে বোধিসত্ত্ব যথারীতি মুখ্য চরিত্র। তবে প্রতিপাদ্য কাহিনি নয়, এই গল্পের মূল অংশ হল এর ভাববস্তু, উপদেশ। গল্পে দেখা যাচ্ছে কৌশাম্বীনগরে রাজা কৌশাম্বকের রাজত্বকালে বোধিসত্ত্ব এক অরণ্যে কুক্কুট বা মোরগ হয়ে জন্ম নিয়েছেন, শতশত কুক্কুটের মাঝে একজন হয়ে তাঁর বাস। অদূরেই একটি শ্যেন বা বাজপাখি বাস করে, নানা কৌশলে কুক্কুট ধরে ধরে উদরসাৎ...
শকুন্তলার প্রথম অঙ্কে হরিণটা ঊর্ধ্বশ্বাসে দৌড়চ্ছে। পিছনে দুষ্যন্ত। রাজা এসে পৌঁছলেন কণ্বের আশ্রমে। তারপর শকুন্তলাকে দেখলেন। দেখেই প্রেম জাগল। প্রণয় থেকে পরিণয় হলো। তারপর প্রত্যাখ্যান। তারপর পুনর্মিলন। তারপর জল অনেক গড়িয়েছে, মনে পড়ে রুবি রায়?
মুরি’র দেখা ঝগড়ার এক ঝলক, লরেন্স ফ্রিডাকে বললেন, এই শেষ। আর তোমার সঙ্গে থাকা যাবে না। অসম্ভব। তুমি জানো আমার কি টাকা-পয়সা আছে। তোমার ভাগেরটা দিয়ে দিচ্ছি। বেরিয়ে যাও। বলে ওপর তলার থেকে এসে টেবিলের ওপর গুনে গুনে ষোল sovereign (মুদ্রা) রাখলেন। ফ্রিডা দরজার বাইরে দাঁড়িয়ে। হাতে টুপি ও কোট। কোথায় যাবেন জানেন না।
জাতকমালার যে কাহিনি আজকের প্রতিপাদ্য সেখানে বোধিসত্ত্বের প্রত্যক্ষ ভূমিকা দেখা যাবে না। কাল বারাণসীরাজ ব্রহ্মদত্তের শাসনকাল, স্থান হিমালয়ের গহন বন। বোধিসত্ত্ব সেবার নাকি ওই বনের কোনও এক বনস্পতিতে বৃক্ষদেবতা হয়ে জন্মান্তর লাভ করেছেন। তিনি এই কথার নীরব সাক্ষী, মুখ্য চরিত্রগুলির মধ্যে তাঁর অন্তর্ভাব নেই।
বাজশ্রবা সেদিন খুব ব্যস্ত। রাশভারী লোক। সকলে তাঁর কথায় তটস্থ। শুধু ঠ্যাঁটা ছেলেটার কোনও ভয়ডর নেই। জ্বালিয়ে খেল আর কী। শিশু মনস্তত্ত্ব তিনিও খানিক বোঝেন। একেই আজ বিশ্বজিৎ যাগের শেষে দানানুষ্ঠান সম্পন্ন করার তাড়া, তার ওপর হতচ্ছাড়া ছেলেটা বলে কি, “আমায় কাকে দিচ্ছ?”
দিল্লির রাজপথে মহিলা কুস্তীগিরদের সঙ্গে কাঁধ মিলিয়ে পুরুষ কুস্তীগিরদের আন্দোলন করতে দেখা গিয়েছে। আন্দোলন সফল হল না বিফল হল তা নিয়ে পরে আলোচনা করা যাবে। কিন্তু এই অনুভুতি যে নিজেদের উপর হয়ে যাওয়া কাঠামোগত অত্যাচারের বিরুদ্ধে সরব হতে হবে।
পুরুষ নিজের স্ত্রীকে অন্যের স্ত্রীর সঙ্গে তুলনা করে বলতে শোনা যাচ্ছে তার স্ত্রী দায়িত্ব পালন করছে না। আবার অন্য দিকে স্ত্রী পুরুষের কম রোজগার বা স্ত্রীর ভরণপোষণ ভালো ভাবে করলে না পারার অনুযোগ জানালে বলা হচ্ছে স্ত্রী সব সময় টাকা চেয়ে অত্যাচার করছে।
নারীদের অভীপ্সা থাকে বা রাখতে বলা হয় কীভাবে এই সব নারীরা সন্তান মানুষ করবেন যাতে তাদের সন্তানরা বা মূলত পুত্র সন্তানরা সমাজে প্রতিষ্ঠিত হতে পারে কিছু নির্দিষ্ট পেশা গ্রহণ করে।
নারীকে লিলিথ হতে দিতে সমাজ যখন বাধা দিতে পারবে না তখন নারীর শরীরে নারীর অধিকার কায়েম হবে। কিন্তু সমাজে তখন কে শিশুর পিতা আর কেই বা মাতা তাই নিয়ে বিবাদের সম্ভবনা বাড়বে।
গয়না পরব কিনা বা পরলেও কীভাবে পরব সেই চেতনা একটি মেয়ের যেমন থাকা দরকার তেমনি যে ছেলে বিয়ে করতে যাচ্ছে একটি মেয়েকে সেও বলবে গয়না না পরলেও মেয়েটিকে একটি গুণী, বুদ্ধিদীপ্ত মেয়ে মনে হচ্ছে, রূপে লক্ষ্মী নয়।
বসন্তের আগমনে দেশের নানা জায়গায় মানুষের মধ্যে যে উৎসব পালিত হয় সেটাই কালক্রমে দোল উৎসব নামে পরিচিত। উত্তর ভারতের লোকেরা অবশ্য এই দোলকে হোলি বলে থাকেন। কিন্তু বাংলা এবং ওড়িশায় এটি দোলযাত্রা নামে পরিচিত।
জানকিনাথ তাঁর স্ত্রীকে বললেন, আমার তো সময়ই হয় না, তুমি তো একটু খোঁজখবর নিতে পারো সুভাষের। প্রভাবতী দেবী স্থির করলেন, এ বার থেকে ছেলের দিকে তিনি কড়া নজর রাখবেন।
জোনাথন জোসেফ জেমস। ছোট থেকেই জোনাথনের অমোঘ আকর্ষণ ছিল কম্পিউটার এবং কম্পিউটারের যাবতীয় যন্ত্রাংশের প্রতি। জোনাথনই ছিলেন আমেরিকার প্রথম কিশোর হ্যাকার।
সেটা ২০১১ সাল। সে বছর নিজের সঙ্গে একান্তে সময় কাটানোর জন্য পিয়ানোসাকে বেছে নিয়েছিলেন জিউলিয়া। পিয়ানোসা দ্বীপে অতীতে ইতালির বন্দিদের রাখা হত। ওই দ্বীপে একটাই মাত্র হোটেল রয়েছে।
টম এমন এক যন্ত্র আবিষ্কার করেছিলেন, যা গাড়ির ইঞ্জিনের কার্বুরেটরে প্রতিস্থাপন করলে এক লিটার পেট্রোলে গাড়ি ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত ছুটতে পারবে। টমের বক্তব্য, তাঁর এই যন্ত্র গাড়ির জ্বালানি সঞ্চয়ী করে তুলবে।
ঠাকুরের সঙ্গে পরিচিত হবার পর কিছুদিন পরে যোগেন মা একদিন দক্ষিণেশ্বরে আসেন। তিনি তাড়াতাড়িতে খেয়ে আসতে পারেননি জেনে ঠাকুর বলেন, ‘আহা, তুমি খাওনি, নহবতে যাও, সেখানে ভাত, তরকারি আছে, খাও গে’। সেই প্রথম দেখা হয় মা সারদার সঙ্গে যোগেনমার।
১৯ মে গুলিবর্ষণে শহিদ হলেন-সত্যেন্দ্র দেব,চন্ডীচরণ সূত্রধর,বীরেন্দ্র সূত্রধর, সুনীল সরকার, হীতেশ বিশ্বাস, সুকোমল পুরকায়স্থ, কমলা ভট্টাচার্য, শচীন্দ্র পাল, তরণী দেবনাথ, কানাইলাল নিয়োগী ও কুমুদ দাস। অবশ্য এগারো জন শহিদ হবার পরও আন্দোলন থামেনি।
পূর্বোত্তরে সর্বাধিক হাতি রয়েছে অসমে। অতীতের তুলনায় অবশ্য বর্তমানে এর সংখ্যা দারুণ ভাবে কমে এসেছে। একদা রাজশক্তির অন্যতম মাপকাঠি এবং গৌরবের প্রতীক ছিল হাতি। অসমের ইতিহাসের নানা অধ্যায়ে জড়িয়ে আছে আপাত নিরীহ এই প্রাণীটি।
জনশ্রুতি খেন বংশীয় রাজা নীলধ্বজ ‘দেবী কামদা’ বা ‘কামতার’ উপাসক ছিলেন। উপাস্য দেবীর নাম অনুসারেই রাজ্যের নাম হয় কামতা এবং রাজধানীর নাম হয় কামতাপুর। নীলধ্বজই এই মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা।
কোচবিহার শহর থেকে ১০ কিলোমিটার উত্তরে কোচবিহার আলিপুরদুয়ার পাকা রাস্তার উপর এবং রেলপথে বাণেশ্বর রেলস্টেশনের পাশেই উত্তরবঙ্গ ও অসমের অগনিত ভক্তের তীর্থক্ষেত্র বাণেশ্বর শিবমন্দির।
গৃহপালিত সারমেয়রা সাধারণত যে কোনও খাবারে চট করে নিজেদের মানিয়ে নিতে পারে না। এখন অবশ্য সর্বত্র কুকুরের জন্য শুকনো খাবার পাওয়া যায় ঠিকই, তবে বাড়িতে বানিয়ে কুকুরের খাবার সঙ্গে করে নিয়ে যাওয়াই শ্রেয়।
আসলে মানুষ খায়, এমন বহু খাবারই কুকুরকে খাওয়ানোটা ঠিক না। এতে কুকুরছানার ক্ষতি হতে পারে। জেনে নিন, কোন খাবারগুলি আপনার জন্য ভালো হলেও, আদতে কুকুরদের জন্য ক্ষতিকারক।
পরিযায়ী পাখি হওয়ার জন্য এরা যেমন বিভিন্ন রোগের জীবাণু বহন করে, তেমনি বিভিন্ন রোগে মৃত্যুও ঘটে এদের। শীতের শুরু এবং গ্রীষ্মকালে শুষ্কতার জন্য বহু জঙ্গলের দাবানল ঘটে, এর ফলে অন্যান্য পশু-পাখির মতো কোকিলেরও মৃত্যু ঘটে প্রতিবছর।
ফ্লেমিংগো পাখির নাম নিশ্চই আপনারা শুনেছেন। আমি যেহেতু পুণের বাসিন্দা তাই এই অনন্যসুন্দর পাখিটি দেখার সৌভাগ্য হয়েই থাকে।
আজকের লেখাটি রেইন কোয়েল (Rain Quail) বা ব্ল্যাক ব্রেস্টেড কোয়েল (Black Breasted Quail) নিয়ে। রেইন কোয়েল একটি ১৫ থেকে ১৭ সেনটিমিটারের ছোট পাখি।
আপনার অনুরোধ করা পৃষ্ঠাটি খুঁজে পাওয়া যাবে না। আপনার অনুসন্ধান পরিমার্জিত করার চেষ্টা করুন অথবা ওয়েবসাইট মেনু থেকে পোস্টটি সনাক্ত করুন।
মাধবী মুখোপাধ্যায়ের স্মৃতিচারণ— ‘মানিকদা একদিন ফোন করে বললেন, কবিগুরুর নষ্টনীড় গল্পটা পাঠাচ্ছি৷ পড়ে দেখো৷ বলেছিলাম, আমার পড়া৷ উনি বললেন, আবার পড়ো৷
মাধবীদির সঙ্গে আমার কথা হচ্ছিল ‘মহানগর’ ছবি নিয়ে। তাঁর কথায়: ‘ঋত্বিক ঘটকের 'সুবর্ণরেখা'র শ্যুটিং আগে শুরু হলেও মানিকদার 'মহানগর'ই প্রথম মুক্তি পেয়েছিল৷ ১৯৬৩ সালের কথা৷ দেখতে দেখতে প্রায় ৬০ বছর হয়ে গেল৷ কারও কারও হয়তো মনে আছে 'মহানগর'-এ আমার চরিত্রের নাম ছিল আরতি মজুমদার৷ আমার স্বামীর ভূমিকায় ছিলেন অনিল চট্টোপাধ্যায়৷ স্বামীর চাকরি চলে যায়৷ সংসার চালানোর জন্য বাধ্য হয়ে আরতিকে সেলসগার্লের চাকরি নিতে হয়৷ একদিন তার সহকর্মী অ্যাংলো ইন্ডিয়ান বন্ধু এডিথেরও চাকরি চলে যায়৷ এডিথের চাকরি যাওয়ায় এই প্রথম ক্ষোভে...
মাধবীদি’র ফ্ল্যাটের দেওয়ালে দুটো বড় ফোটো পাশাপাশি—রবীন্দ্রনাথ এবং সত্যজিৎ রায়৷ মাধবীদি বলেছিলেন, ‘কবিগুরু হলেন আমার জীবনদেবতা৷ আর মানিকদা বিরাট মাপের মানুষ৷ আলোর ঠিকানা৷’
চলচ্চিত্রের পাশাপাশি বেশ কয়েকটি টিভি সিরিয়ালেও অভিনয় করেছেন অশোককুমার৷ কীভাবে নিজেকে তৈরি করেছিলেন দাদামণি? তিনি বেশ জোর দিয়ে বলেছিলেন, 'আমরা যাঁরা অভিনয় করি, অন্যদের অভিনয় আমাদের বেশি করে দেখা উচিত৷ আমার মধ্যে যেটার অভাব সেটা ধীরে ধীরে মেরামত করে নিতে পারলেই আর সমস্যা থাকে না৷ আমার অভিনয়ের অনেক দোষত্রুটি ছিল৷ কিছু কিছু কাটাতে পেরেছি৷ তবে আজও মনে হয়, আমি একজন শিক্ষার্থী৷ ক্যামেরার সামনে যখন দাঁড়াই মনে করি, এই প্রথম ক্যামেরা ফেস করছি৷' হলিউডের ছবি দেখার প্রচণ্ড নেশা ছিল অশোককুমারের৷ তাঁর প্রিয় অভিনেতা...
ছেলে অভিনয়ের জগতে থাকলেও নায়িকাদের সঙ্গে তাঁর মাখামাখি পছন্দ হয়নি কুঞ্জলাল গাঙ্গুলি ও গৌরীদেবীর৷ বেশিদিন এরকম চলতে থাকলে ছেলের মাথা বিগড়ে যেতে পারে এই ভয়ে কুঞ্জলালবাবু স্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে অশোককুমারকে ডেকে পাঠালেন খান্ডোয়ায়৷ মধ্যপ্রদেশের খান্ডোয়া অশোককুমারের পৈতৃক বাড়ি৷ তখন 'বচন' ছবির শ্যুটিং চলছে৷ খান্ডোয়া রেল স্টেশনে নেমে অশোককুমার দেখেন বাবা দাঁড়িয়ে আছেন৷ জানালেন, এখুনিই কলকাতায় যেতে হবে৷ কেন? কুঞ্জলালবাবুর মুখে কোনও উত্তর নেই৷ ঘণ্টাচারেক পর একটা বড় জংশন স্টেশনে ট্রেন থামতেই তিনি ছেলেকে বললেন,...