সোমবার ২৪ মার্চ, ২০২৫

বিচিত্রের বৈচিত্র

গীতা: সম্ভবামি যুগে যুগে, পর্ব-২১: কর্ম যখন প্রবল-আকার

গীতা: সম্ভবামি যুগে যুগে, পর্ব-২১: কর্ম যখন প্রবল-আকার

তারপর অর্জুন জিজ্ঞাসুচিত্তে পরিপ্রশ্ন করবেন যে তুমি সকল কর্মত্যাগের উপদেশ দিচ্ছো, আবার নিষ্কাম কর্মের অভ্যাস করতে বলছো। হে সখা! এই দুয়ের মধ্যে কোনটি মঙ্গলপ্রদ তা নিশ্চিত রূপে জানতে চাই। কৃষ্ণ বলবেন, সন্ন্যাস ও কর্মযোগ উভয়-ই মঙ্গলপ্রদ। তবে সন্ন্যাসের তুলনায় নিষ্কাম কর্মযোগ মহত্তর।

read more
গল্পবৃক্ষ, পর্ব-২১: কামজাতক—চাওয়া-পাওয়ার খতিয়ান

গল্পবৃক্ষ, পর্ব-২১: কামজাতক—চাওয়া-পাওয়ার খতিয়ান

সে অনেক কাল আগের কথা। বারাণসীর রাজা ব্রহ্মদত্তের দুটি পুত্র ছিল। রাজা জ্যেষ্ঠপুত্রকে দিলেন ঔপরাজ্য, কনিষ্ঠকে সৈন্যাপত্য। বড় ছেলে উপরাজ হয়ে, ছোট ছেলে সেনাপতি হয়ে রাজ্যশাসনে পিতার সহায় হল। কালক্রমে রাজার প্রয়াণ ঘটলে অমাত্যগণ জ্যেষ্ঠপুত্রকে রাজ্যে অভিষিক্ত করতে চাইলেন।

read more
রং চিনে নেবার আকাল

রং চিনে নেবার আকাল

দোল আর বসন্ত যেন সমার্থক। বসন্তের রং-এর দোল জাগে প্রকৃতিতে, মানুষের মনেও। এই লেখায় সেই মুগ্ধতাটুকু সরিয়ে রাখলাম। কৃষ্ণচূড়া অথবা সর্ষেফুলের রং দেখে কবি একদা উদ্বেল হয়েছিলেন, যথার্থ-ই বুঝেছিলেন রং যদি অন্তরের মর্মলোকে পৌঁছে যায় তবেই এই উত্সবের সার্থকতা, তবে রং কি আদৌ পৌঁছে যাচ্ছে মর্মে মর্মে?

read more
গল্পবৃক্ষ, পর্ব-২০: সঙ্কল্পজাতক

গল্পবৃক্ষ, পর্ব-২০: সঙ্কল্পজাতক

দীর্ঘকাল সংসারধর্মের পর, অক্লেশে মুক্তহস্তে দানধর্মের পর, বীতরাগ হয়ে বোধিসত্ত্ব প্রব্রজ্যা নিলেন। আত্মীয়দের সাশ্রুনয়ন, নিষেধ কিংবা উপরোধ প্রত্যাখ্যান করে হিমালয়ের মনোরম স্থানে পর্ণশালা নির্মাণ করে তপশ্চরণে নিমগ্ন হলেন, বন্য ফলমূলে জীবনধারণ করতে করতে ক্রমে অভিজ্ঞা ও সমাপত্তি অর্জন করলেন।

read more
গীতা: সম্ভবামি যুগে যুগে, পর্ব-২০: জ্ঞান ও অজ্ঞান

গীতা: সম্ভবামি যুগে যুগে, পর্ব-২০: জ্ঞান ও অজ্ঞান

শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা একজন জীবনযোদ্ধাকে যখন জীবনের পাঠ দিচ্ছেন, নির্দেশ করে দিচ্ছেন সত্যপথ, উদ্বোধিত করতে চাইছেন অন্তরের সুষুপ্ত বোধকে, তখন সেখানেও জ্ঞান ও অজ্ঞানের স্বরূপ উন্মোচন ও উপলব্ধির মধ্য দিয়েই সাধক, বীর কিংবা সংসারী গৃহস্থ অথবা মূঢ়চেতা হীনবল মানুষ আত্মশক্তি অর্জন করতে করতে উত্তরণের পথ পেতে চায়।

read more
গল্পবৃক্ষ, পর্ব-১৯: নাগজাতক— অকৃতজ্ঞ সেই লোকটা

গল্পবৃক্ষ, পর্ব-১৯: নাগজাতক— অকৃতজ্ঞ সেই লোকটা

বারাণসীর নগরে ঘুরতে ঘুরতে বনচর দন্তকারবীথীতে প্রবেশ করল। সেখানে গজদন্তের বিবিধ দ্রব্য নির্মিত হয়। সে কথা বলে জানলো যে মৃতহস্তীর তুলনায় জীবিত হস্তীর দন্তের মূল্য অধিক, চাহিদাও বেশি। তখন সে একটি সুতীক্ষ্ণ করাত ও কিছু পাথেয় নিয়ে বেরিয়ে পড়ল।

read more
শিবরাত্রি: তোমার নৃত্য অমিতবিত্ত ভরুক চিত্ত মম

শিবরাত্রি: তোমার নৃত্য অমিতবিত্ত ভরুক চিত্ত মম

কথায় বলে শিবের অসাধ্য কিছু নেই। আবার এমন অনেক কাজ আছে, যা নাকি শিবের-ও অসাধ্য। শিব শব্দের আক্ষরিক অর্থ কল্যাণ। তাহলে, কল্যাণশক্তি বা শুভবোধ সর্বশক্তিমান। তবে এও ঠিক যে, কল্যাণ অবাধ নয়, নিমেষেই সকল কিছু নিষ্কলুষ হয়ে যায় না। তাই বুঝি, শিবের অসাধ্যি অনেক কিছুই।

read more
গল্পবৃক্ষ, পর্ব-১৮: কুক্কুরজাতক — কে দোষী?

গল্পবৃক্ষ, পর্ব-১৮: কুক্কুরজাতক — কে দোষী?

সেবার বারাণসীতে ব্রহ্মদত্তের রাজত্বকালে বোধিসত্ত্ব প্রাক্তনকর্মফলে কুকুর হয়ে জন্মেছেন। মহাশ্মশানে বহুশত কুকুরবেষ্টিত হয়ে তিনি বসবাস করতেন। রাজা একদিন সিন্ধুদেশের শ্বেতঘোটকে টানা চর্মসজ্জায় সুসজ্জিত মহার্ঘ্যরথে উদ্যানভ্রমণে গেলেন। সূর্যাস্তের পর ফিরে এলেন রাজপুরীতে। চর্মশোভিত রথের সেই সুন্দর সাজ আর খোলা হল না, রাত্রিতে সজ্জিত সেই রথ রাজার উদ্যানেই পড়ে থাকল, তারপর নামল বৃষ্টি। বৃষ্টিতে ভিজে গেল সেই চামড়ার সাজ।

read more
বাংলা ভাষা উচ্চারিত হলে

বাংলা ভাষা উচ্চারিত হলে

রেলস্টেশনে এখন ট্রেনের কামরাতে না উঠে ডিব্বাতে ওঠাই দস্তুর। এমনকী, দিব্যাঙ্গদের জন্য নির্দিষ্ট যে “দিব্যাং” কম্পার্টমেন্ট এসে দাঁড়াবে সেটা কী বস্তু তা বুঝতে গেলে অনেক কসরত্ করতেই হবে, পাক্কা। ভাষায় উচ্চারণ আর বানান এই দ্বিবিধ প্রকাশের ব্যাপারে উদাসীনতা এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে “কামরা” আর “কামড়া”র মধ্যে কীজাতীয় ব্যবধান আছে তা নিয়ে ভাবার অবকাশ নেই।

read more
আমি আমার আমিকে চিরদিন এই বাংলায় খুঁজে পাই?

আমি আমার আমিকে চিরদিন এই বাংলায় খুঁজে পাই?

আজ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। বাংলাভাষার হাত ধরে এই স্বীকৃতি এসেছিল। সুকুমারের একুশে আইন কিংবা একুশে ফেব্রুয়ারির ভোর পেরিয়ে বাংলাভাষা অনেক পথ হেঁটেছে। জীবনের অনেক লেন, তস্যগলি, রাজপথ পেরিয়ে আজ কিছু আত্মসন্ধানের প্রয়োজন থাকে।

read more
ঈশ্বর কী সাড়া দেন তামিলে, সংস্কৃতে?

ঈশ্বর কী সাড়া দেন তামিলে, সংস্কৃতে?

গ্রিক রাজা আলেকজান্ডারের সসৈন্যে ভারত আগমন তথা আক্রমণের তখনও ঢের দেরি। ক্রমশ এই জনগোষ্ঠী নিজেদের ভাষা ও সভ্যতা নিয়ে রাজপুতানা ও মহারাষ্ট্র হয়ে দক্ষিণ-ভারতে বিস্তৃত হয় আবার গাঙ্গেয় উপত্যকাতেও বাস করতে থাকে। ভারতীয় উপমহাদেশে এই গোষ্ঠী ‘দ্রমিল’, ‘দ্রমিড়’ ‘দ্রবিড়’ নামে পরিচিত হয়। আর খ্রিস্টের জন্মের হাজার বছরের মধ্যে এই নাম তামিল ভাষায় (তমিঝ্, তমিল্) রূপ গ্রহণ করে। ক্যাল্ডওয়েল ও অন্যান্য অনেক পণ্ডিত মনে করেছেন যে, তামিল শব্দ থেকে দ্রবিড় শব্দটি ব্যুৎপন্ন, কিন্তু দ্রবিড় থেকে তামিল নয়।

read more
গল্পবৃক্ষ, পর্ব-১৭: কুক্কুটজাতক-চিনে নাও বন্ধু কে?

গল্পবৃক্ষ, পর্ব-১৭: কুক্কুটজাতক-চিনে নাও বন্ধু কে?

জাতকমালার গত পর্বের গল্পে দেখা গিয়েছিল এক চতুর শেয়াল-দম্পতি এবং এক নিরীহ কিন্তু বুদ্ধিমতী ছাগীকে। আজকের গল্পটির প্রতিপাদ্য প্রায় একরকম, এবং আগের কাহিনিতে মুখ্যচরিত্র না হলেও এই কাহিনিতে বোধিসত্ত্ব যথারীতি মুখ্য চরিত্র। তবে প্রতিপাদ্য কাহিনি নয়, এই গল্পের মূল অংশ হল এর ভাববস্তু, উপদেশ। গল্পে দেখা যাচ্ছে কৌশাম্বীনগরে রাজা কৌশাম্বকের রাজত্বকালে বোধিসত্ত্ব এক অরণ্যে কুক্কুট বা মোরগ হয়ে জন্ম নিয়েছেন, শতশত কুক্কুটের মাঝে একজন হয়ে তাঁর বাস। অদূরেই একটি শ্যেন বা বাজপাখি বাস করে, নানা কৌশলে কুক্কুট ধরে ধরে উদরসাৎ...

read more
ভাসাবে দোঁহারে

ভাসাবে দোঁহারে

শকুন্তলার প্রথম অঙ্কে হরিণটা ঊর্ধ্বশ্বাসে দৌড়চ্ছে। পিছনে দুষ্যন্ত। রাজা এসে পৌঁছলেন কণ্বের আশ্রমে। তারপর শকুন্তলাকে দেখলেন। দেখেই প্রেম জাগল। প্রণয় থেকে পরিণয় হলো। তারপর প্রত্যাখ্যান। তারপর পুনর্মিলন। তারপর জল অনেক গড়িয়েছে, মনে পড়ে রুবি রায়?

read more
বিখ্যাতদের বিবাহ-বিচিত্রা, পর্ব-১৫: এ কেমন রঙ্গ জাদু, এ কেমন রঙ্গ…/৩

বিখ্যাতদের বিবাহ-বিচিত্রা, পর্ব-১৫: এ কেমন রঙ্গ জাদু, এ কেমন রঙ্গ…/৩

মুরি’র দেখা ঝগড়ার এক ঝলক, লরেন্স ফ্রিডাকে বললেন, এই শেষ। আর তোমার সঙ্গে থাকা যাবে না। অসম্ভব। তুমি জানো আমার কি টাকা-পয়সা আছে। তোমার ভাগেরটা দিয়ে দিচ্ছি। বেরিয়ে যাও। বলে ওপর তলার থেকে এসে টেবিলের ওপর গুনে গুনে ষোল sovereign (মুদ্রা) রাখলেন। ফ্রিডা দরজার বাইরে দাঁড়িয়ে। হাতে টুপি ও কোট। কোথায় যাবেন জানেন না।

read more
গল্পবৃক্ষ, পর্ব-১৬: পূতিমাংসজাতক—শেয়ালের বুদ্ধি না ছাগলের বুদ্ধি?

গল্পবৃক্ষ, পর্ব-১৬: পূতিমাংসজাতক—শেয়ালের বুদ্ধি না ছাগলের বুদ্ধি?

জাতকমালার যে কাহিনি আজকের প্রতিপাদ্য সেখানে বোধিসত্ত্বের প্রত্যক্ষ ভূমিকা দেখা যাবে না। কাল বারাণসীরাজ ব্রহ্মদত্তের শাসনকাল, স্থান হিমালয়ের গহন বন। বোধিসত্ত্ব সেবার নাকি ওই বনের কোনও এক বনস্পতিতে বৃক্ষদেবতা হয়ে জন্মান্তর লাভ করেছেন। তিনি এই কথার নীরব সাক্ষী, মুখ্য চরিত্রগুলির মধ্যে তাঁর অন্তর্ভাব নেই।

read more

 

 

Skip to content