বোধিসত্ত্ব নানাজন্মে নানারূপ ধারণ করেছিলেন। আজকের কাহিনিটি একটু বিচিত্র, সেবার ব্রহ্মদত্তের শাসনকালে বারাণসী নগরে বোধিসত্ত্ব এক শূকরীর গর্ভে জন্ম নিয়েছিলেন। একদিন শূকরী তার দুটি পুত্রকে নিয়ে গর্তে শুয়ে ছিল। তখন এক বৃদ্ধা কার্পাসক্ষেত্র থেকে কার্পাসপূর্ণ ঝুড়ি নিয়ে হাতের লাঠিটিতে ঠকঠক আওয়াজ করতে করতে পথ দিয়ে যাচ্ছিল। শূকরী সেই শব্দ শুনে প্রাণভয়ে ভীত হয়ে পুত্রদুটিকে ফেলে পালিয়ে গেল।
বিচিত্রের বৈচিত্র
পৌষ সংক্রান্তি
আজ মকরসংক্রান্তি। ভারতীয় জ্যোতির্বিজ্ঞানে সংক্রান্তি সূর্যের রাশি পরিবর্তনের সঙ্গে সম্পর্কিত। মকর সংক্রান্তিতে সূর্য প্রবেশ করে মকররাশিতে। প্রচলিত বিশ্বাস অনুসারে, এই সময় থেকে সূর্যের উত্তরায়ণের সূচনা। কিন্তু বৈজ্ঞানিক-ভৌগোলিক গণনায় উত্তরায়ণের সূচনা ঘটে গিয়েছে দিনপনেরো আগে থেকেই। সে যাই হোক, ভারতবর্ষের সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ধর্মীয়জীবনে, পরম্পরাগত বিশ্বাসে ও যুগবাহিত সমাজদর্শনে মকরসংক্রান্তি এক বিশেষ দিন।
গল্পবৃক্ষ, পর্ব-১২: দর্দরজাতক
জীবনে বহুকৌণিক ও আপাতবিরুদ্ধ বিবিধ ধর্মের নির্ণয় ও পালনেই আসে সার্থকতা। মহাদর্দর সেই কর্তব্যের পালনে চ্যুত হননি বলেই তাঁর সেই ক্ষুদ্র তুচ্ছ জীবন একদা মিশবে মহাসাগরে, মহাজীবনের ছন্দোময় মন্দমধুর মহাধ্বনির অমলিন ঝঙ্কারে সার্থক হবে একদিন।
গল্পবৃক্ষ, পর্ব-১১: কাঁটার মুকুট
সেবার বোধিসত্ত্ব স্বর্গের অন্যতম দেবপুত্রভাবে অবস্থান করছেন। ব্রহ্মদত্ত তখন বারাণসীর রাজা, সেসময় বারাণসীতে এক বিশাল উত্সব আয়োজিত হল। বারাণসী বলে কথা! সেই মহোত্সবে নাগ, পক্ষী, দেবগণ নানালোক থেকে বারাণসীতে আসতে থাকলেন। নানাবিধ স্বর্গলোক থেকে দেবতারা আসছেন, তাঁদের মধ্যে চারজন দেবপুত্র ছিলেন। বোধিসত্ত্ব এঁদের অন্যতম।
গীতা: সম্ভবামি যুগে যুগে, পর্ব-১৫: ত্রিগুণধারিণী দ্বিগুণ করেছে সগুণে
আজ যে ক্ষুদ্র, কাল সে বৃহৎ। আজ যে দীন, কাল সে-ই দীনবন্ধু। যাকে যতটা ভালো ভাবো সে হয়তো ততো ভালো নয়। যাকে যতটা খারাপ ভেবেছো, সেও ততটা খারাপ নয়। দোষে-গুণে যে পূর্ণ হয়ে যে জীবদেহ আর প্রাণের খেলা তার গুণের ভাণ্ডারে ত্রিবিধ গুণের টানাপোড়েন চলছে অবিরত।
গল্পবৃক্ষ, পর্ব-১০: মোহমুদ্গর
সেবার বোধিসত্ত্ব এক গোধারূপে জন্ম নিয়েছেন। সেই গোসাপটি প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে অরণ্যে বসবাস শুরু করল। কাছেই এক জটাজুটধারী অজিনবাস এক ব্রহ্মচারী তাপসের পর্ণকুটীর। সেই তাপস অত্যন্ত দুঃশীল। গোসাপটি নিত্যই তাপসের আশ্রমে চরতে যায়, তাঁকে প্রণাম করে আসে। এভাবেই দিন কাটছিল।
গল্পবৃক্ষ, পর্ব-৯: আসছে আমার পাগলা ঘোড়া
সেবার বোধিসত্ত্ব রাজার ঘরে জন্মেছেন। ক্রমে ক্রমে তিনি কালের নিয়মেই সিংহাসনে আসীন হলেন। রাজ্যাধিকার পেয়ে ধর্মমতে প্রজাপালন করতে লাগলেন। এক ব্রাহ্মণ রাজার রাজপুরোহিত ছিলেন, তাঁর নাম রুহক। এই কাহিনি এই রুহকের। জাতকমালার অন্তর্গত রুহক জাতক।
গীতা: সম্ভবামি যুগে যুগে, পর্ব-১৪: আমি তাইতে কি ভয় মানি!
কর্মের এই দুরূহ স্বরূপ কীরকম ঠিক? কোনটি কর্ম, কোনটি অকর্ম, কোনটি বিকর্ম তা না জানলে নিষ্কাম কর্মের সাধন যথার্থ হতে পারে না। কর্তব্যের অনুষ্ঠান হল কর্ম, নিষিদ্ধের অর্থাৎ অকর্তব্যের অনুষ্ঠান বিকর্ম। কর্মোত্তীর্ণ সন্ন্যাস হল কর্মের অকরণ বা অকর্ম। বেদবিহিত কর্তব্যের যথার্থ অনুগমন কর্তব্য বলে নন্দিত।
বিখ্যাতদের বিবাহ-বিচিত্রা, পর্ব-১২: ক্যাথরিন ম্যান্সফিল্ড ও মিডলটন মারে, এক ভালোবাসাহীন বিবাহ
সাহিত্যিক হিসেবেও বুদ্ধিতে ক্যাথেরিন তার চেয়ে অনেক উঁচুতে। এটা প্রতি নিয়ত বুঝতেন মারে। তাই পুরোপুরি আত্মমগ্ন থাকতেন নিজের পড়াশুনার জগতে। স্বার্থপরের মতো থাকতেন, যদিও স্বামী-স্ত্রী তারা। সংসারের সমস্ত কাজই ছিল ক্যাথেরিনের। কোথাও বেড়াতে গেলে প্লান করতেন মারে আর সব আয়োজন এবং কাজ ছিল ক্যাথেরিনের।
গল্পবৃক্ষ, পর্ব-৮: রাজার অ-সুখ
ধর্মশাস্ত্রে অনেক বিধিনিষেধ আর পরামর্শ রাজার জন্য বরাদ্দ হয়েছে বটে, এমনকী রাজা বিপত্গামী হলে তাঁর অমাত্যগণ তাঁকে নানা উপায়ে পথে আনার চেষ্টা করবেন এমন পরামর্শ আছে অর্থশাস্ত্রে। কিন্তু পাত্র-মিত্র-অমাত্যরাও যদি তথৈবচ হয়! তাঁরাও উত্পীড়ক, তাঁরাও প্রবঞ্চক, শঠ, ধূর্ত অমানুষ।
পাঠে-অনুবাদে পেলাম অমূল্য রতন: অভিজ্ঞান-শকুন্তলম্/২
কালিদাস সেই কবি, যিনি প্রমাণ করেছেন হাজার বিধিবিধান মেনে নিয়েও প্রতিভা তার সত্য স্বর শোনাতে পারে।—বুদ্ধদেব বসু।
গল্পবৃক্ষ, পর্ব-৭: বিনাশায় দুষ্কৃতম্
বোধিসত্ত্ব সেবার এক গৃহস্থের ঘরে জন্ম নিয়েছেন। যথাকালে প্রাপ্তবয়স্ক হলে তাঁর বিবাহ হল সুজাতার সঙ্গে। না, এই সুজাতা তাঁকে পায়সভক্ষণ করাননি। কিন্তু তিনি সুজাতা, সুকুলোদ্ভবা। রূপ-লাবণ্যে ও চরিত্রবলে তিনি শ্বশুরালয়ে সকলের মন জয় করেছিলেন। বোধিসত্ত্ব তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে আনন্দে কালযাপন করছিলেন।
বিখ্যাতদের বিবাহ-বিচিত্রা, পর্ব-১১: ক্যাথেরিন ম্যান্সফিল্ড ও মিডলটন মারে: এক আশ্চর্য বিবাহিত সম্পর্ক
নিউজিল্যান্ডের এক পুঁজিপতির মেয়ে ক্যাথরিন। বাবা শুধু সম্পত্তি বাড়ানোর পিছনে ছুটেছেন সারাজীবন। ক্যাথেরিনের মতে তার বাবা “the richest man in New zealand and the meanest”. বাবার ভালোবাসার অভাব ছোট থেকে তাকে নিঃস্ব করেছে। শুধু ভালোবাসা নয়, আর্থিক কোনও সহায়তা এবং জোটেনি অতি দুর্দিনে।
অভিজ্ঞান-শকুন্তলের নাট্যকার কালিদাস/১
বাল্যবয়সে পিতার মৃত্যুর পর কুমারদাস তাঁর মাতুলালয়ে প্রতিপালিত হতে লাগলেন। দুই মাতুলই একাধারে বীর অন্যদিকে পণ্ডিত, সাহিত্যচর্চার আটঘাট জানতেন। তাঁদের উৎসাহে কুমারদাসের বিদ্যাচর্চার পাশাপাশি শুরু হল সাহিত্য রচনার নিরন্তর অভ্যাস। ফল মিলল। কুমার রচনা করলেন আদিকাব্য রামায়ণ অনুসারী পঁচিশটি সর্গবিশিষ্ট বিখ্যাত মহাকাব্য ‘জানকীহরণ’।
গল্পবৃক্ষ, পর্ব-৬: ঘোড়ার ডিম
রাজার ঘোড়াশালে এক মঙ্গলাশ্ব ছিল, নাম তার পাণ্ডব। তার সহিস ছিল খঞ্জ। তার নাম গিরিদন্ত। স্বভাবতঃই তার চলত্শক্তি অবাধ ছিল না। কিন্তু অশ্বটির রজ্জু ধরে সহিস যখন চলাফেরা করত, তখন অশ্বটি ভাবতো তাকে বুঝি এ ভাবেই চলতে শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে।