মহামুনি বিশ্বামিত্রের আগমনে ধন্য হলেন বিদেহরাজ জনক। রাজা, মহর্ষির কাছে বিনীতভাবে জানতে চাইলেন তাঁর সঙ্গে সমাগত শৌর্যশালী, দেবতুল্য পরাক্রমী, সুপুরুষ, নবীন, কুমারদ্বয়ের পরিচয়। এঁদের পিতা কে?

মহামুনি বিশ্বামিত্রের আগমনে ধন্য হলেন বিদেহরাজ জনক। রাজা, মহর্ষির কাছে বিনীতভাবে জানতে চাইলেন তাঁর সঙ্গে সমাগত শৌর্যশালী, দেবতুল্য পরাক্রমী, সুপুরুষ, নবীন, কুমারদ্বয়ের পরিচয়। এঁদের পিতা কে?
আচার্য আপোদ ধৌম্যের তিনজন শিষ্যের একজন বেদ। শিষ্যের প্রতি গুরু ধৌম্যের আদেশানুসারে শিষ্য বেদ সেবাপরায়ণ হয়ে কিছুকাল গুরুগৃহে অবস্থান করলেন।
দেবী অহল্যার শাপমুক্তির নিয়ামক রামচন্দ্র। ‘রাম’—এই নামটির মহিমা অপার, যিনি সকলকে আনন্দ দান করেন, তিনিই রাম। তাই কী তিনিই মুক্তির আবহ এনে দিলেন অহল্যার জীবনে?
রাজনীতিতে, যুদ্ধে, অস্তিত্বরক্ষার জীবনসংগ্রামে হৃদয়দৌর্বল্যের কোনও স্থান নেই যে। কুরুকুলের মাননীয় আচার্যেরদের মতোই আধুনিক যুগেও এই লজ্জাজনক পরম্পরা অব্যাহত।
অপারকৌতূহলে জিজ্ঞাসু রামচন্দ্র জানতে চাইলেন, কোন রাজবংশীয় রাজা রাজত্ব করছেন ওই বিশাল নগরীতে? আমার যে ভীষণ কৌতূহল, আমি শুনতে চাই তার কথা।
মহাভারতের কাহিনি বর্ণনা প্রসঙ্গে কথকঠাকুর সৌতি উগ্রশ্রবা গুরুর প্রতি শিষ্যের আনুগত্য, নিঃশর্ত বিনয় এবং প্রশ্নাতীত সৌজন্যের উদাহরণ হিসেবে তিনজন শিষ্যের বৃত্তান্ত উপস্থাপিত করেছেন।
সগররাজা সিদ্ধান্ত নিলেন, পুত্রদের সফল প্রত্যাবর্তনের অপেক্ষায় যজ্ঞকর্তা তিনি এবং পৌত্র অংশুমান সেখানেই অবস্থান করবেন। অশ্ব অনুসন্ধানে যাত্রা শুরু করলেন সগরপুত্ররা।
কুরুপাণ্ডবদের আর এক পিতামহ, যিনি জন্মমাত্রই ঋষিত্ব বরণ করেছেন, গৃহের বন্ধনে ধরা দেননি। কিন্তু গৃহকোণের স্নেহের মায়াডোরটুকু ছুঁড়ে ফেলে দিতে পারেননি।
হিমালয় এবং মেরুদুহিতা মেনার দুই কন্যা। জ্যেষ্ঠা গঙ্গা এবং কনিষ্ঠা পার্বতী। দেবতারা তাঁদের কোন অভীষ্ট কার্যসিদ্ধির জন্যে পর্বতশ্রেষ্ঠ হিমালয়ের কাছে ত্রিপথগামিনী জ্যেষ্ঠা কন্যা গঙ্গাকে চাইলেন।
মহাভারতের পিতামহ দুজন। একজন — দ্রষ্টা, স্রষ্টা, ধর্মোপদেষ্টা, কবি, ক্রান্তদর্শী, তিনি হলেন মহর্ষি বেদব্যাস। আর একজন প্রাজ্ঞ, বিজ্ঞ, যিনি গৃহী হয়েও ষড়রিপুর অন্যতম কামকে জয় করে সংযতেন্দ্রিয় তিনি পিতামহ ভীষ্ম।
অরণ্য, পাহাড়, ভূমি, নদীর মতোই সত্য যে চিরন্তন।তাই নদীর মতোই যুগে যুগে তার পথপরিক্রমা। বিশ্বামিত্রের। সিদ্ধাশ্রমে গমনের কারণ হল যজ্ঞানুষ্ঠানে সিদ্ধিলাভ। সেই কাজে তিনি সফল।
রুগৃহের অস্ত্রাচার্য্য মহান ঋষি, ভরদ্বাজপুত্র দ্রোণাচার্য্য শৈশবে ঋষি ভরদ্বাজের স্নেহচ্ছায়ায় অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থানের অভাব বোধ করেননি। পিতার অভিভাবকত্বে তাঁর যথাযথ শিক্ষাও সম্পন্ন হয়েছিল।
শরজালে তাড়কাকে অবরুদ্ধ করে রামচন্দ্র তার হৃদয় বিদ্ধ করলেন। তাড়কানিধন সম্পন্ন হল। নির্বিঘ্নে রাত্রি অতিবাহিত হল সেই আশ্রমে।
জনমেজয়ের কৌতূহলনিবৃত্তির জন্যে বৈশম্পায়ন পূর্বপুরুষদের জন্মবৃত্তান্ত বর্ণনা করতে লাগলেন। পাণ্ডবদের পর এবার কৌরবদের চিত্তাকর্ষক জন্মকাহিনি।
ঋষি বিশ্বামিত্রের তত্ত্বাবধানে রাক্ষসদের বিরুদ্ধে রামচন্দ্রের অস্ত্র ধারণ ছিল মহাযুদ্ধে রাক্ষসদের বিরুদ্ধে যেন একটি প্রশিক্ষণ। কীভাবে তা সহায়ক হয়ে উঠেছিল ভাবীকালে রামের রাক্ষসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে বিজয়ই তার প্রমাণ।