‘রত্নদীপ’ ছবি সাফল্যের অনুষ্ঠানে বিকাশ রায়ের ত্রাহি মধুসূদন দশা কী রকম ঘটেছিল সে কথা জানাচ্ছেন অধ্যাপক অভিনেতা ড. শঙ্কর ঘোষ।

‘রত্নদীপ’ ছবি সাফল্যের অনুষ্ঠানে বিকাশ রায়ের ত্রাহি মধুসূদন দশা কী রকম ঘটেছিল সে কথা জানাচ্ছেন অধ্যাপক অভিনেতা ড. শঙ্কর ঘোষ।
‘জোর বরাত’ ছবির শুটিংয়ের সময় কালো দেবীকে জড়িয়ে ধরে চুমু খেলেন ছবির নায়ক। এই অস্বস্তিকার ঘটনার কথা জানাচ্ছেন অধ্যাপক অভিনেতা ড. শঙ্কর ঘোষ।
সুচিত্রা সেন ও সত্যজিৎ রায় জুটির ছবি নির্মাণের ঘটনা সম্পর্কে লিখছেন অধ্যাপক অভিনেতা লেখক ড.শঙ্কর ঘোষ।
তরুণ মজুমদারের পরিচালনায় যখন অমরগীতি ছবি তৈরি হচ্ছে, সেই সময় শিল্পী নির্বাচন নিয়ে যে ঘটনা ঘটেছিল, সেই কথাই তুলে ধরেছেন বিশিষ্ট অধ্যাপক অভিনেতা লেখক ড. শঙ্কর ঘোষ।
চিত্রনাট্য এতটাই আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছিল যে ছবি হিসেবে ‘সপ্তপদী’ যখন মুক্তি পেল, দর্শকের ঢল নামলো প্রেক্ষাগৃহগুলিতে।
রসিক ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফ্লোরের মধ্যে এক মজাদার কাহিনিকে তুলে ধরেছেন অধ্যাপক অভিনেতা ড. শঙ্কর ঘোষ।
বিকাশ রায় মনিটর নেওয়ার আগে সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায় এবং উত্তম কুমারকে সব বিস্তারিতভাবে বলে দিয়েছিলেন। উত্তম কুমার তখন ধ্যানমগ্ন অর্থাৎ পাগলের মুড নিয়ে প্রস্তুত।
তবলার লহরার একটি বিখ্যাত দৃশ্য ছিল এই ছবিতে। সেখানে নচিকেতা ঘোষ বেনারস থেকে বিখ্যাত তবলা বাদক শান্তাপ্রসাদকে কলকাতায় নিয়ে এসেছিলেন এই ছবির শুটিং করাতে।
সবিতা প্রথমে বুঝতে পারেননি যে ডালটা এসে পড়ল কোথা থেকে। তারপরে খানিকক্ষণ বাদে তিনি দেখলেন যে অদূর দাঁড়িয়ে আছেন হরিদাস ভট্টাচার্য।
ছবিটা করবার পর হরিদাস ভট্টাচার্য খানিকটা চিন্তিত ছিলেন। ছবির প্রজেকশন দেখার পর আরেক প্রযোজক প্রাণকৃষ্ণ দত্ত বললেন, “এই ছবি দারুণ হিট করবে”। হরিদাস ভট্টাচার্য বললেন, ‘অ্যাবসার্ড’।
বিভূতি লাহাকে উত্তমকুমার এসে জিজ্ঞাসা করলেন, “খোকাদা এখন আপনি কোন ছবির স্ক্রিপ্ট লিখছেন?” তখন বিভূতি লাহা বললেন, “আমি এখন রবীন্দ্রনাথের খোকাবাবুর প্রত্যাবর্তনের স্ক্রিপ্ট তৈরি করছি।”
‘অ্যাকশন’ বলার সঙ্গে সঙ্গে বাঘের খাঁচার মুখ খুলে দেয়া হল। বাঘ লাফ দিয়ে নেমে প্রথমে খানিক লম্ফঝম্প করে শান্ত হল। ‘ওকে’ হল। সত্যজিৎ রায় বাঘের মুখের কাছে গিয়ে আরও কিছু শট নিলেন।
শুটিং চলাকালীন সত্যজিৎবাবু বলেই রেখেছিলেন, “পান খাওয়া চলবে না”। সেই নির্দেশ অমান্য করার জন্য একদিন বকুনিও খেয়েছিলেন। ছবিতে মাধবীর স্বামী হয়েছেন অনিল চট্টোপাধ্যায়।
‘মমতা’ ছবি সারা দেশে অত্যন্ত জনপ্রিয় ছবি হয়েছিল। সুরকার রোশনের সুরে লতা মঙ্গেসকারের গাওয়া “রহে না রহে হম” গানটি আজও সমান জনপ্রিয় হয়ে আছে।
‘অগ্নিসংস্কার’ হল উত্তম সুপ্রিয়া অভিনীত চতুর্থ ছবি। এই জুটির প্রথম ছবি ‘সোনার হরিণ’, দ্বিতীয় ছবি ‘উত্তরমেঘ’, তৃতীয় ছবি ‘শুন বরনারী’। অগ্নিসংস্কারের কাহিনীকার বিনয় চট্টোপাধ্যায়।