ছবি প্রতীকী
হাইকোর্টের রায়ের স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেন গাড়ির চালকরা। ট্রাফিক পুলিশের একাংশের জোরজুলুমের শিকার হচ্ছিলেন চালকরা। দু’চাকা, চার চাকা, সব ক্ষেত্রেই চালকদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার এবং অন্যায় ভাবে টাকা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে পুলিশের একাংশের বিরুদ্ধে।
কিছু কিছু ক্ষেত্রে পুলিশ চালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্সও জমা রেখে দেন। পরে জরিমানার দিয়ে সেই লাইসেন্স ফেরত নিতে হয়। এর ফলে গাড়ির চালকদের খুব সমস্যায় পড়তে হয়। এই সম্পর্কিত একটি মামলায় কলকাতা হাইকোর্ট পরিষ্কার জানিয়েছে, কোনও ভাবেই পুলিশ চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স জমা রাখতে পারবে না।
কিছু কিছু ক্ষেত্রে পুলিশ চালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্সও জমা রেখে দেন। পরে জরিমানার দিয়ে সেই লাইসেন্স ফেরত নিতে হয়। এর ফলে গাড়ির চালকদের খুব সমস্যায় পড়তে হয়। এই সম্পর্কিত একটি মামলায় কলকাতা হাইকোর্ট পরিষ্কার জানিয়েছে, কোনও ভাবেই পুলিশ চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স জমা রাখতে পারবে না।
হাইকোর্ট সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি পুলিশ এক ব্যক্তির ড্রাইভিং লাইসেন্স জমা রাখে। ওই ব্যক্তি তাঁর লাইসেন্স দীর্ঘদিন ফেরত না পেয়ে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন। মামলাকারীর প্রশ্ন ছিল, ট্রাফিক আইন ভাঙলে পুলিশ জরিমানা করতে পারে অথবা আইন অনুযায়ী কেস দিতে পারে। কিন্তু পুলিশ গাড়ির চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স কীভাবে জমা রাখতে পারেন? সেই মামলায় কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অজয়কুমার চক্রবর্তী তাঁর দেওয়া রায়ে বলেন, ড্রাইভিং লাইসেন্স হল একজন চালকের পরিচয় পত্র। তাই পুলিশ এটি কোনও ভাবেই তাঁদের কাছে জমা রাখতে পারে না।
বিচারপ আরও বলেন, চালক যদি ট্রাফিক আইন ভাঙেন তাহলে পুলিশ আইন অনুযায়ী জরিমানা করতে পারে। অথবা আইনে যে শাস্তির বিধান রয়েছে তা দিক। কিন্তু চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স কেড়ে নেওয়া যাবে না। এই নিয়ম দু’চাকা, চার চাকা, ৬ চাকা, ১০ চাকা বা ১৬ চাকা-সহ সব ধরণের গাড়ির ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।
বিচারপ আরও বলেন, চালক যদি ট্রাফিক আইন ভাঙেন তাহলে পুলিশ আইন অনুযায়ী জরিমানা করতে পারে। অথবা আইনে যে শাস্তির বিধান রয়েছে তা দিক। কিন্তু চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স কেড়ে নেওয়া যাবে না। এই নিয়ম দু’চাকা, চার চাকা, ৬ চাকা, ১০ চাকা বা ১৬ চাকা-সহ সব ধরণের গাড়ির ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।