
ছবি: সংগৃহীত।
এমন একটা দিন আসবে যেদিন আজ হাতের পাশে থাকা অনেক কিছুই যাদুঘরে থাকবে হয়তো। মানুষ নিজেই একদিন যাদুঘরে থাকবে না জোর দিয়ে কি বলা যায়?
এই যেমন টানাপাখা যাদুঘরে, মমি যাদুঘরে, তেপান্তরের মাঠ থেকে বৌঠাকুরাণীর হাট কিংবা অপরাহ্নের আলোয় ভেজা মেদুর দীঘির ঘাট… এসব কেবল সাহিত্যের পাতায়, নয়তো বিস্মৃতির লোকে। সাদা কালো টিভি, ফ্লপি, সিডি, রিলভরা ক্যামেরা, ইয়াব্বড় ব্যাটারি ভরা টর্চ কিংবা কালিভরা ঝর্ণা কলম অথবা একান্নবর্তী পরিবার এইসব বড় একটা চলে না, একপ্রকার যাদুঘরেই। এমনকী বহু যন্ত্র যাদুঘরে, বহু প্রযুক্তি যাদুঘরে। জগতে কোনটা চলবে আর চলবে না, কোনটা চলতে চলতে থেমে যাবে, কোনটা থেমে গিয়েও চলে গিয়েও ফিরে আসবে তার একরৈখিক কোনও ব্যখ্যা নেই। চলছে অনেক কিছুই, যা তেমন কিছু নয়। চলছে না অনেক কিছুই, যা গভীর ও মননশীল।
বই চলছে? বই চলবে? তা হঠাৎ করে বই কেন? বইমেলা চলছে বলে, মানুষ বই দেখতে যাচ্ছে বলে?
উত্তরটা হ্যাঁ, অথবা না। “হ্যাঁ”, কারণ, এটাই বই নিয়ে কিছু বলার বা লেখার বেশ ভালো সময়, তাই একথা সেকথা পেড়ে বইতে পৌঁছনোর চেষ্টা আর কী! আর উত্তরটা “না” কারণ, বইমেলাটাকেই একটা যাদুঘর ভেবে দেখা যায়, যেখানে বই নামের কিছু একটাকে বাঁচিয়ে রাখার আপ্রাণ চেষ্টা হচ্ছে।
এই যেমন টানাপাখা যাদুঘরে, মমি যাদুঘরে, তেপান্তরের মাঠ থেকে বৌঠাকুরাণীর হাট কিংবা অপরাহ্নের আলোয় ভেজা মেদুর দীঘির ঘাট… এসব কেবল সাহিত্যের পাতায়, নয়তো বিস্মৃতির লোকে। সাদা কালো টিভি, ফ্লপি, সিডি, রিলভরা ক্যামেরা, ইয়াব্বড় ব্যাটারি ভরা টর্চ কিংবা কালিভরা ঝর্ণা কলম অথবা একান্নবর্তী পরিবার এইসব বড় একটা চলে না, একপ্রকার যাদুঘরেই। এমনকী বহু যন্ত্র যাদুঘরে, বহু প্রযুক্তি যাদুঘরে। জগতে কোনটা চলবে আর চলবে না, কোনটা চলতে চলতে থেমে যাবে, কোনটা থেমে গিয়েও চলে গিয়েও ফিরে আসবে তার একরৈখিক কোনও ব্যখ্যা নেই। চলছে অনেক কিছুই, যা তেমন কিছু নয়। চলছে না অনেক কিছুই, যা গভীর ও মননশীল।
বই চলছে? বই চলবে? তা হঠাৎ করে বই কেন? বইমেলা চলছে বলে, মানুষ বই দেখতে যাচ্ছে বলে?
উত্তরটা হ্যাঁ, অথবা না। “হ্যাঁ”, কারণ, এটাই বই নিয়ে কিছু বলার বা লেখার বেশ ভালো সময়, তাই একথা সেকথা পেড়ে বইতে পৌঁছনোর চেষ্টা আর কী! আর উত্তরটা “না” কারণ, বইমেলাটাকেই একটা যাদুঘর ভেবে দেখা যায়, যেখানে বই নামের কিছু একটাকে বাঁচিয়ে রাখার আপ্রাণ চেষ্টা হচ্ছে।
এই “কিছু একটা” যে কী তা বলে বোঝানো মুশকিল বটে। বই বললে কার কেমন লাগে, শব্দটা কার মনে আর মগজে কেমন অভিঘাত আনে ও হানে তা বলা কঠিন বটে। বইতো মনের, মগজের দুটোর-ই। কেউ বইয়ের গন্ধ ভালোবাসে, কেউ ভালোবাসে হরফ, কেউ বাঁধাই, কেউ প্রচ্ছদ, কেউ নিখাদ লেখাটুকু। পরশুরামের কচি সংসদের কচি কবি পেলব রায় এফিডেবিট করে নিজের পিতৃদত্ত নামটি বদলাতে গেলে স্যর আশুতোষ নাকি এক ভল্যুম এনসাইক্লোপিডিয়া নিয়ে তাড়া করেছিলেন। কেউ জীবনে প্রথম পড়া বইকে ভোলে না, কেউ স্কুলজীবনের নতুন বইয়ের আনন্দ আর রং সারাজীবন মনে ধরে রাখে, কেউ পড়ার বইয়ের নিচে ধরা গল্পের বইয়ের গল্পটাকে আরও রঙিন করে, কেউ ছোটবেলাতেই “বড়দের বই” পড়ে, কেউ বড় হয়েও ছোটদের বইয়েই মেতে আছে, লাইব্রেরি থেকে ধার করা বই এখনও কারোর তাকে ভরা আছে, কেউ কেউ বই ধার করে ফেরত দেয় না, কেউ কেউ বই ধার দেয় না, কারোর অমূল্য বই ঠোঙা হবে বলে এইমাত্র বিক্রি হয়ে গেল, কোনও দুষ্প্রাপ্য বই ফুটপাতেই ফুটে উঠল হঠাৎ করে, কোনও বইয়ের ঠিক যে পাতাটা দরকার সেটাই বেবাক হাওয়া, কেউ উপহারে বই দিলে ও পেলে খুশি, কেউ নয়… আর, অনেকে বইয়ের পাড়া মাড়ায় না। বই ছাপতে কাগজ লাগে। আর কাগজ মানেই গাছের অপমৃত্যু। তাই বই পড়ার থেকে অন্য কিছু করতেই অনেকে সচ্ছন্দ।
বই অনেকে পড়েন, অনেকে পড়েন না। অনেকে নিতান্ত দায়ে পড়েন। অনেকে ভালোবাসেন। নতুন প্রজন্ম বই পড়ছে? অনেকে বলবেন, ছবিটা আশাব্যঞ্জক নয়, আবার অনেক ছবিই সেই হতাশাটাকেই ভেঙে দেয়।
বইমেলা চলছে। এবছর ক্যালেন্ডারের সৌজন্যে সরস্বতী পুজোর পাশে পাশেই বইমেলা। দুটি উত্সবেই তারুণ্যের ঝড় বয়ে যায়। মানুষ আসছেন, যাচ্ছেন বইমেলায়। হতে পারে বই কিনতে, হতে পারে বই দেখতে, হতে পারে ছবি তুলতে, হতেই পারে প্রেমের টানে। বইয়ের সঙ্গে প্রেম এখন কেমন জমে?
বই অনেকে পড়েন, অনেকে পড়েন না। অনেকে নিতান্ত দায়ে পড়েন। অনেকে ভালোবাসেন। নতুন প্রজন্ম বই পড়ছে? অনেকে বলবেন, ছবিটা আশাব্যঞ্জক নয়, আবার অনেক ছবিই সেই হতাশাটাকেই ভেঙে দেয়।
বইমেলা চলছে। এবছর ক্যালেন্ডারের সৌজন্যে সরস্বতী পুজোর পাশে পাশেই বইমেলা। দুটি উত্সবেই তারুণ্যের ঝড় বয়ে যায়। মানুষ আসছেন, যাচ্ছেন বইমেলায়। হতে পারে বই কিনতে, হতে পারে বই দেখতে, হতে পারে ছবি তুলতে, হতেই পারে প্রেমের টানে। বইয়ের সঙ্গে প্রেম এখন কেমন জমে?
আরও পড়ুন:

গল্পকথায় ঠাকুরবাড়ি, পর্ব-১১০: মানুষের পাশে, মানুষের কাছে

গীতা: সম্ভবামি যুগে যুগে, পর্ব-১৯: আপনামাঝে শক্তি ধরো নিজেরে করো জয়
বইমেলাতে বই থাকবে একটাই স্বাভাবিক। এবারের বইমেলাতে বইয়ের স্টলের সন্নিবেশ বেশ ভালো। যিনি বই খুঁজবেন তিনি পথ হারাবেন না। এছাড়াও প্রাতরাশ থেকে ডিনার সব বইমেলাতে পাওয়া যাচ্ছে। অনেকেই আউটিংয়ের জন্য আসছেন। মনের খাবারের সঙ্গে পেটের খাবার আছে। চয়েস আপনার। যে সব পণ্যের বিক্রি কম, ডেকে ডেকে গছাতে হয়, তার সঙ্গে অন্য জিনিস দিতে হয়। টা না থাকলে চা জমে না। অনেকেই তাই বইমেলার খাদ্যান্বেষণের ফাঁকে স্টলগুলো ঘুরে দেখছেন, অনেকে খিদে পেলে খাবার খুঁজছেন, অনেকে বই খুঁজে খুঁজেই সময় না পেয়ে আরেকদিন আসছেন। লিটল ম্যাগ থেকে বিগ পাবলিশার সকলেই যে যার মতো নিজের একশো শতাংশ দিচ্ছেন। সাহিত্যসাথী, বইবন্ধু, অক্ষরকর্মী, লেখক, সাহিত্যিক, কবি, প্রকাশকরা একমাঠে ঘুরছেন ফিরছেন। অনেকেই বই ছাপছেন, অনেকেই বই লিখছেন, সমাজমাধ্যমে জানিয়ে দিচ্ছেন সুলুক সন্ধান। খ্যাতনামা কবি সাহিত্যিকরা এই চাঁদের হাটে ধরা দিচ্ছেন, অনেকেই আবার বলে দিচ্ছেন এবার তাঁর কোনও বই আসেনি বইমেলাতে। মোট কথা, বাৎসরিক সারস্বতচর্চা, বুধমণ্ডলীর সমাবেশ সাংস্কৃতিক সমৃদ্ধি ঘটায় এ নিয়ে কোনও দ্বিধা থাকতে পারে না। শেষ পর্যন্ত লাভ বইনামক বস্তুটির। লাভ পাঠকের, লেখকের, প্রকাশকের, সমাজের, ভাষাচর্চার, সারস্বত সাধনার, লঘু থেকে গুরু সব রকম প্রতিপাদ্য ও লিখনশৈলীর।
আরও পড়ুন:

রহস্য উপন্যাস: পিশাচ পাহাড়ের আতঙ্ক, পর্ব-১০২: অন্ধকারে কে?

আকাশ এখনও মেঘলা/৪
বইমেলাতে গেলে নতুন নতুন কথা শোনা যায়, নতুন নতুন পোষাক দেখা যায়, পথ চলতে ক্যালেন্ডার মেলে, মেলে ব্যাঙ্কের অ্যাডভাইজ, নতুন প্রকাশিত চানাচুর আর টিভি সিরিয়াল। তথ্য আর মশলা পাশাপাশি, আপনি যা চান! বই কিনতে চাইলে কোনটা নেবেন? দশটা হাড়হিম ভূত, পঞ্চাশটা প্রেম, বিশটা অদ্ভুতের সঙ্গে কিছু অশরীরী আর পিশাচ, বেতাল, নরকের ডাক, সঙ্গে তন্ত্র আর দুশোখানা গোয়েন্দার অভিযান, নানারকম ইতিহাস, গাদা গাদা রেসিপি, জ্যোতিষ আর জ্যোতির্বিজ্ঞান, বেদ-বেদান্ত-উপনিষদ, বিপ্লব, অধ্যাত্ম, কেরিয়ার, নোটস, কেমন করে বাঁচবেন, বেড়াতে গেলে কী কী খাবেন, কোন সারে কেমন ফলন, শিল্পবিপ্লব থেকে কুটিরশিল্প, পরমাণু বোমা থেকে পরমাণুবাদ, সাহিত্যতত্ত্ব থেকে তাত্ত্বিক সাহিত্য এখানে পাবেন। অঙ্ক কিংবা অঙ্কন, সিন্ধুসভ্যতায় মশা ছিল কীনা, চাঁদে যাওয়ার ট্রেনের শিডিউল, মুরগি তার ডিম নিয়ে কী ভাবে, রবীন্দ্রনাথ কিংবা হর্ষবর্দ্ধন, শরত্ চাটুজ্জে কিংবা সুভাষচন্দ্র কোথায় কোথায় খেতে গিয়েছিলেন বা যাননি, আরব্যরজনী, ফেলুদা কিংবা শকুন্তলার প্রেম, ইয়েতি ও বুনিপের সঙ্গে একদিন থেকে কলতলার ঝগড়ার ইতিহাস… স–ব বইমেলাতে আছে। যা যা বলা হলো না তাও আছে। আছেন মনীষীরা, তাঁদের বাণী, ভাবনা, রচনা, দিনলিপি আছে। যাঁরা ভাবীকালে মনীষী হবেন তাঁরাও আছেন। কালজয়ী, বেস্টসেলার আছে। আহামরি, অসাধারণ, হাইপ আছে। উইকাটা পুরনো বই-ও আছে। আপনি যা চান!
আরও পড়ুন:

সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-৮৭: সুন্দরবনের পাখি — ফিঙে

এগুলো কিন্তু ঠিক নয়, পর্ব-৪৯: বেশি ঘুম শরীরের পক্ষে ভালো?
জার্মানি থেকে বেরিয়ে জাপানে জিরিয়ে চট করে ইতালি ঘুরে মেক্সিকোয় ঢুকে পড়া আছে, আউটের পথে সেঁধোনো আছে, দরজায় লাইন আছে। অজস্র লাইক, শেয়ার, সাবস্ক্রাইব আছেন, সেলফি আছে, বই কিনলে সই আছে, আছে বৈঠক, প্রেমালাপ, বসন্তবায়ু, যুগলযাপন আছে। বইমেলা যেন সব আইটেম-ভরা নোটবুক। আপনি যা চান আমি ঠিক তাই! মনে রাখতে হবে, একদা অপ্রতিদ্বন্দ্বী বইয়ের প্রতিস্পর্ধী এখন কম নয়।
এককালে যাকে গ্রন্থ বলা হতো, দুপাশে দুটো কাঠের পাটার মাঝে সমান মাপের কিছু সযত্নলালিত কাগজ, মাঝ বরাবর একটা ছিদ্রের মধ্য দিয়ে গ্রন্থি বা সুতো চালনা করে সবটাকে বেঁধে রাখা থেকে গ্রন্থ হয়ে ওঠা। পুথির এই বৈশিষ্ট্য তো আধুনিক স্পাইনে বাঁধা বইতে নেই। তবে বই হয়ে ওঠাও একটা শিল্প, ওই পুথির মতো। গর্ভের দিনগুলো পার করে যেমন জীবনের আত্মপ্রকাশ, তেমন করেই পাণ্ডুলিপি থেকে প্রুফ, পাতা সাজানো, অলংকরণ, কম্পোজ ইত্যাদি পার হয়ে বই হয়ে ওঠা। পুথির ওই গ্রন্থিবদ্ধতায় যেমন ধরা আছে বড় কালখণ্ডের বিবিধ চিন্তাপ্রসূত জ্ঞানরাশি, তেমনই বইয়ের দুনিয়াতে ধরা দেয় সম্ভব-অসম্ভবের দুনিয়া। বই পড়ার মধ্য দিয়েই ঘটে যায় ইনভেনশন, ডিসকভারি, যা জানা নেই তাকে জানা, যা জানা আছে তাকে আত্মস্থ করা, যা জানতে চাওয়া তার সন্ধান, যা হয়েছে তাকে উপলব্ধি করা, যা হতে পারে তাকে মননের অভ্যাস। তাই, বই পড়া একটা যাপন। বই মনের ও মগজের খাদ্য।
এককালে যাকে গ্রন্থ বলা হতো, দুপাশে দুটো কাঠের পাটার মাঝে সমান মাপের কিছু সযত্নলালিত কাগজ, মাঝ বরাবর একটা ছিদ্রের মধ্য দিয়ে গ্রন্থি বা সুতো চালনা করে সবটাকে বেঁধে রাখা থেকে গ্রন্থ হয়ে ওঠা। পুথির এই বৈশিষ্ট্য তো আধুনিক স্পাইনে বাঁধা বইতে নেই। তবে বই হয়ে ওঠাও একটা শিল্প, ওই পুথির মতো। গর্ভের দিনগুলো পার করে যেমন জীবনের আত্মপ্রকাশ, তেমন করেই পাণ্ডুলিপি থেকে প্রুফ, পাতা সাজানো, অলংকরণ, কম্পোজ ইত্যাদি পার হয়ে বই হয়ে ওঠা। পুথির ওই গ্রন্থিবদ্ধতায় যেমন ধরা আছে বড় কালখণ্ডের বিবিধ চিন্তাপ্রসূত জ্ঞানরাশি, তেমনই বইয়ের দুনিয়াতে ধরা দেয় সম্ভব-অসম্ভবের দুনিয়া। বই পড়ার মধ্য দিয়েই ঘটে যায় ইনভেনশন, ডিসকভারি, যা জানা নেই তাকে জানা, যা জানা আছে তাকে আত্মস্থ করা, যা জানতে চাওয়া তার সন্ধান, যা হয়েছে তাকে উপলব্ধি করা, যা হতে পারে তাকে মননের অভ্যাস। তাই, বই পড়া একটা যাপন। বই মনের ও মগজের খাদ্য।
আরও পড়ুন:

মহাকাব্যের কথকতা, পর্ব-১০১: অর্জুন প্রমাণ করলেন, রাজধর্ম পালনের ক্ষেত্রে মিথ্যাচারের কোনও স্থান নেই

বিখ্যাতদের বিবাহ-বিচিত্রা, পর্ব-১৪: ‘…জীবন খুঁজে পাবি ছুটে ছুটে আয়’, লরেন্স ও ফ্রিডা/২
এ বছরের কলকাতা আন্তর্জাতিক পুস্তকমেলার শেষলগ্ন এখন। মেলা হল মিলনের জায়গা, সমভাবাপন্ন মানুষের সমাগত হওয়ার পীঠস্থান। এদের আচার-আচরণ, অভ্যাস, ভাবনায় পার্থক্য থাকতে পারে, কিন্তু সকলেই বই পড়েন, বইকে আর পাঁচটা অপরিহার্য বিষয়ের মতোই জীবনে বহন করেন, করবেন, এমনটা ধরে নেওয়া যায়।
হ্যাঁ, বইয়ের টিকে থাকার জন্য মাঝে অনেক সংকট আছে। অডিও বুক, আন্তর্জালে বইয়ের ডিজিটাল ভার্সন আর ই-লাইব্রেরি পড়াশোনাকে অন্য স্তরে নিয়ে গেছে। স্কুলের কেন, কোনও ব্যাগ আজ বইয়ের ভারে ন্যুব্জ নয় হয়তো, তবু বই হাতে নিয়ে পাতার পর পাতা এগিয়ে চলার যে অভিজ্ঞতা তার ডিজিটাল ভার্সন হয় না বোধহয়। পাতায় পাতায় নোটস, দাগিয়ে রাখার অভ্যাসের চর্চা কাগজের বইতে যতটা ভালো হবে, স্ক্রিনে কি ততোই মধুর? কে জানে!
আনুষ্ঠানিক বইমেলা ক’দিনের বৈ তো নয়! তাতে কী! বইমেলা চলছে। মেলা বই সেখানে আছে। মেলা নানারকমের হতেই পারে। বইমেলা বইয়ের পাশাপাশি স্বপ্ন ফেরি করে। লেখক বেশি নাকি পাঠক তা জানা নেই, জানা নেই এযুগে মানুষের ধৈর্যের আয়ু কতো, তবু বই থাকে, তাকে সাজানো, সারি সারি। তাকে বিনা চলে না যে। পাঠক, লেখক থাকেন। পাঠক লেখক হয়ে ওঠেন, লেখক বিস্তীর্ণ পাঠের প্রেরণা পান। বইমেলা চলছে। মেলা বইয়ের সম্ভার নিজেকে মেলে ধরার সুযোগ করে দিচ্ছে। কৈ! বই ডাকছে কি?
হ্যাঁ, বইয়ের টিকে থাকার জন্য মাঝে অনেক সংকট আছে। অডিও বুক, আন্তর্জালে বইয়ের ডিজিটাল ভার্সন আর ই-লাইব্রেরি পড়াশোনাকে অন্য স্তরে নিয়ে গেছে। স্কুলের কেন, কোনও ব্যাগ আজ বইয়ের ভারে ন্যুব্জ নয় হয়তো, তবু বই হাতে নিয়ে পাতার পর পাতা এগিয়ে চলার যে অভিজ্ঞতা তার ডিজিটাল ভার্সন হয় না বোধহয়। পাতায় পাতায় নোটস, দাগিয়ে রাখার অভ্যাসের চর্চা কাগজের বইতে যতটা ভালো হবে, স্ক্রিনে কি ততোই মধুর? কে জানে!
আনুষ্ঠানিক বইমেলা ক’দিনের বৈ তো নয়! তাতে কী! বইমেলা চলছে। মেলা বই সেখানে আছে। মেলা নানারকমের হতেই পারে। বইমেলা বইয়ের পাশাপাশি স্বপ্ন ফেরি করে। লেখক বেশি নাকি পাঠক তা জানা নেই, জানা নেই এযুগে মানুষের ধৈর্যের আয়ু কতো, তবু বই থাকে, তাকে সাজানো, সারি সারি। তাকে বিনা চলে না যে। পাঠক, লেখক থাকেন। পাঠক লেখক হয়ে ওঠেন, লেখক বিস্তীর্ণ পাঠের প্রেরণা পান। বইমেলা চলছে। মেলা বইয়ের সম্ভার নিজেকে মেলে ধরার সুযোগ করে দিচ্ছে। কৈ! বই ডাকছে কি?
* ড. অভিষেক ঘোষ (Abhishek Ghosh) সহকারী অধ্যাপক, বাগনান কলেজ। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃত বিভাগ থেকে স্নাতকস্তরে স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত। স্নাতকোত্তরের পর ইউজিসি নেট জুনিয়র এবং সিনিয়র রিসার্চ ফেলোশিপ পেয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃত বিভাগে সাড়ে তিন বছর পূর্ণসময়ের গবেষক হিসাবে যুক্ত ছিলেন। সাম্বপুরাণের সূর্য-সৌরধর্ম নিয়ে গবেষণা করে পিএইচ. ডি ডিগ্রি লাভ করেন। আগ্রহের বিষয় ভারতবিদ্যা, পুরাণসাহিত্য, সৌরধর্ম, অভিলেখ, লিপিবিদ্যা, প্রাচ্যদর্শন, সাহিত্যতত্ত্ব, চিত্রকলা, বাংলার ধ্রুপদী ও আধুনিক সাহিত্যসম্ভার। মৌলিক রসসিক্ত লেখালেখি মূলত: ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে। গবেষণামূলক প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়ে চলেছে বিভিন্ন জার্নাল ও সম্পাদিত গ্রন্থে। সাম্প্রতিক অতীতে ডিজিটাল আর্ট প্রদর্শিত হয়েছে আর্ট গ্যালারিতে, বিদেশেও নির্বাচিত হয়েছেন অনলাইন চিত্রপ্রদর্শনীতে। ফেসবুক পেজ, ইন্সটাগ্রামের মাধ্যমে নিয়মিত দর্শকের কাছে পৌঁছে দেন নিজের চিত্রকলা। এখানে একসঙ্গে হাতে তুলে নিয়েছেন কলম ও তুলি। লিখছেন রম্যরচনা, অলংকরণ করছেন একইসঙ্গে।