প্রতীক্ষার অবসান। বাংলাদেশে উদ্বোধন হল বহু প্রতীক্ষিত মেট্রো পরিষেবার। বুধবার দেশে প্রথম মেট্রো রেল পরিষেবার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উত্তরায় অনুষ্ঠান শেষে দুপুর ২টো নাগাদ মেট্রো রেল উত্তরা থেকে যাত্রীদের নিয়ে রওনা দেয় আগারগাঁওয়ের উদ্দেশ্যে। রাজধানীর দিয়াবাড়ি (উত্তরা) থেকে মেট্রোরেল আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রী নিয়ে আগারগাঁও স্টেশনে পৌঁছাল। মেট্রোতে যাত্রী হিসেবে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, মন্ত্রিসভার সদস্য ও অতিথিরা।
দুপুর ১টা ৪০ মিনিট নাগাদ প্রধানমন্ত্রী দিয়াবাড়ি স্টেশনে সবুজ পতাকা নাড়িয়ে মেট্রোরেল পরিষেবার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। এর আগে প্রধানমন্ত্রী মেট্রোরেলের টিকিট (কার্ড) কাটেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন ছোট বোন শেখ রেহানা। তিনিও মেট্রো টিকিট কাটেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আজকে আমরা বাংলাদেশের অহংকারের আরেকটি পালক সংযোজন করতে পারলাম। বাংলাদেশের উন্নয়ন, অগ্রযাত্রায় আরেকটি পালক যুক্ত হল এটাই বড় কথা। ’
প্রধান বলেন, মেট্রোরেল করতে অনেক টাকা খরচ হয়েছে। একে সংরক্ষণের দায়িত্ব সবার। মেট্রোরেলের যাতে কোনও ক্ষতি না হয় সবাইকে সে বিষয়ে যত্নশীল হতে হবে। সেই সঙ্গে মেট্রোরেল নিয়মত ভাবে ব্যবহারের জন্য অনুরোধ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
দুপুর ১টা ৪০ মিনিট নাগাদ প্রধানমন্ত্রী দিয়াবাড়ি স্টেশনে সবুজ পতাকা নাড়িয়ে মেট্রোরেল পরিষেবার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। এর আগে প্রধানমন্ত্রী মেট্রোরেলের টিকিট (কার্ড) কাটেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন ছোট বোন শেখ রেহানা। তিনিও মেট্রো টিকিট কাটেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আজকে আমরা বাংলাদেশের অহংকারের আরেকটি পালক সংযোজন করতে পারলাম। বাংলাদেশের উন্নয়ন, অগ্রযাত্রায় আরেকটি পালক যুক্ত হল এটাই বড় কথা। ’
প্রধান বলেন, মেট্রোরেল করতে অনেক টাকা খরচ হয়েছে। একে সংরক্ষণের দায়িত্ব সবার। মেট্রোরেলের যাতে কোনও ক্ষতি না হয় সবাইকে সে বিষয়ে যত্নশীল হতে হবে। সেই সঙ্গে মেট্রোরেল নিয়মত ভাবে ব্যবহারের জন্য অনুরোধ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মেট্রো রেলে উত্তরা থেকে আগারওগাঁও যেতে সময় নেয় মাত্র ১০ মিনিট ১০ সেকেন্ড। এর জন্য ভাড়া পড়বে ৬০ টাকা। প্রতি মেট্রোয় ছয়টি করে কোচ থাকবে। ট্রেনের দু’ দিকের দুটি কোচে চালক থাকবেন। এই কোচগুলিতে ৪৮ জন যাত্রীর বসার ব্যবস্থা আছে। আর মাঝখানের চারটি কোচ ৫৪ জন যাত্রী বসতে পারবেন। অর্থাৎ প্রতি ট্রেনে মোট ৩০৬ জন যাত্রীর বসার ব্যবস্থা রয়েছে। সব মিলিয়ে বসে এবং দাঁড়িয়ে একটি ট্রেনে সর্বাধিক ২ হাজার ৩০৮ জন যাত্রী উঠতে পারবেন। ট্রেনগুলি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। ট্রেনের দু’ পাশে সবুজ রঙের প্লাস্টিকের দুই সারি লম্বা বসার আসন রয়েছে। শহরভিত্তিক এই রেল ব্যবস্থা ঢাকা মেট্রো ম্যাস র্যািপিড ট্রানজিট বা এমআরটি নামে পরিচিত।
উল্লেখ্য, ঢাকা মহানগরীতে যানজটের সমস্যা তীব্র। মেট্রো পরিষেবা শুরু হওয়ার পর দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছতে পারবেন বলে আশাবাদী ঢাকার সাধারণ মানুষ।
উল্লেখ্য, ঢাকা মহানগরীতে যানজটের সমস্যা তীব্র। মেট্রো পরিষেবা শুরু হওয়ার পর দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছতে পারবেন বলে আশাবাদী ঢাকার সাধারণ মানুষ।
আরও পড়ুন:
তুষারঝড়ে বিপর্যস্ত আমেরিকা, বরফ সরতেই মিলছে মৃতদেহ! সাইক্লোন বোমায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৬২
শীতের সুর কেটেছে, ডিসেম্বর শেষেও পারদ ঊর্ধ্বমুখী, ফের শীত কবে হানা দেবে? জানিয়ে দিল হাওয়া অফিস
প্রথম ধাপে মেট্রো রেল চলবে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত। উত্তরা থেকে আগারগাঁও-এর মধ্যে দূরত্ব ১১.৭৩ কিমি। এই ধাপে মোট ৯টি মেট্রো স্টেশন রয়েছে। স্টেশনগুলি হল উত্তরা উত্তর (দিয়াবাড়ি), উত্তরা সেন্টার, উত্তরা দক্ষিণ, পল্লবী, মীরপুর ১১, মীরপুর ১০, কাজিপাড়া, শেওড়াপাড়া এবং আগারগাঁও। আর বাকি আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত রয়েছে রেলপথে রয়েছে মোট ৭টি মেট্রো স্টেশন। আগারগাঁও থেকে মতিঝিলের মধ্যে থাকে সাতটি মেট্রো স্টেশন হল বিজয় সরণি, ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, শাহবাগ, টিএসসি, প্রেসক্লাব এবং মতিঝিল। মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রো পরিষেবা চালু হবে ২০২৩ সালের শেষের দিকে। পরিকল্পনা রয়েছে আরও ১.৬ কিমি সম্প্রসারণ করে কমলাপুর পর্যন্ত মেট্রো রেল পরিষেবা শুরু করার। মনে করা হচ্ছে এই পরিষেবা শুরু হবে ২০২৫ সাল নাগাদ।
আরও পড়ুন:
ছোটদের যত্নে: হঠাৎই জ্বর, মুখে-হাতে ঘা হচ্ছে শিশুদের! কষ্টকর হলেও ভয়ের কিছু নেই, জেনে নিন কোন রোগের উপসর্গ এগুলি
ইংলিশ টিংলিশ: Appropriate Prepositions কাকে বলে জানো কি?
ট্রেনের গতি হবে সর্বোচ্চ ১০০ কিমি। উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে আগারগাঁও যেতে সময় লাগবে ২০ মিনিট। পরে সময় কমিয়ে ১৬-১৭ মিনিট করা হবে। প্রথমে ৫টি মেট্রো চালানো হবে। পরে ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানো হবে। আপাতত সকাল এবং বিকালে চালানো হবে মেট্রো। উদ্বোধনের দু’তিন মাসের মধ্যে সব যাত্রী নিয়ে মেট্রো ছুটবে।
প্রথম দিকে সব স্টেশনে ট্রেন দাঁড়াবে না। উত্তরা উত্তর থেকে মেট্রো ছাড়ার পর পল্লবী স্টেশন এবং আগারগাঁও স্টেশনে ট্রেন থামবে। যদিও কিছু দিন পর থেকে সব স্টেশনে মেট্রো দাঁড়বে। এখন মেট্রো চালাবেন জাপানের চালকরা। তাঁরা বাংলাদেশের চালকদের প্রশিক্ষণ দিতে শুরু করেছেন। প্রশিক্ষণ শেষ হলেই বাংলাদেশের চালকরা মেট্রো রেল চালাবেন।
ভাড়া কত?
সর্বনিম্ন ভাড়া ২০ টাকা। ১০০ টাকা ভাড়া হবে উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত। উত্তরা উত্তর থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রোর ভাড়া হবে ৬০ টাকা। ২০ টাকা ভাড়া লাগবে উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে উত্তরা মধ্য এবং উত্তরা দক্ষিণ স্টেশন পর্যন্ত। ৩০ টাকা ভাড়া উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে পল্লবী এবং মীরপুর ১১ স্টেশনের। কাজিপাড়া স্টেশনের ভাড়া ৪০ টাকা। মীরপুর ১০ টাকা। উত্তরা উত্তর থেকে শেওড়াপাড়া স্টেশনের ৫০ টাকা লাগবে।
প্রথম দিকে সব স্টেশনে ট্রেন দাঁড়াবে না। উত্তরা উত্তর থেকে মেট্রো ছাড়ার পর পল্লবী স্টেশন এবং আগারগাঁও স্টেশনে ট্রেন থামবে। যদিও কিছু দিন পর থেকে সব স্টেশনে মেট্রো দাঁড়বে। এখন মেট্রো চালাবেন জাপানের চালকরা। তাঁরা বাংলাদেশের চালকদের প্রশিক্ষণ দিতে শুরু করেছেন। প্রশিক্ষণ শেষ হলেই বাংলাদেশের চালকরা মেট্রো রেল চালাবেন।
ভাড়া কত?
সর্বনিম্ন ভাড়া ২০ টাকা। ১০০ টাকা ভাড়া হবে উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত। উত্তরা উত্তর থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রোর ভাড়া হবে ৬০ টাকা। ২০ টাকা ভাড়া লাগবে উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে উত্তরা মধ্য এবং উত্তরা দক্ষিণ স্টেশন পর্যন্ত। ৩০ টাকা ভাড়া উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে পল্লবী এবং মীরপুর ১১ স্টেশনের। কাজিপাড়া স্টেশনের ভাড়া ৪০ টাকা। মীরপুর ১০ টাকা। উত্তরা উত্তর থেকে শেওড়াপাড়া স্টেশনের ৫০ টাকা লাগবে।
আরও পড়ুন:
৭৮ বছর বয়সে নিভৃতে চলে গিয়েছিলেন বাংলা সাহিত্যের ভীষ্ম পিতামহ/৩
গল্প: পিছুটানে
ঢাকা মেট্রো রেলের পরিচালক সংস্থার জানিয়েছে, সাপ্তাহিক, মাসিক কিংবা পারিবারিক কার্ডের সুবিধা নিতে হলে এগুলি আগে থেকেই কিনতে হবে মেট্রো যাত্রীদের। প্রতিটি স্টেশনে মেশিন থাকবে। সেই মেশিন থেকেও কার্ড রিচার্জ করে নিতে পারবেন যাত্রীরা।
তিন তলা স্টেশন ভবনে যাত্রীদের সুবিধার্থে লিফট ও চলমান সিঁড়ি থাকছে প্রতিটি মেট্রো স্টেশনে। স্টেশন ভবনে দ্বিতীয় তলায় প্রশাসনিক ভবন থাকবে। এখানেই টিকিট কাউন্টার থাকবে। আর তিন তলায় প্ল্যাটফর্ম।
ঢাকা মেট্রো সেজে উঠছে জাপানের প্রযুক্তিকৌশলী এবং বাংলাদেশের প্রযুক্তিবিদদের সহায়তায়। মেট্রো রেল পরিচালনা এবং রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে রয়েছে ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড।
তিন তলা স্টেশন ভবনে যাত্রীদের সুবিধার্থে লিফট ও চলমান সিঁড়ি থাকছে প্রতিটি মেট্রো স্টেশনে। স্টেশন ভবনে দ্বিতীয় তলায় প্রশাসনিক ভবন থাকবে। এখানেই টিকিট কাউন্টার থাকবে। আর তিন তলায় প্ল্যাটফর্ম।
ঢাকা মেট্রো সেজে উঠছে জাপানের প্রযুক্তিকৌশলী এবং বাংলাদেশের প্রযুক্তিবিদদের সহায়তায়। মেট্রো রেল পরিচালনা এবং রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে রয়েছে ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড।