বিএনপির মহাসমাবেশ ঘিরে ঢাকায় পুলিশি তৎপরতা।
শনিবার সকালে বাংলাদেশের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি এবং তাদের সহযোগী সংগঠনের মহাসমাবেশ ঘিরে অশান্ত হয়ে উঠল রাজধানী ঢাকা। পল্টন-সহ শহরের একাধিক জায়গায় বিএনপি সমর্থক এবং পুলিশের সংঘর্ষ চলছে। এই ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফকরুল ইসলাম আমলগির, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস-সহ কয়েকশো নেতা-কর্মী। বিরোধীদের অভিযোগ, বিএনপির সদর দফতরের সামনে জমায়েতে পুলিশ অন্যায় ভাবে লাঠি চালিয়েছে।
বাংলাদেশে আগামী বছর সংসদীয় নির্বাচন। সে কথা মাথায় রেখে দীর্ঘদিন পরে শনিবার বাংলাদেশের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি ঢাকায় মহাসমাবেশের ডাক দেয়। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার দলের কর্মী-সমর্থকরা বৃহস্পতিবার থেকেই ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় জড়ো হতে শুরু করেন। এর পরে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ হয় বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন:
সোনার বাংলার চিঠি, পর্ব-৫: বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্র— বইয়ের জন্য ভালোবাসা
বাংলাদেশের জাগ্রত মন্দিরে মন্দিরে, পর্ব-৪০: কীর্তনখোলা নদীর তীরে সন্ধ্যার বরিশালের অন্য আকর্ষণ
সংঘর্ষে বৃহস্পতিবার এক বিএনপি কর্মীর মৃত্যুও হয়েছে। এদিকে, পুলিশ-প্রশাসনের অভিযোগ, বিএনপি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে অশান্তি সৃষ্টি করছে। যদিও বিরোধীদের অভিযোগ, তারা শান্তিপূর্ণ ভাবে জমায়েত করেছিলেন। কিন্তু পুলিশ বিনা প্ররোচনায় লাঠি, কাঁদানে গ্যাস, রবার বুলেট চালিয়েছে। বিরোধীদের এও অভিযোগ, পুলিশ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে সমাবেশের অনুমতি দিতে দেরি করেছে।
আরও পড়ুন:
বাইরে দূরে: অযোধ্যা— প্রাচীন ভারতীয় ধর্ম-সংস্কৃতি সমন্বয়ের প্রাণকেন্দ্র/১
গল্পকথায় ঠাকুরবাড়ি, পর্ব-৩৭: রান্নাবান্নার ঠাকুরবাড়ি
সেই অশান্তির মাঝেই ঢাকার গোলাপবাগে শনিবার সকাল ১০টা নাগাদ মহাসমাবেশ শুরু হয়েছে। বিএনপি-র চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মুক্তি, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ, জ্বালানি তেল এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পরিচালনায় নির্বাচনের দাবিতে ওই ‘মহাসমাবেশে’-এর আয়োজন করা হয়। ‘মহাসমাবেশে’ উপস্থিত ছিলেন মিজানুর রহমান মিনু, জয়নুল আবেদিন ফারুক, গয়েশ্বরচন্দ্র রায়-সহ বিএনপি-র কেন্দ্রীয় নেতারা।