ছবি: প্রতীকী।
২০২০ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ভারতে প্রায় ৪৭ লক্ষ মানুষ এই রোগে ভুগতেন। আধুনিক বিজ্ঞান বয়স বৃদ্ধি, মানসিক চাপ, উত্তেজনা, রক্তে স্নেহজাতীয় পদার্থ কোলেস্টেরল, ট্রাইগ্লিসারাইড ইত্যাদি বেড়ে যাওয়া, করোনারি আটারিতে থ্রম্বাস তৈরি হওয়া, পেট ফাঁপা, বিপাকীয় সমস্যা জনিত রোগ যেমন ডায়াবেটিস ইত্যাদিকে কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
দেখা যাক আয়ুর্বেদ কীভাবে একে ভেবেছে। যেহেতু হৃদয় প্রদেশে ব্যাথার অনুভূতি হয়, তাই একে হৃদশূল বা হৃচ্ছূল বলে আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে অভিহিত করা হয়েছে। মহর্ষি সুশ্রুত, মাধব কর এবং ভাব মিশ্র তাদের গ্রন্থে এই বিশেষ সমস্যাকে বিশদে উল্লেখ করেছেন।
হৃচ্ছূলের নিদান বা কারণ
রোগের লক্ষণ
এক্ষেত্রে বলে রাখা ভালো যে, মায়োকার্ডিয়াল ইন ফারক্শন বা হার্টের স্ট্রোকের ফলে যে সমস্ত লক্ষন দেখা যায়, সেই রকম কিছু কিছু লক্ষণের সাদৃশ্য এই এনজাইনাতে ও থাকে। তাই যথোপযুক্ত রক্ত পরীক্ষা, ইসিজি, ইকো কার্ডিওগ্রাম, ইত্যাদি করিয়ে নেওয়া এবং ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া সবসময়ই বাঞ্ছনীয়।
বিধানে বেদ-আয়ুর্বেদ: কাশিতে জেরবার? আয়ুর্বেদে রয়েছে কাশি থেকে বাঁচার সহজ উপায়
উত্তম কথাচিত্র, পর্ব-৩৮: চলতে চলতে ‘সাহেব বিবি ও গোলাম’
চিকিৎসা
তারপর সংশোধন চিকিৎসা বা বায়োপিউরিফিকেশন অত্যন্ত জরুরি। এই প্রক্রিয়াতে রোগীকে বাহ্য স্নেহন বা তেল মাখানো, তারপর ঘাম ঝরানো বা স্বেদনক্রিয়া করা, বমন করিয়ে শরীরের ঊর্ধ্ব ভাগের দোষকে বাইরে বার করানো বা বিরেচনের মাধ্যমে অধঃভাগ দিয়ে বার করানোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়, এই প্রক্রিয়া গুলি অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শে ও উপস্থিতিতে করানো উচিত।
সংশমনীয় চিকিৎসা
চূর্ণ ঔষধি যেমন অর্জুনছাল চূর্ণ ৩ গ্রাম দিনে দুবার দেওয়া যায়। পিপুল চূর্ণ এক গ্রাম দিনে দু’ বার মধু বা গরম জল-সহ। পুষ্করমূল চূর্ণ বা হরিতক্যাদি চূর্ণ তিন গ্রাম করে দিনে দু’বার দেওয়া যায়।
ক্বাথ বা পাচন হিসেবে
আসব বা অরিষ্ট হিসেবে
রস ঔষধি হিসেবে
এগুলো কিন্তু ঠিক নয়, পর্ব-২৩: বায়োপসি মানেই ক্যানসার?
হেলদি ডায়েট: তীব্র গরমে সুস্থ থাকতে ভরসা রাখুন ফলে-জলে-শরবতে
বটি হিসাবে
ঘৃত হিসাবে
তৈল হিসাবে
ভস্ম হিসাবে
পিষ্টি হিসাবে
প্রবাল পিষ্টি, মুক্তা পিষ্টি ২৫০ মিলিগ্রাম দিনে দু’ বার মধু-সহ খাওয়ানো যায়।
বিশেষ সর্তকতা
দশভুজা: তিনি ‘অরণ্যের বিশ্বকোষ’, ৭৯ বছর বয়সেও পরিবেশ সংরক্ষণে নিরলস পরিশ্রম করে চলেছেন তুলসী
পঞ্চমে মেলোডি, পর্ব-১৫: পঞ্চমের অনবদ্য সৃষ্টির মধ্যে একটি কিশোরের গাওয়া জনপ্রিয় ‘নদিয়া সে দরিয়া’ গানটি
পথ্য