ছবি: প্রতীকী।
আয়ুর্বেদ মতে, শ্বাসরোগ প্রাণবহ স্রোতের অর্থাৎ হৃদয় ও শ্বাসনালির (কার্ডিও রেস্পাইরেটরি সিস্টেম) এর একটি রোগ, যেখানে শ্বাস নেওয়া তথা শ্বাস ছাড়ার প্রক্রিয়ায় অতীব কষ্ট অনুভূত হয়। সাঁ সাঁ শব্দ উৎপন্ন হয় বলে একে শ্বাস রোগ বলে। এই রোগে মূলতঃ বায়ু ও কফ প্রকুপিত হয়ে থাকে। এই প্রকুপিত কফ দ্বারা বায়ু বিশেষ করে প্রশ্বাসবায়ু বা প্রাণবায়ুর যাতায়াতের রাস্তা যখন অবরুদ্ধ হয়, তখনই শ্বাসকষ্ট-সহ অন্যান্য লক্ষণ প্রকাশিত হয়।
শ্বাস রোগের নিদান
শ্বাসরোগ বাত প্রকোপক নিদান ও কফ প্রকোপক নিদানের মিলিত কারণ সহকারে উৎপন্ন হয়। বাত প্রকোপক নিদান যেমন: ধুলো ধোঁয়ার সংস্পর্শে আসা, শীতল বাতাস নেওয়া, শীতল জায়গায় বাস করা, অত্যধিক শারীরিক শ্রম, খাদ্য খাবার ঠিক মতো না খাওয়া, অত্যধিক রতিক্রিয়া করা, শারীরিক আঘাত, মল-মূত্র, হাঁচি-কাশি, তৃষ্ণা ইত্যাদির বেগ চেপে যাওয়া, ঠিক তেমনিই কফ প্রকোপক নিদান যেমন: ভেজা স্যাঁতস্যাঁতে জায়গায় থাকা, দুপুরে ঘুম, শীতল জলে স্নান, শীতল পানীয়, নতুন চালের ভাত, পিঠে, পায়েস, তিল ইত্যাদি তৈল বীজ বেশি খাওয়া, গুরুপাক খাবার খাওয়া, দই, জলে থাকা প্রাণীর মাংস বেশি খাওয়া, কাঁচা দুধ পান ইত্যাদি।
উপরোক্ত কারণগুলির জন্য বায়ু ও কফ উভয়ই যখন বেড়ে যায় বা প্রকুপিত হয় তখনই কফ বৃদ্ধির জন্য অগ্নিবল অর্থাৎ পাচকাগ্নি দুর্বল হয়ে আম বিষ তৈরি করে। কফকে অধিক দূষিত করে প্রকুপিত বায়ুর রাস্তায় অবরোধ উৎপন্ন করে। এই বাধা সৃষ্টির ফলে বায়ু অত্যধিক প্রকুপিত হয়ে পড়ে, যা শ্বাসকষ্ট নিয়ে আসে।
বিধানে বেদ-আয়ুর্বেদ: আমে কী কী পুষ্টিগুণ আছে? ফলের রাজা শরীরের লাভ না ক্ষতির কারণ? কী বলছে আয়ুর্বেদ শাস্ত্র?
প্রসঙ্গ স্বাস্থ্য বিজ্ঞান: জিনই মানুষকে অনন্য করেছে, শতাধিক স্তন্যপায়ীর জিন বিশ্লেষণে মিলল চমকপ্রদ তথ্য
শ্বাস রোগের প্রকার
পঞ্চমে মেলোডি: পর্ব-১৩: ‘ওই দেখ, রাহুল দেব বর্মণের বাবা হেঁটে যাচ্ছেন’
উত্তম কথাচিত্র: পর্ব-৩৬: যুগে যুগে যা ‘সবার উপরে’
চিকিৎসা
অন্যান্য রোগের চিকিৎসার মতো এই তমক শ্বাস বা ব্রঙ্কিয়াল অ্যাজমার চিকিৎসায় ও রোগীর নিদান বা কারণগুলিকে যেমন ধুলো, ধোঁয়ার সংস্পর্শে আসা, শীতল পানীয়, গুরুপাক খাবার, দুপুরে ঘুম ইত্যাদি বায়ু ও কফ প্রকোপক যে নিদানগুলি আগে বলা হয়েছে সেগুলিকে পরিত্যাগ করা অবশ্য কর্তব্য।
ঔষধি হিসাবে চূর্ণ
রসৌসধি হিসাবে
ভস্ম হিসাবে
ক্বাথ বা পাচন হিসাবে
অবলেহ হিসাবে
আসব বা অরিষ্ট হিসাবে
দ্রাক্ষারিস্ট, দ্রাক্ষাসব, কনকাসব ইত্যাদি ২০ মিলিলিটার দিনে দু’বার সমপরিমাণ জল-সহ খাওয়ানো যায়।
ঘৃত হিসাবে
সর্ষের তেল সৈন্ধব লবণ
এছাড়াও আয়ুর্বেদের শোধন ক্রিয়া (ডিটক্সিফিকেশন থেরাপি) করে রোগীকে সহায়তা দেওয়া হয়। পাশাপাশি রসায়ন ঔষধির মাধ্যমে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে এই দুরারোগ্য ব্যাধি থেকে মুক্ত করার চেষ্টা করা হয়। স্নেহন প্রিয়া, বমন ক্রিয়া, বিরেচন, ধূমপান ইত্যাদি ক্রিয়ার ব্যবস্থাও আয়ুর্বেদে আছে।
স্বাদে-আহ্লাদে: বিকেল হলেই জমিয়ে প্রেম বা আড্ডা, সঙ্গে যদি থাকে ভেজিটেবিল চপ
গল্পকথায় ঠাকুরবাড়ি, পর্ব-৬৪: কবির ভালোবাসার নজরুল
পথ্য