ছবি: প্রতীকী। সংগৃহীত।
আয়ুর্বেদ মতে, মধুমেহ প্রমেহ নামক একটা রোগের প্রকারভেদ, যেখানে কফজ ১০ প্রকার প্রমেহ যথা —
এই মূত্রগত সমস্যাগুলি সাধারণত ফ্যাট বা চর্বি জাতীয় খাদ্যের অবিপাক বা মেটাবলিক ডিসফাংশন থেকে দেখা যায়। অর্থাৎ বিপাকীয় ক্রিয়ার খামতির জন্য, বিশেষ করে ফ্যাট মেটাবলিজম ঠিকমতো না হওয়ার কারণে কফজ ১০ প্রকার প্রমেহ দেখা যায়, যা ডায়াবিটিস রোগের পূর্ব অবস্থা। ঠিক তেমনই প্রোটিন মেটাবলিজন বা আমিষ জাতীয় খাদ্য যদি ঠিকমতো বিপাচিত না হয়, তাহলে ৬ রকমের মুত্রগত সমস্যা দেখা যায় বা ৬ প্রকার পিত্তজ প্রমেহকে নিয়ে আসে। যেমন—
সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে পাচকাগ্নি বা ডাইজেস্টিভ ফায়ার এবং ধাত্বাগ্নি বা মেটাবলিক ফায়ারের বিকৃতির কারণে বিপাক বা মেটাবলিজম যদি ঠিক মত না হয়, তাহলে ধাতুক্ষয়গত প্রমেহ রোগ উৎপন্ন হয়। এই প্রেমেহ রোগ গুলি যদি উপেক্ষিত হয় বা ঠিকমতো চিকিৎসা না করা হয় তাহলে মধুমেহ বা অত্যন্ত জটিলতা যুক্ত বাতজ মেহ উপস্থিত হয়।
মধুমেহ বা ডায়াবিটিস রোগের নিদান ও সম্প্রাপ্তি
বিধানে বেদ-আয়ুর্বেদ: ডায়াবিটিসের দোরগোড়ায় রয়েছেন? চিন্তা নেই, আয়ুর্বেদে জব্দ হবে এই রোগ
অমর শিল্পী তুমি, পর্ব-৩: অভিনয় নয়, কিশোর মনে-প্রাণে একজন গায়ক হিসেবেই আত্মপ্রকাশ করতে চেয়েছিলেন
মধুমেহ বা ডায়াবিটিস রোগের লক্ষণ
রক্ত পরীক্ষায় যদি খালি পেটে রক্তে ১২৫ মিলিগ্রামের বেশি সুগার ধরা পড়ে বা ভরা পেটে রক্তে যদি ১৬০ মিলিগ্রামের বেশি সুগার থাকে তাহলে অবশ্যই চিকিৎসা শুরু করা বাঞ্ছনীয়। তবে সুগার ভরা পেটে ১৮০ মিলিগ্রামের বেশি না পৌঁছনো পর্যন্ত বা খালি পেটে ১৪০ মিলিগ্রামের বেশি না পৌঁছনো পর্যন্ত শুধুমাত্র জীবনশৈলীর পরিবর্তন করা, খাদ্য খাবারের বাছ বিচার করা, পর্যাপ্ত শারীরিক পরিশ্রম করা ইত্যাদির মাধ্যমে সুগারকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসার চেষ্টা করা উচিত। যা এর পূর্বের প্রতিবেদনে যেখানে ডায়াবিটিস রোগের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে থাকা রোগীদের যে সমস্ত পথ্য ও অপথ্যের কথা বলা হয়েছে, সেগুলি মেনে চললে রক্তে শর্করার পরিমাণকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারা যাবে।
মন্দিরময় উত্তরবঙ্গ, পর্ব-৩: কোচ কামতেশ্বরী মন্দিরের স্থাপত্য এক অনন্যসাধারণ মিশ্রশৈলীর উদাহরণ
গল্পকথায় ঠাকুরবাড়ি, পর্ব-৭২: রবীন্দ্রনাথ প্রয়োজনে কঠোর হতেও পারতেন
রোগীর চিকিৎসা
স্থূল মধুমেহী ও কৃশ মধুমেহী উভয়ের ক্ষেত্রেই সংশমন চিকিৎসা বা ওষুধ প্রয়োগ করে সুগারকে নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করা হবে। মধুমেহ সাধারণত অসাধ্য রোগা ও বহুল জটিলতাকে নিয়ে আসে, তাই চিকিৎসার প্রথম ধাপই হল, নিদান বর্জন বা যে যে কারণের কথা আগে বলা হয়েছে, সেগুলিকে জীবনশৈলীর পরিবর্তনের মাধ্যমে বাদ দিতে হবে। যেমন: ভোজন রসিকতা, শুয়ে-বসে দিন কাটানো, মিষ্টি খাবার, দুগ্ধ বিকার বা ইক্ষু বিকার সমন্বিত খাদ্য ইত্যাদি বাদ দিতে হবে। অতঃপর ঔষধ প্রয়োগ করতে হবে।
বাঙালির মৎস্যপুরাণ, পর্ব-৬৯: ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড কোনও ভাবেই শরীরে ঢুকছে না? অজান্তেই এই সব অসুখ ডেকে আনছেন কিন্তু
আলোকের ঝর্ণাধারায়, পর্ব-৭: গৃহিণী সারদার প্রথম দক্ষিণেশ্বর আগমন
একক দ্রব্য
পাচন হিসাবে
বটি হিসাবে
রসৌষধি
বসন্ত কুসুমাকর রস, তারকেশ্বর রস, মেহ কেশরী রস ১২৫ থেকে ২৫০ মিলিগ্রাম হলুদের রস-সহ খেলে ভালো ফল পাওয়া যায়।
ঘৃত ঔষধি
আসব বা আরিষ্ট
সতর্কতা
পথ্য