বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর, ২০২৪


ছবি প্রতীকী

আমরা সকলেই জানি যে, সব দেবতাদের মধ্যে সহজেই তুষ্ট হন দেবাদিদেব মহাদেব। তাই তাঁর আরেক নাম আশুতোষ। আবার খুব সহজে রুষ্টও হন তিনি। অনেকের বাড়িতেই পূজিত হন নীলকণ্ঠ। কোথাও মূর্তি হিসেবে, কোথাও আবার ছবি বা শিবলিঙ্গের পূজা-অর্চনা করা হয়ে থাকে। তবে ভুল স্থানে বা ভুল ভাবে মহাদেবের মূর্তি বা ছবি রাখলেই কিন্তু আপনার জীবনে নেমে আস্তে পারে বিপদ। তাতে সংসারে দেখা দিতে পারে বিপর্যয় এবং অশান্তি।
বাড়িতে ধ্যানরত শিবের মূর্তি রাখা খুবই ভালো। এতে শান্তি বজায় থাকে। আবার শিবের তাণ্ডবের মূর্তি বা ছবি রাখা কিন্তু উচিত নয়। এতে নেগেটিভ এনার্জি বেশি থাকে। সংসারে সারাক্ষণ অশান্তি লেগে থাকে। বাড়িতে নটরাজের মূর্তি রাখাও উচিত নয়।
বাস্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, অফিসে বা কাজের ডেস্কে শিবমূর্তি, ছবি বা শিবলিঙ্গ একেবারেই রাখা উচিত নয়। এতে শক্তির বা এনার্জির সংঘাত হতে পারে। যার ফলে, লাভের বদলে লোকসান হতে পারে। সাধারণত
বলা হয়ে থাকে, বাড়ির উত্তর দিকে শিবের মূর্তি, ছবি রাখা অত্যন্ত ভালো। এতে সংসারের শ্রীবৃদ্ধি হয়। তবে ঘরে একাধিক শিবের মূর্তি রাখলে বাড়তি ফল পাবেন এ ভাবনা কিন্তু ভুল। একটি মূর্তি বা ছবিই পর্যাপ্ত। ভক্তি ভরে পূজা-অর্চনা করলেই ভোলানাথ তুষ্ট হন।
আরও পড়ুন:

বিশ্বে এই প্রথম ওরাল টিকা চালু করল চিন, টিকা দিতে সময় লাগবে মাত্র ২০ সেকেন্ড

উত্তম কথাচিত্র, পর্ব-৮: মুখে হাসি ফোটানোর দায়িত্বে ‘বসু পরিবার’ [১১/০৪/১৯৫২]

মাটি বা মেঝেতে একেবারেই শিবমূর্তি রাখা উচিত নয়। এতেও ক্ষতি হতে পারে। একেবারে উপায় না থাকলে পরিষ্কার কাপড় পেতে তার উপরে শিবের মূর্তি বা ছবি রাখুন। শুধু সোমবার নয়, প্রতিদিন নিয়ম-নিষ্ঠা মেনে ধূপ-ধুনো জ্বালিয়ে শিবের পুজো করতে হয়। শিবলিঙ্গ থাকলে আগে ঘি ও মধু দিয়ে তাঁর অভিষেক করবেন। তারপর জল দিয়ে স্নান করিয়ে মুছে নেবেন। তারপর তাঁকে চন্দন দিয়ে সাজিয়ে দেবেন। ভক্তদের বিশ্বাস, এই ভাবে মহাদেবের আরাধনা করলে সমস্ত পাপ থেকে নিষ্কৃতি মেলে। সংসারে শান্তি ফেরে এবং মোক্ষলাভ হয়।

Skip to content