আমাদের সবার মনে পশু-পাখিদের নিয়ে কিছু না কিছু কুসংস্কার রয়েছে। তবে আমরা বেশিরভাগই জানি না, এটা সংস্কার না কুসংস্কার, এই নিয়ে আমাদের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে। প্রাচীন কাল থেকেই এই কথাগুলি লোকমুখে প্রচারিত, এই ধারণাগুলি কতটা বাস্তবায়িত বা ভাগ্যের সঙ্গে এর যোগ সুত্র আছে কি না, সে সম্পর্কে দেখে নেওয়া যাক।
জ্যোতিষশাস্ত্র কী বলছে?
● বাড়িতে খুব কর্কশ শব্দে কাক ডাকা মানেই অশুভ বার্তা বয়ে আনে সে। কাক যদি কোনও ভাবে গায়ে মলত্যাগ করে, তা হলে খুবই অশুভ।
● আমরা প্রায় সকলেই জানি যে সকালে এক শালিক দেখা অশুভ, আবার জোড়া শালিক দেখলে নাকি ভাগ্য ফিরে যায়। এই কথাটা সত্যি যে এক শালিক দেখা অশুভ, জোড়া শালিক দেখা শুভ।
● ভুল করে জামা কাপড় উল্টো পড়া খুব ভালো লক্ষণ। কিন্তু যদি ভুল করে পড়া হয় তবেই, যদি ইচ্ছাকৃত ভাবে করা হয় তা হলে কিন্তু ফল উল্টো হতে পারে।
● ডান হাত বা ডান চোখ কাঁপলে খারাপ ফল পাওয়া যায়, কিন্তু বাঁ হাত কিংবা বাঁ চোখের ক্ষেত্রে সেটা ভালো ফল দেয়।
● গরু পোষা অত্যন্ত শুভ লক্ষণ বলে ধরা হয়। কোনও শুভ কাজে বেরোনোর আগে যদি গরুকে কিছু খাবার খাওয়ানো হয়, তা হলে কাজটা সম্পূর্ণ হবার সম্ভাবনা থাকে।
● বাড়িতে প্রজাপতির প্রবেশ নাকি শুভ বার্তা নিয়ে আসে। তবে জোর করে প্রজাপতি ধরে রাখলে ফল খারাপ হবে।
● যদি কোনও পাখি মাথার উপর দিয়ে উড়ে যায়, তা হলে সেটা অশুভ। কিন্তু পাখি যদি মানুষের গায়ে মলত্যাগ করে, সেটা খুব শুভ বলে মানা হয় আমাদের জ্যোতিষশাস্ত্রে।