প্রাচীন আয়ুর্বেদ শাস্ত্র থেকে বর্তমান চিকিৎসাবিজ্ঞান, সবার মতেই এই ফল ‘মাদার অফ হার্বস’। উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, টিউমার, লিভারের অসুখ, হাঁপানি, রক্তাল্পতা কোষ্ঠকাঠিন্য, বদহজম, দাঁত ও চোখের অসুখ সর্দিকাশি নার্ভের অসুখ, অ্যানিমিয়া, পাইলস, কোষ্ঠকাঠিন্য, অ্যাজমা প্রভৃতি সমস্যার সমাধানে হরিতকী দারুণ কার্যকরী শুধু ঔষধ হিসাবেই নয়, পত্র হিসাবেও হরিতকী সামান ভাবে গুরুত্বপূর্ণ। আবার পথ্য হিসাবেও হরিতকী শ্রেষ্ঠতম।
বিস্তৃতি
ভারতের তামিলনাড়ু, কর্ণাটক প্রভৃতি দক্ষিণের রাজ্যগুলির পাহাড়িয়া অঞ্চলে হরিতকী বৃক্ষ লক্ষ্য করা যায়। ভারতের বাইরে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, চীন, তিব্বত, মিশর প্রভৃতি স্থানেও হরিতকী গাছ পাওয়া যায়।
এটি বৃক্ষ জাতীয় উদ্ভিদ, যা অসংখ্য শাখা-প্রশাখা যুক্ত এবং লম্বায় প্রায় ৩০মিটার বা তারও বেশি হয়। সাধারণত বছরের মে ও জুন মাসে এই গাছে ফুল আসে। আর জুলাই মাস থেকে ফল ধরে। নভেম্বর মাস থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত ফল পাওয়া যায়।
বীজ
বিজ্ঞানসম্মত নাম
ফল হিসেবে হরিতকী
ফলের প্রকারভেদ
হরিতকী-র নাম ও আকৃতি
কী কী উপাদান রয়েছে
হরিতকী ট্যনিন ২০-৪০ শতাংশ, চেবুলেজিক অ্যাসিড ৫.০ শতাংশ, চেবুলেনিক অ্যাসিড ১২.৫ শতাংশ গ্যালিক অ্যাসিড ১.২১ শতাংশ, ফ্যাট ৪৯ শতাংশ রয়েছে। এগুলি ছাড়াও নিম্নলিখিত উপাদানগুলি হরিতকীতে পাওয়া যায়। এলাজিক অ্যাসিড, সিরিজিক অ্যাসিড, মিউসিলেজ, কোয়ের সেটিংস, ইথাইল গেলেট, পুনিকেলাজিন, টার ফ্লাভিন, টার চেভিন, রুটিন, লুটি ও লিন, চেবুলোসাইড ১ ও ২ সেনোসাইড-এ প্রভৃতি।
রোগ নিরাময়ে হরিতকী
হজমে গোলমাল
হরিতকীর গ্যাস্ট্রোকাইনেটিক এফেক্ট থাকায় হজমশক্তি বাড়ায়, বদ হজমের সমস্যা কমায়। সকালে খালি পেটে হরিতকী ভেজানো জল খেতে পারলে একদিকে যেমন খিদে বাড়বে, অন্যদিকে হজম শক্তিও বাড়বে।
কোষ্ঠকাঠিন্য
হরিতকীর মৃদু লাক্সাটিউ এফেক্ট থাকায় ক্রনিক কনস্টিপেশানের রোগীরা নিয়মিত হরিতকী খেতে পারলে লাভবান হবেন। বহু প্রাচীনকাল থেকে আয়ুর্বেদিক বিভিন্ন ওষুধের এক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হরিতকী। হরিতকী হজম শোষণমাত্রা বাড়ায় এবং কোলন ফাংশন রেগুলেট করায় এ ক্ষেত্রে হিতকর।
কোলাইটিস
কোলাইটিসেও শুকনো হরিতকীর ফলত্বক ভেজানো জল বেশ ভালো।
হেপাটাইটিস
হেপাটাইটিস ছাড়াও লিভারের যে কোনও সমস্যার মোকাবিলায় হরিতকী খুব ভালো কাজ দেয়।
স্থূলত্ব
প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ সব রকমভাবেই হরিতকী, অতিরিক্ত দেহভার লাঘব করতে সাহায্য করে। হরিতকী কোলনকে সাফাই করে হজম শোষণ ও বিপাক ঠিকঠাক রাখে, মেটাবলিক রেট বাড়ার ফলে এনার্জি খরচের হার বৃদ্ধি পাওয়ায় ফ্যাট জমার প্রবণতা কমে। বাইল সিক্রিয়েশন বাড়িয়ে সঞ্চিত ফ্যাটের মোবিলাইজেশনে সাহায্য করে খিদে কন্ট্রোল করায় অতিরিক্ত খেয়ে ফেলার প্রবণতা কমে, যা সর্বতোভাবেই স্থুলত্ব কমাতে সাহায্য করে। যাঁরা নিয়মিত শরীরচর্চা ও লো-ক্যালোরি ব্যালেন্স ডায়েট অনুসরণ করে ওজন কমিয়েছেন তাঁরা অবশ্যই আদর্শ ওজন ধরে রাখার জন্য নিয়মিত খাওয়ার আগে হরিতকী খান।
হাত বাড়ালেই বনৌষধি: চৈত্রের বন্ধু বেল
বিধানে বেদ-আয়ুর্বেদ, বাতরক্ত বা গাউটে ভুগছেন? ঘরে বসেই মুক্তির উপায় জানুন
এগুলো কিন্তু ঠিক নয়, পর্ব-১২: ঘাম কমাতে পাউডার ব্যবহার করেন?
দেহকে বিষমুক্ত করতে
আলসার
ইউরিনারি স্টোন
অ্যানিমিয়া
টিউমার
অ্যাসাইটিস
কনজাংটিভাইটিস
পাইলস
মহাকাব্যের কথকতা, পর্ব-৩: আর্ষ মহাকাব্যদ্বয়ের আদি প্রচারমাধ্যম
পঞ্চমে মেলোডি, পর্ব-৩: ‘তিসরি মঞ্জিল’ ছিল পঞ্চমের প্রথম অগ্নিপরীক্ষা
বৈষম্যের বিরোধ-জবানি, পর্ব-১২: দক্ষ কর্মী নির্বাচন বনাম নারী সহকর্মী
লিভার বড় হয়ে যাওয়া
কৃমি সংক্রমণ
অ্যাঙ্গুলার স্টোমাটাইটিস, গলা ও মুখগহ্ববরে ঘা
দাঁত ও মাড়ির অসুখ
গাউট
বন্ধ্যত্ব ও সন্তানধারণ
দীর্ঘস্থায়ী জ্বর
হৃদরোগ প্রতিরোধ
উচ্চ রক্তচাপ
মূত্রকৃচ্ছতা
অ্যাজমা
স্মৃতিশক্তি বর্ধক
স্নায়বিক সমস্যা স্নায়ুতন্ত্রকে সজীব ও সক্রিয় রাখতে হরিতকী দারুণ কার্যকরী। পারকিনসন্স, অ্যালজাইমার্স-সহ অন্যান্য স্নায়বিক অসুখে হরিতকি খেয়ে দেখতে পারেন। উপরন্তু হরিতকী চক্ষু, কর্ণ, নাসিকা, জিহ্বা ও ত্বক এই পঞ্চ ইন্দ্রিযয়ের সংবেদনশীলতা বৃদ্ধি করে। যদি এ ব্যাপারে বিস্তর পরীক্ষা নিরীক্ষার অবকাশ আছে।
ফুসফুস ও নাকের সংক্রমণ
ত্বকের সমস্যা
ক্ষতস্থান নিরাময়
হেয়ারওয়াশ
রহস্য রোমাঞ্চের আলাস্কা, পর্ব-১০: ব্যস্ত পৃথিবী ছাড়িয়ে কোথায় যেন চলে এলাম উত্তরমেরুর জনমানবহীন এই জঙ্গলে, যেখানে এখন শুধুই রাত
রহস্য উপন্যাস: পিশাচ পাহাড়ের আতঙ্ক, পর্ব-৬: দুয়ারে অপচ্ছায়া
দশভুজা: দু’শো বছর আগে হলে তিনি ইঞ্জিনিয়ারের বদলে সতী হতেন
এনার্জি বুস্টার
ডায়াবেটিস
জন্ডিস
নাক থেকে রক্তপাত
ফ্যাটি লিভার
দীর্ঘজীবন
কীভাবে খাবেন
সাবধানতা