রবিবার ২৪ নভেম্বর, ২০২৪


প্রয়াত তুলসীদাস বলরাম।

কিংবদন্তি ফুটবলার তুলসীদাস বলরাম প্রয়াত। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর। ভারতীয় ফুটবলের অন্যতম সেরা তিন তারকা ছিলেন পিকে বন্দ্যোপাধ্যায়, চুনী গোস্বামী এবং তুলসাদাস বলরাম। পিকে বন্দ্যোপাধ্যায় ও চুনী গোস্বামী আগেই প্রয়াত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার চলে গেলেন তুলসাদাস বলরাম। তুলসাদাস অনেকদিন ধরেই একাধিক অসুখে ভুগছিলেন।
ভারতীয় ফুটবল দল ১৯৫৬ সালের অলিম্পিকে চতুর্থ স্থান পেয়েছিল। তুলসাদাস বলরাম সেই দলের সদস্য ছিলেন। তিনি ১৯৬০ সালের অলিম্পিকেও অংশ নিয়েছিলেন। সে বার তিনি দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন। তুলসাদাস রোম অলিম্পিকে হাঙ্গেরি এবং পেরুর বিরুদ্ধে গোলও করেছিলেন।
আরও পড়ুন:

খেয়ালি ঋতুর ফাঁদে সর্দি-কাশি-জ্বর? সুস্থ থাকতে এগুলি মেনে চলুন

অকালেই বার্ধক্যের ছাপ? তারুণ্য ধরে রাখতে এই চারটি নিয়ম মেনে চলুন

বলরামের ফুটবল জীবনে প্রথম সুযোগ আসে ১৯৫৫ সাল ১৯ বছর বয়সে। তুলসাদাসের নাম এক সময়ে চুনী গোস্বামী, পিকে বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে উচ্চারিত হতো। তিনি ইস্টবেঙ্গলের হয়ে খেলতেন। ইস্টবেঙ্গলের হয়ে বহু ট্রফি জিতেছেন। গোল করেছেন ১০৪টি।
আরও পড়ুন:

বৈষম্যের বিরোধ-জবানি: পর্ব-৫: আমরা জাতির পিতাকে পেলেও, মাতাকে পেলাম না— কেন?

নাট্যকথা: নবকলেবরে রক্তকরবী

হায়দরাবাদের মানুষ হলেও কলকাতার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়েছিল। অকৃতদার তুলসাদাস উত্তরপাড়ায় থাকতেন। তিনি নিজেকে প্রায় গৃহবন্দি করেই রেখেছিলেন। তিনি সাধারণ জীবনযাপন করতেন। বাড়িতে গান শুনেই তাঁর সময় কাটত। বলরাম অর্জুন পুরস্কার পেলেও পদ্মশ্রী সম্মান তিনি পাননি। ১৯৯০ সালে পদ্মশ্রীর জন্যে তাঁর নাম মনোনীত হয়েছিল। কিন্তু রহস্যজনক ভাবে সেই ফাইল হারিয়ে যায়। এ নিয়ে তাঁর মনে আক্ষেপও ছিল।

Skip to content