শনিবার ৫ অক্টোবর, ২০২৪


মানবদরদী চিকিৎসক তুষার রায়।

মানবদরদী চিকিৎসক তুষার রায় প্রয়াত। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর। তুষারবাবুর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে তমলুক শহর জুড়ে। তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে এসে কান্নায় ভেঙে পড়লেন শুভানুধ্যায়ীরা।
তুষারবাবুর একমাত্র ছেলেও কর্মসূত্রে মুম্বইয়ে থাকেন। স্ত্রীও মার গিয়েছেন বছর দুয়েক আগে। শিকড়ের টানে তমলুকে থেকে যাওয়া তুষারবাবু অবসর জীবনে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা ও সমাজসেবায় মগ্ন ছিলেন। গত মঙ্গলবার দুপুর নাগাদ আচমকা তিনি অসুস্থ বোধ করেন। সে সময় তিনি নিজেই হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা শুরু করেন। কিছুটা সুস্থ বোধও করেন। কিন্তু বুধবার সকাল নাগাদ আবার অসুস্থ বোধ করলে তাঁকে তমলুকের একটি নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই বেলা ১২টা নাগাদ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন:

ডায়েট ফটাফট: সব খাবারের সেরা সুপারফুড কিনোয়া খান, ওজন কমান

প্রায়শই ব্যায়াম করে বেশ ক্লান্ত হয়ে পড়েন? শরীরচর্চার পরে এই সব খাবার খেতে পারেন

তুষার তাম্রলিপ্ত শহরের ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ছিলেন। এক সময় পাঁশকুড়া বনমালী কলেজের পদার্থবিদ্যার অধ্যাপনা করেছেন। হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় তাঁর পাণ্ডিত্যের জন্য তিনি একজন চিকিৎসক হিসেবে ধীরে ধীরে জনপ্রিয় হয়ে উঠেন। অধ্যাপনার পাশাপাশি প্রায় ৪ দশক ধরে গরিব, মধ্যবিত্ত থেকে উচ্চবিত্ত সব স্তরের মানুষের চিকিৎসা করেছেন পদার্থবিদ্যার এই অধ্যাপক।
আরও পড়ুন:

শাশ্বতী রামায়ণী, পর্ব-৩৩: শোকস্তব্ধ অযোধ্যানগরী কি আপন করে নিল ভরতকে?

বাড়তি ওজন কমাতে চান? রান্নাঘরের কোন চারটি মশলা খেলেই ঝরবে মেদ?

প্রথমদিকে তিনি ১ টাকার বিনিময়ে চিকিৎসা শুরু করেন। এর মধ্যে ওষুধ কেনার খরচ বাদ দিয়ে যেটুকু টাকা বাঁচত তা দিয়ে দুস্থদের সাহায্য করতেন। তমলুক শহরে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা গড়েছিলেন। দুস্থ ও মেধাবী পড়ুয়াদের সেখানে বিনামূল্যে কোচিং করানো হতো।

Skip to content