একাধিক হারিয়ে গিয়েছে কুণ্ড বা পুকুর। তার প্রভাবেই নাকি জোশীমঠ এই বিপর্যয় নেমে এসেছে। এরকমই দাবি সেখানকার বাসিন্দাদের একাংশের। জোশীমঠ থেকে এই কুণ্ড হারিয়ে যাওয়ার সঙ্গে বিপর্যয়ের কোনও সম্পর্ক তা না বিশেষজ্ঞরা এখনও নিশ্চিত নয়, তবে সবাই এটা স্বীকার করছেন যে, বাস্তুতন্ত্র রক্ষায় কুণ্ড বা পুকুরের গুরুত্ব অনেক।
এ প্রসঙ্গে এলাকার পুরনো বাসিন্দাদের বক্তব্য, আগে জোশীমঠ শহরে সুনীল কুণ্ড এবং সবি এলাকায় তিনটি কুণ্ড ছিল। ছয়ের দশকের শেষ দিকেও ওই সব কুণ্ডের জল তাঁরা পান করতেন। আউলি এবং জোশীমঠের মাঝে থাকা সুনীল কুণ্ড-সহ একাধিক জলাধার ম্যাজিকের মতো উধাও হয়ে গিয়েছে। তাঁদের ধারণা নির্মাণকাজের জন্যই এগুলি ভ্যানিস হয়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন:
আমেরিকায় চিনা নববর্ষের অনুষ্ঠান শেষে হামলা, বন্দুকবাজের এলোপাথাড়ি গুলিতে হতাহত বহু
হৃষ্টপুষ্ট সন্তান চাই? শীতকালে অন্তঃসত্ত্বা মায়েরা অবশ্যই এই ৫টি খাবার ডায়েটে রাখুন?
বাসিন্দাদের অনুমান, জল ক্রমশ চুঁইয়ে ভিতরে প্রবেশ করে ভয়ঙ্কর বিপদ বাড়িয়েছে। সেই সব জল বেরিয়ে আসাতেই নাকি বাড়িগুলিতে মারাত্মক ফাটল দেখা দিয়েছে। এদিকে বিশেষজ্ঞদের একাংশ ধারণা, বিভিন্ন জায়গায় নির্মাণকাজের জন্য খোঁড়াখুঁড়ির হয়েছে। কিন্তু ওই খোঁড়াখুঁড়ির জেরে কোনও ভাবে ভূগর্ভস্থ জল বেরিয়ে যাওয়াতে মাটির ভিতর থেকে ফাঁপা এবং নড়বড়ে হয়ে গিয়েছে। তারই ফলস্বরূপ এই বিপর্যয় দেখা দিয়েছে।
আরও পড়ুন:
পর্ব-১০: কান্না-হাসির দোল দোলানো ‘সাড়ে চুয়াত্তর’ [২০/০২/১৯৫৩]
অনন্ত এক পথ পরিক্রমা, পর্ব-১: অমৃতের সন্ধানে…
এদিকে, জোশীমঠে ৮৬৩টি ফাটল ধরা বাড়িকে চিহ্নিত করেছে জেলা প্রশাসন। বিপর্যস্ত এলাকা পরিদর্শনের পরে জেলাশাসক হিমাংশু খুরানা জানিয়েছেন, তুষারপাতের জন্য কিছু এলাকায় ফাটল আরও চওড়া হয়ে গিয়েছে। সবথেকে বেশি বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে রয়েছে এমন বাড়ির সংখ্যা প্রায় দেড়শোটি বাড়ি। বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী যে কোনও রকম আপৎকালীন পরিস্থিতির মোকাবিলার জন্য সর্বক্ষণ প্রস্তুত রয়েছে।