রবিবার ২৪ নভেম্বর, ২০২৪


ছবি প্রতীকী

কয়েকদিন ধরে খেয়াল করছেন আপনি যা-ই খাচ্ছেন, খাওয়ার পর গ্যাস-অম্বলের সমস্যায় ভুগতে হচ্ছে। এখন হজমের ওষুধ যেন নিত্যসঙ্গী হয়ে উঠেছে। অথচ অল্প বিস্তর শরীরচর্চাও করেন। তেমন তেল-মশলাও দেওয়া খাবারও খান না। তা-ও এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার কোনও লক্ষণ নেই। পুষ্টিবিদদের মতে, শুধু শরীরচর্চা বা সেদ্ধ খাবার খাওয়া নয়, খাওয়ার সময়ে, আগে বা পরে কিছু অভ্যাস হজমের সমস্যাকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। মুশকিল হচ্ছে, সেই সব অভ্যাসকে আমরা তেমন ভুল বলে মনেই করি না।
 

হজমের সমস্যাকে বাড়িয়ে দেয় কোন কোন অভ্যাস?

 

খাবার চিবিয়ে না খাওয়া

খাবার ভালো করে চিবিয়ে না খেলে হজমের নানা রকম সমস্যা হতে পারে। পেটের মধ্যে গিয়ে খাবার বিভিন্ন উৎসেচকের সঙ্গে মিশে টুকরো টুকরো হয়ে যায় ঠিকই। কিন্তু ভাল করে চিবিয়ে না খেলে খাবারের বড় বড় টুকরোগুলি ভাঙতে বেশি সময় লেগে যায়। সেখান থেকে বদহজমের সমস্যা হতে পারে।

আরও পড়ুন:

আপনার শিশুর নতুন দাঁত উঠছে? এ সময়ে কী ভাবে ওর যত্ন নেবেন

সপরিবারে নিত্যদিন রাতে খাওয়াদাওয়ার পর মিষ্টি খান? কোন কোন অভ্যাস নিজের অজান্তে ক্ষতি করছে জানেন?

 

চা-কফি খাওয়ার অভ্যাস

অনেকেরই খাবার খাওয়ার পর চা, কফি খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, খাওয়ার পর ক্যাফিন জাতীয় কোনও পানীয় খাওয়া উচিত নয়। এতে গ্যাস, অম্বলের সমস্যা আরও বাড়ে। যদি চা কফি খেতেই হয় তাহলে অন্তত তার দু’ঘণ্টা পর অন্য খাবার খাওয়া যেতেই পারে।
 

ফলাহার

খালি পেটে ফল আর ভরা পেটে ফল খাওয়ার চল বহু দিনের। কিন্তু পুষ্টিবিদদের মতে, এই অভ্যাস কিন্তু পেটের গোলমাল বাধাতে যথেষ্ট। যদি ফল খেতেই হয়, সকালে জলখাবার খাওয়ার পর খেয়ে নেওয়াই বুদ্ধিমানে কাজ হবে।

আরও পড়ুন:

বোন ম্যারো প্রতিস্থাপন হবে হৃতিক রোশনের! কোন জটিল রোগে আক্রান্ত হয়েছেন তিনি?

স্বাদে-গন্ধে: একঘেয়ে কাতলা? স্বাদবদল করুন ‘কমলা কাতলা’ রেসিপিতে! রইল সহজ রেসিপি

 

খেয়েই শুয়ে পড়া

অনেকেই আছেন খাওয়াদাওয়া হয়ে গেলে আর বসে থাকতে পারেন না? এই অভ্যাসই কিন্তু আপনার হজমের সমস্যার অন্যতম কারণ হয়ে উঠতে পারে। তাই খেয়ে উঠেই শুয়ে না পড়ে কিছু ক্ষণ বসে থাকুন বা হাঁটাহাটি করুন। এতে খাবার হজম হয় তাড়াতাড়ি।
 

মিষ্টি খাওয়ার অভ্যাস

খাবার শেষ পাতে মুখ মিষ্টি করার অভ্যাস অনেক বাড়িতেই রয়েছে। কিন্তু পুষ্টিবিদদের মতে, এই অভ্যাস শরীরে ক্যালরির অনেকটা পরিমাণ দেয়। এই অভ্যাস রক্তে শর্করার ভারসাম্য বিঘ্নিত হওয়ার পিছনেও দায়ী।


Skip to content