রবিবার ২৪ নভেম্বর, ২০২৪


অলঙ্করণ: পাপিয়া দেবনাথ।

প্রথমে পিশাচ বলবে,
পিশাচের কথা বলতেই ঘন অন্ধকারের মধ্যে একটা অদ্ভুত মুখ ভেসে উঠলো। লালচে জ্বলন্ত দুটো চোখ ঘিরে কান-কপাল-মুখের অনেকটা ঢাকা দেওয়া সাদা কালো বাদামি লাল নীল চুল হাওয়ায় উড়ছে। শরীরের বাকিটা অন্ধকারে ভাসছে। চোখের চারপাশ কালো। নাকের কাছ থেকে চিবুক পর্যন্ত লাল। ঠোঁটের দু’পাশে রক্তাক্ত বড় দুটো দাঁত। নিচের ঠোঁট থেকে সাপের মতো একটা চেরা লকলকে জিভ কথা বলার সময় দেখা যাচ্ছে। পিশাচের গলাটা ধরা ধরা ভাঙ্গা।

দাঠাউর পেন্নাম! ভূতসমাজের নিয়মকে কলা দেকিয়ে মামদো ভূত নিশির ডাক নকল করে রঘুনাথপুরের এক অষ্টদশীকে ভর করেচে।
স্কন্ধ সঙ্গে সঙ্গে হাঁক দিল
নিশি!

পিশাচ অদৃশ্য হল। অন্যপাশে নিশিকে দেখা গেল— অনেকটা লম্বা ঘন কালো এলোচুল-কালো শাড়ির লম্বা আঁচল যেন হাওয়ায় উড়ছে। নিশির মুখটা মাথার খুলির মতো চোখের কোটরে ভয়ঙ্কর নীল দুটো উজ্জ্বল চোখ। নিশি সরু গলায় তার সংক্ষিপ্ত বক্তব্য পেশ করল দাঠাকুর প্রণাম! আমি তো এখনই জানলুম যে মামদোদা এই অসভ্যতা করেছে। আর অকারণে নিসিকণ্ঠী হয়ে কেন যে তার পিসির গলায় মেয়েটাকে! নিজেও কেস খেলো আমারও শুধুমুধু এই সভার পাঁচ জনের সামনে হেনস্থা! শুনেছি মেয়েটা সুন্দরী। কেন যে সুন্দরী মেয়ে দেখলে ছেলেরা এমন করে বুঝি না! সুন্দর হওয়া কি পাপ!

দাঠাকুর এতক্ষণ কোনও কথা বলেননি। এবার মামদোর কাছে খালি জানতে চাইলেন ‘এই অভিযোগ সত্যি কিনা!’
মামদো বিরাট চেহারা। মিশকালো মুশকো জোয়ান। মোটা ভুরু মোটা গোঁফ কানে মাকড়ি। কালো মোটা ঠোঁট। ভাঁটার মতো লালচে চোখ। কথার রেফ রফলা নেই। মোটা হেঁড়ে গলা। যমদূতের মতো চেহারা। মানুষের সঙ্গে মিশে মিশে ভূতেরাও যে তাদের চরিত্র হারাচ্ছে মামদো’র উত্তর শুনে পাঁচু আর পাঁচি দু’জনেই সেটা বুঝতে পারল। পোড়-খাওয়া পলিটিক্সবাজ লোকের মতো মামদো বলে উঠল—

না দাঠাকুড় গোটাটাই আমাড় বিড়ুধ্যে মিথ্যে চক্কান্ত। আমি এড় তিব্য পতিয়াদ কচ্চি।
ফোঁস করে ওঠে পিশাচ—

চোপ মিথ্যুক! চোরের মায়ের বড়ো গলা! বজ্জাতি করে মানুষদের মতো সাধুসাজা? ভোল বদল? দাঠাউর তোমার ববস্তা করবেন, একানড়ে হাড়িচাঁচা গেছো তোমরা চুপ কেন? বলো?

একানড়ের মুখটা একটা দাড়িজটাওলা বুড়োর। যার গলা থেকে গোটা শরীরটায় ভেতরের হাত-পা বিহীন হাড়ের কঙ্কাল। গোটা হাতপাহীন কঙ্কালটা অনবরত নড়ে। মনে হয় মুখটা শরীরের উল্টোদিকে দুলছে। পাঁচু তাকে দেখেই চিনতে পারল। পাঁচিকে বলল এই একানড়ে ভূত তার কাছে কলা চেয়েছিল। তবে সেদিন ভয়ের চোটে চেহারাটা ভালো করে দেখা হয়নি। হাঁড়িচাঁচার গোটা শরীরটা যেন একটা পেল্লায় কালো হাঁড়ি তাতে লিকপিক করছে অনেকগুলো হাড়ের হাত-পা। আর গেছো লাফিয়ে লাফিয়ে চলে হাত পাগুলো বাঁকা বাঁকা। হাতে আর পায়ের আঙুল ব্যাঙের মতো জোড়া। কান দুটো অস্বাভাবিক লম্বা। কাঁধ ছাড়িয়ে গিয়েছে। সারা শরীর গাছের ছালের মতো চাকা চাকা ফাটা ফাটা। তারা সমস্বরে নাকীসুরে বলে ওঠে
‘মাঁমদোঁ ঠঁগ!! মাঁমদোঁ মিঁথ্যেবাঁদি! মাঁমদোঁ ক্ষঁমাঁর অঁযোঁগ্য।’

সভায় সমবেত ভূতেদের নাকিসুরে গুঞ্জন, দাঠাকুর ‘ছিঃ’ বলার সঙ্গে সঙ্গে গুঞ্জন শান্ত। দাঠাকুর সুকঠিন স্বরে বললেন—

ভূতপ্রেত হয়ে তোমার এতো অধঃপতন মামদো?! তুমি শেষে নিকৃষ্ট মনুষ্যের মতো নারীনির্যাতন করছো আবার তাদের মতোই মিথ্যাচার দিয়ে সেই জঘন্য অপরাধকে আড়াল করার অপচেষ্টা করছো— ছি ছি! তুমি ভূত সমাজের কলঙ্ক!
মামদো হেঁড়ে গলায় শেষ চেষ্টা করে।
ক্ষমা কড়ুন দাঠাকুড়! ভুল হয়ে গেচে! আড় কক্কোনো।
না! এটা ওই মনুষ্যসমাজ নয় যে অপরাধ করেও আইনের মারপ্যাঁচে উপযুক্ত প্রমাণ-অভাবের অজুহাতে অপরাধী বছরের পর বছর শাস্তি ছাড়াই বহাল তবিয়তে জামিনে জীবন কাটিয়ে দেবে। অন্যায় করার আগে তার ফল ভাবা উচিত ছিল। আমাদের নিয়মে ক্ষমায় সমাজ ও গোষ্ঠীর শৃঙ্খলাভঙ্গ হয়। তুমি গোভূতে রুপান্তরিত হলে।

মামদো ককিয়ে ওঠে “দাঠাকুঢ়” কথার শেষটা গরুর ডাকের মত শোনায়। একঝলক দেখা যায় মামদোর মাথায় কালো গরুর জোড়াশিং গজিয়ে ওঠে। হাত-পা নিয়ে মাটিতে গরুর আকার নেয় মামদো-পেছনে ল্যাজ দেখা যায়।

এরপর দাঠাকুর নিশিভূতকে ধমক দেন নিশির কথাবার্তায় আধুনিকা মানবীর স্পষ্ট অনুকরণ লক্ষ্য করা গিয়েছে। শাস্তি না-দিয়ে তাকে সংযত করা হচ্ছে। দা’ঠাকুর বললেন—
সকলে স্বাভাবিক ভূত হও! খবরদার নিকৃষ্টের অনুকরণ কোরোনা। স্কন্ধ এরপর বল—
স্কন্ধ জানাল এরপর পেতনির অভিযোগ।

পেতনির চোখে মুখে সাদা সোনালি রূপোলি আঁকিবুকি। ফোলানো চুলে বাদামি-লাল-বেগুনি রঙের হাইলাইট। হাড় বেরোনো সাদা হাতে বড় বড় নানা রঙের নখ। বড় বড় নখে চিকচিকে লাল নেলপলিশ। ঠোঁটে বেগুনি মোটা লিপস্টিক। একহাতে একটা হালফ্যাশানের ঘড়ি। বিচিত্র হ্যান্ডব্যান্ড অন্যহাতে। লাল সিল্কের শাড়ি কনুই পর্যন্ত। কন্ট্রাস্ট ম্যাচিং ব্লাউস। ছোট্ট হ্যান্ডব্যাগ। চুলে ফ্যাশানেবল গগলসটা আটকানো। একটু দাঁত চেপে ইংরিজি-মেশানো বাংলা বলে পেত্নি
আরও পড়ুন:

কিম্ভূতকাণ্ড, পর্ব-৪: ধোঁয়ার কুণ্ডলী, ভাসমান রূপোর খড়ম, সাদা সিল্কের ধুতি, সাদা দাড়ি—চোখে কালো চশমা

পর্ব-৪৯: বসুন্ধরা এবং…

গুড ইভনিং দাঠাকুর! আমি ইঞ্জিনিয়ারিং ফাইনাল ইয়ারে রেজাল্ট খারাপ হওয়ায় কলেজের ছতলা থেকে লাফাবার আগেও এই ভাবে কথা বলতাম। সো আমি আমাকেই ফলো করি। অ্যান্ড নাও নিজেকে বদলানো ইউ নো – ডিফিকাল্ট! নাও স্ট্রেট ট্যু দ্য পয়েন্ট। মামদোর মতো অতটা বাড়াবাড়ি না করলেও আমাদের শাঁকচুন্নি হ্যাস ডান সামথিং রং। গড়াগাছির এক ইয়াংম্যানকে একা পেয়ে তাকে ভয় দেখিয়েছে। এবং তাকে ভয় পেতে দেখে খুশি হয়ে এমন হেসেছে যে সে পালাতে গিয়ে বড়পুকরে পড়ে যায়। ছেলেটা সাঁতার জানত না। মরেই যেত।
পেতনি অন্ধকারে অদৃশ্য হতেই স্কন্ধ ‘শাঁকচুন্নি’ বলে হাঁক দেয়—
লালপাড় সাদাশাড়ি ঘোমটায় পুরো মুখটা ঢাকা। শাড়ির ভেতর থেকে দু হাতের কঙ্কাল হাড়টা বেরিয়ে আছে। হাড়ের হাতে শাঁখাপলা নোয়া ও সোনার দুটো চুড়ি পরানো। শাঁকচুন্নি কথা বলতে বলতেই হাসছে।
আরও পড়ুন:

গল্পকথায় ঠাকুরবাড়ি, পর্ব-৪৫: রবীন্দ্রনাথ নিজের ডাক্তারি নিজেও করেছেন

ডায়াবিটিসে ভুগছেন? সকালের জলখাবারে কী ধরনের খাবার খেতে পারেন? রইল ডক্তারবাবুর জরুরি পরামর্শ

ঠিঁক দেঁখেঁ হাঁসিনিঁ দাঁঠাঁকুর। ভঁরদুঁকুর বেঁলা বঁড় পুঁকুরধাঁরের শ্যাঁওড়াগাঁছে বঁসেছিঁলুম।
শাঁকচুন্নির বক্তব্য খুব স্পষ্ট। সে শহরের মেয়ে বিয়ে হয়েছিল গ্রামে। পণের টাকা না পেয়ে শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে পুড়িয়ে মারে। ছোটবেলা থেকেই সে হঠাৎ-হঠাৎ গান গেয়ে ওঠে। সেদিন ছেলেটাকে যে ঝোপের পাশে ছিপ নিয়ে বসেছিল সেটা সে দেখেইনি। ছোটবেলার একটা গান আনমনে খোঁনা গলায় গেয়ে ফেলেছে— “তুমি যদি ময়দা হতে, জলখাবারে লুচি বেলতাম”। এক লাইন শুনেই ভিতু ছেলেটা ভয় পেয়ে গেলো। আর সেই দেখেই শাঁকচুন্নির এতো হাসি পেলো। ছোট থেকে তার এই হাসি রোগ শুরু হলে থামে না। খিঁকখিঁক করে শাকচুন্নি তার ভয়ঙ্কর হাসি শুনিয়ে বলল সেদিন এমনটাই হেসেছিল। বক্তব্য শেষ করে শাঁকচুন্নি সরলভাবে বলল—

হাঁসি শুঁনেই ভঁয়ে আঁধমরা ছেঁলেটা ঝুঁপুস কঁরে বঁড়পুকুরে পঁড়লো। সাঁমনে গিঁয়ে ভঁয় পাঁসনে বঁলে দাঁড়ালে তোঁ আঁগেই মঁরতো সেঁই বোঁকাহাঁদা ভীঁতুটা। আঁমার কীঁ দোঁষ বঁলুন? আঁর সাঁতার নাঁ জেঁনে জঁলের ধাঁরে আঁসা কেঁন?

দাঠাকুর খানিক চুপ করে ভাবলেন। তারপর বললেন—
শাঁকচুন্নি গান গাওয়াটা দোষের নয়। তবে কিনা হাসিটা না হলেই ভালো হতো। তোমাকে দেখে কেউ ভয় পেলে তাকে আরও ভয় দেখানোটা ঠিক নয়। ওটা মানুষে করে। আমাদের পক্ষে ভয়ানক ছেঁদো কাজ। আমাদের মানায় না। আমি এখন সতর্ক করলাম। ভবিষ্যতে শাস্তি পাবে। আর পেতনি ভূত সমাজে ভাষার গণ্ডি নেই তুমি যেকোন ভাষায় কথা বলতে পারো। কিন্তু মনুষ্যসমাজের মতো বাঙলা ইংরেজি হিন্দি মিশেল বাংরেজি হিংরেজি বা বাংদি মতো খিচুড়ি ভাষার কোনও কদর এই ভূতসমাজে নেই। সকলে যে ভাষা বুজবে সেখানে শুদ্ধভাবে সে ভাষায় কথা বললে কোনও আপত্তি নেই। স্কন্ধ আর কিছু—
স্কন্ধ একটু থেমে বলল—

আঁজ্ঞে এটা সকলকার অসুবিধে। ওই পুরোনো বাড়ি ভেঙে জলাজমি বুজিয়ে পাকাবাড়ি তৈরিতে আমাদের এই গড়াগাছি গ্রামের বাইরের যারা। মানে কাটোয়ার দিকটায় ওখানে অনেকেরই বাসাবদলের অসুবিধের বিষয়টা।
দাঠাকুর যেন স্তম্ভিত।
আরও পড়ুন:

ডায়েট ফটাফট: নিয়ম করে খান আমন্ড? ভালো থাকবে হার্ট, এড়ানো যাবে রিঙ্কল! এর বহুমুখী পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জানা আছে কি?

বাঙালির মৎস্যপুরাণ, পর্ব-৩৫: আমাদের পাতে মাছের বৈচিত্র্য থাকুক, আবার মৎস্যজীবিরাও রুই, কাতলার সঙ্গে এদের চাষের আওতায় আনুন

আমাদের গড়াগাছি গ্রাম মানে? আমাদের বাসভূমি সীমাহীন গ্রাম শহর দেশ দিয়ে ভূতেদের বাঁধা যায় না। আমাদের কাল নেই, অতীত বর্তমান ভবিষ্যত নেই। বিশ্বের সর্বত্র আমরা অবাধগতি। দশটা জলা কি পুকুর বুজিয়ে বা পুরনো বাড়ি ভেঙ্গে পাকাবাড়ি কি একটা কারখানা হল আর ভূতেদের মাথায় বাজ পড়লো ওসব বায়োস্কোপের গপ্পে হয়। কলকাতার ন্যাশানল লাইব্রেরি রাইটার্স মানে মহাকরণে আমরা আগেও ছিলাম এখনো আছি। লালবাগ ফোর্ট ঢাকা, চট্টগ্রামের চন্দ্রনাথ মন্দির, পুরুলিয়ার বেগুনকোদোর রেলস্টেশন, রবীন্দ্র সরোবর মেট্রো স্টেশন, নিমতলাঘাট, হাওড়া ব্রিজের নিচে মল্লিকঘাট, কার্শিয়াং, জলপাইগুড়ি, মুর্শিদাবাদ, দিল্লি, বম্বে, মাদ্রাজ, লন্ডনের হাইড পার্ক, টাওয়ার অব লন্ডন, আমেরিকা, ফ্রান্স, জাপান, ভিয়েতনাম পৃথিবীর সর্বত্র জলে স্থলে অন্তরীক্ষে আমরা ছিলাম আমরা আছি আমরা থাকবো।

দাদাঠাকুর একটু থামেন – একঝলক ভূতেদের দিকে তাকিয়ে নেন তারপর বলেন—
মানুষদের মতো সবকথায় মাথা নাড়বে না। মনে প্রশ্ন আসছে – ঢাকার লালবাগ ফোর্ট নিয়ে কিন্তু ধমকের ভয়ে মাথা নাড়াচ্ছো – যেন সব বুঝে গিয়েছ। মানুষের ওপরচালাকিটা ওদের বারোটা বাজিয়ে দিয়েছে। লালবাগ ফোর্ট হলো আমাদের ঔরঙ্গজেবের ছেলে মোহাম্মদ আজম শাহ’র দূর্গ। বাংলার সুবেদার নবাব মির্জা আবু তালিব মানে তোমাদের শায়েস্তা খাঁ। তার মেয়ে ইরান দুক্ত – যাকে সব্বাই পরিবিবি বলে চেনে। সম্রাটপুত্তুর মোহাম্মদ আজম শাহ’র সঙ্গে পরিবিবি’র গভীর আশনাই। কিন্তু সাধ পূর্ণ হল না। মাস চারেকের জন্যে মোগলসম্রাট-হওয়া মোহাম্মদ আজম শাহ নিজের সৎভাই বাহাদুর শাহ এক নম্বরের হাতে মরল- মানুষের যা হয়। গদির লড়াই। যাকগে ওসব। যে কথা হচ্ছিল- আমরা না চাইলে কোন পীরবাবা ফকির তন্ত্রসাধক নেতা মন্ত্রী এলাকার ভুঁইফোঁড় মস্তান কেউ আমাদের কিস্যু করতে পারবে না।
যাকগে, স্কন্ধকাটা একচোখো গেছোভূত একানড়ে হাঁড়িচাঁচা গোভূত পেতনি শাঁকচুন্নি পিশাচ বেঘোভুত আলেয়া শেকল বুড়ি নিশি রাক্ষস মেছোভূত তোমাদের সকলকে ধন্যবাদ। আজ আমরা আমাদের একজোড়া নতুন সঙ্গী পেয়েছি। পঞ্চানন, চম্পা তোমরা নেমে এসো। এরা ভূতসমাজের অতিথি। তোমরা সকলে এদের খেয়াল রেখো। সকলে এদের সাহায্য করবে। সভা সমাপ্ত।
—চলবে
* কিম্ভূতকাণ্ড (Kimbhoot kanda – Horror Novel) : জিৎ সত্রাগ্নি (Jeet Satragni) বাংলা শিল্প-সংস্কৃতি জগতে এক পরিচিত নাম। দূরদর্শন সংবাদপাঠক, ভাষ্যকার, কাহিনিকার, টেলিভিশন ধারাবাহিক, টেলিছবি ও ফিচার ফিল্মের চিত্রনাট্যকার, নাট্যকার। উপন্যাস লেখার আগে জিৎ রেডিয়ো নাটক এবং মঞ্চনাটক লিখেছেন। প্রকাশিত হয়েছে ‘জিৎ সত্রাগ্নি’র নাট্য সংকলন’, উপন্যাস ‘পূর্বা আসছে’ ও ‘বসুন্ধরা এবং…(১ম খণ্ড)’।

Skip to content