বৃহস্পতিবার ৭ নভেম্বর, ২০২৪


দিল্লিতে ফের শ্রদ্ধা হত্যাকাণ্ডের ছায়া। সৎবাবাকে খুন করে দেহ ১০ টুকরো করেছেন দিল্লির বাসিন্দা দীপক দাস এবং তাঁর মা পুনম দাস। সোমবার এই অভিযোগে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে।
এই খুনের তদন্ত করছে দিল্লি পুলিশ। তদন্ত চলাকালীন একটি সিসিটিভি ফুটেজ আসে দিল্লি পুলিশের হাতে। হাড় হিম করা সেই ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, দিল্লির কোনও একটি মাঠে দীপক প্লাস্টিক ব্যাগ হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। খানিক পরে তিনি ব্যাগটি মাঠ থেকে তুলে নিয়ে ফের হাঁটতে থাকেন। এই দৃশ্য দেখে সন্দেহ হয় পুলিশের। পুলিশ সূত্রের জানা গিয়েছে, দীপক ওই মাঠে গিয়েছিলেন তাঁর সৎবাবার কাটা মাথা পুঁততে।
আরও পড়ুন:

বিয়েবাড়ি হোক বা পিকনিক, ভরপেট খেয়েও রোগা থাকতে মানে চলুন এই সব নিয়ম

টলি-পরিচালকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে ফ্ল্যাটে আটকে রাখার অভিযোগ, জানালেন আরও এক তরুণী

জানা গিয়েছে, খুনের ঘটনাটি ঘটেছে চলতি বছরের জুন মাসে। পূর্ব দিল্লির পাণ্ডব নগরের বাসিন্দা পুনমের কথায় তাঁর সৎবাবা অঞ্জন দাসকে দীপক খুন করেন। পুনম দাবি করেন, কোনও অনুমতি ছাড়া অঞ্জন তাঁর গয়না বিক্রি করে দেন।
এখানেই শেষ নয়, ওই গয়না বিক্রির টাকা না কি অঞ্জন তাঁর প্রথম স্ত্রীকে পাঠাতেন বলে অভিযোগ পুনমের। অঞ্জনের প্রথম স্ত্রী আট ছেলেমেয়ে থাকতেন বিহারে। প্রথম স্ত্রীর সংসার চালাতে অঞ্জন গয়না বিক্রি করে টাকা দিতেন বলে পুনমের দাবি।
আরও পড়ুন:

গৃহিণীদের মধ্যে বইয়ের নেশা বাড়াতে কাঁধে ঝোলা নিয়ে ঘুরে বেড়ান রাধা, ‘চলমান পাঠাগার’ তাঁর পরিচয়!

ট্রেনের টিকিট ‘কনফার্ম’ না হলে একেবারে বিনামূল্যে বিমানের টিকিট পাবেন যাত্রীরা! কোন অ্যাপে, কীভাবে পাবেন?

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথমে পুনম এবং দীপক অঞ্জনের পানীয়তে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দেন। অঞ্জন সেই পানীয় খাবার পর অজ্ঞান হয়ে যান। এর পরে তাঁর গলায় কুঠার দিয়ে কোপ মেরে অঞ্জনকে খুন করেন। রাতভোর দেহ থেকে রক্ত বেরতে থাকে। রক্ত বেরনো বন্ধ হলে পরের দিন সকালে ধারালো অস্ত্র দিয়ে অঞ্জনের দেহকে ১০ টুকরো করেন তাঁর। এর পরে সেই দেহাংশকে পলিথিনের ব্যাগে ভরে ফ্রিজে রেখে দেন। পরে সুযোগ বুঝে দেহাংশগুলি দিল্লির একাধিক জায়গায় ছড়িয়ে দেন পুনম এবং দীপক। তল্লাশি চালিয়ে এখনও পর্যন্ত দেহের ৬টি পেয়েছে পুলিশ।

Skip to content