শুক্রবার ২২ নভেম্বর, ২০২৪


ছবি প্রতীকী

পড়ুয়ার বয়স ন’বছর। ‘অপরাধ’ নামতা বলতে পারেনি। আর এর জন্য ছাত্রকে শিক্ষক যা শাস্তি দিয়েছেন তাতে অবাক অভিভাবক থেকে প্রশাসন। অভিযোগ, শিক্ষক ওই ছাত্রকে নামতা না পারার শাস্তি হিসেবে তার হাতে দেওয়ালে ছিদ্র করার ড্রিল চালিয়ে দেন! ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের কানপুরের। শেষমেশ ওই শিক্ষককে বহিষ্কার করা হয়েছে। শুরু হয়েছে তদন্ত।
ঘটনাটি কানপুরের প্রেমনগরের প্রাথমিক স্কুলের। গত বৃহস্পতিবার স্কুলের গ্রন্থাগারে রক্ষণাবেক্ষণের কাজের দেখভাল করছিলেন অভিযুক্ত ওই শিক্ষক। তখনই স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির ন’বছরের ওই ছাত্র গ্রন্থাগারের ভিতর দিয়ে যাচ্ছিল। সে সময় তাকে ডাকেন শিক্ষক। তাকে দুইয়ের নামতা জিজ্ঞাসা করেন। দুইয়ের নামতা পারেনি ওই পড়ুয়া। এতে শিক্ষক রেগে গিয়ে ছাত্রের হাতে ড্রিল চালিয়ে শাস্তি দেন বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন:

আমাজন আর অনলাইন খাবার ডেলিভারি করবে না, ভারতে বন্ধ হচ্ছে সংস্থার এই পরিষেবা

জাঁকিয়ে শীতের জন্য বাংলাকে আরও অপেক্ষা করতে হবে, এর মধ্যে আবার হাজির ঘূর্ণাবর্তও

জানা গিয়েছে, ওই শিক্ষক ছাত্রটির বাঁ হাতে ড্রিল মেশিন চালিয়ে দেন। পাশে থাকে আর এক ছাত্র ড্রিল মেশিনের প্লাগ টেনে খুলে দেওয়ায় রক্ষা পায় পড়ুয়া। তা সত্ত্বেও হাতটি জখম হয়েছে। ওই পড়ুয়ার অভিযোগ, ‘‘স্যর দুইয়ের নামতা জিজ্ঞাসা করেছিলেন। আমি বলতে পারিনি। এতে স্যার রেগে গিয়ে আমার বাঁ হাতে ড্রিল মেশিন চালিয়ে দেন। সে সময় আমার পাশে থাকা এক পড়ুয়া ড্রিল মেশিনের প্লাগটি খুলে দেয়। যদিও আমার হাতে খুব লেগেছে।’’
আরও পড়ুন:

ইংলিশ টিংলিশ: সবাই যদি বলে ‘very beautiful’, তুমি বলে দ্যাখো ‘ravishing’ বা ‘magnificent’!

দার্জিলিংয়ে নতুন অ্যাডভেঞ্চার! টয় ট্রেন চলবে রাতেও, কবে থেকে?

এদিক, স্কুলে বাকি শিক্ষকরা ঘটনার কথা জানতে পেরে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন। পড়ুয়াকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁরা বাড়িও পাঠিয়ে দেন। ছাত্রের এক আত্মীয় জানান, ‘‘এই ঘটনার পর শিক্ষকরা তাকে অ্যান্টি-টিটেনাস পর্যন্ত দেননি।’’ ওই ছাত্র শুক্রবার পুরো ঘটনাটি তার বাবা-মাকেজানায়। তাঁরা স্কুলে ক্ষোভ দেখান। স্কুল কর্তৃপক্ষ আবার জেলার প্রাথমিক শিক্ষা আধিকারিক (বিএসএ)-এর কাছে অভিযোগ জানান। জেলার প্রাথমিক শিক্ষা আধিকারিক সুরজিৎকুমার সিংহ জানান, ওই ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষককে বহিষ্কার করা হয়েছে। তিন সদস্যের কমিটিও গড়া হয়েছে পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখার জন্য। সুরজিৎ পড়ুয়ার পরিবারের সঙ্গেও কাথা বলেছেন।

Skip to content