ছবি প্রতীকী
গর্ভনিরোধক ওষুধ নিয়ে নানা চিকিৎসকের নানা মত রয়েছে। অনেকেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তা ব্যবহার করে থাকেন। আর এতেই নাকি দারুণ একটি উপকারিতা রয়েছে। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় বলা হয়েছে, গর্ভনিরোধক ওষুধ ব্রণর মতো ত্বকের সমস্যা দূর করতে পারে।
বয়ঃসন্ধির সময় ব্রণর সমস্যা বেশি হয়। আবার অনেকেরই তৈলাক্ত ত্বক থাকে। তাঁদেরও ব্রণর সমস্যা দেখা যায়। কিন্তু কেন হয় এমনটা? সাধারণত মহিলাদের ক্ষেত্রে পিরিয়ড হওয়ার আগে হরমোনাল সাইকেল চলে। প্রথমে ওভ্যুলিউশন, তার আগে ইস্ট্রোজেন ডমিনেটেড ফেজ থাকে, তারপর প্রোজেস্টেরন ডমিনেটেড ফেজ থাকে। এই পুরো ফেজ সঠিক পর্যায়ে হতে থাকলে সব কিছুই স্বাভাবিক থাকে। কোনও একটি পর্যায়ে সমস্যা হলে তখন ঋতুস্রাবে সমস্যার পাশাপাশি আনুষঙ্গিক নানাবিধ সমস্যা দেখা দেয়। যার মধ্যে অন্যতম ত্বকের সমস্যা।
আরও পড়ুন:
উত্তম কথাচিত্র, পর্ব-১২: সে এক ‘বউঠাকুরাণীর হাট’ [১০/০৭/১৯৫৩]
পেটের ব্যথাকে একেবারেই অবহেলা করবেন না / পর্ব- ২
গবেষকদের একাংশ মনে করছেন, সবই হরমোনের জন্য হয়ে থাকে। বয়ঃসন্ধির সময়টা আসলে ডিম্বাশয় বিকশিত হওয়ার সময়। ফলে এই সময় হরমোন বেশি সক্রিয় থাকে। এই হরমোনের ভারসাম্য বিগড়ে গেলেও ত্বকের সমস্যা দেখা যেতে পারে।
আরও পড়ুন:
একশো কোচ নিয়ে আল্পসে ছুটল বিশ্বের দীর্ঘতম যাত্রীবাহী ট্রেন! পেরল ৪৮ রেল ব্রিজ ও ২৮টি টানেল
ঘরের ভিতরের বাতাস দূষিত হয়ে যাচ্ছে? দূষণের মাত্রা কমাতে কী করবেন?
তবে সমীক্ষার পর নাকি দেখা গিয়েছে, গর্ভনিরোধক ওষুধে সিন্থেটিক হরমোন থাকে। যা এই ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। ফলে এই ধরনের ওষুধ খেলে ব্রণর সমস্যা অনেক সময় কমে যেতে পারে। একাধিক মহিলা নাকি এর থেকে উপকার পেয়েছেন। তবে একজনের ক্ষেত্রে কোনও ওষুধ কাজ করলেই যে তা অন্যজনের ক্ষেত্রে কাজ করতে তা কিন্তু নয়। বিশেষ করে গর্ভনিরোধক ওষুধের ক্ষেত্রে খুবই সাবধানতা বজায় রাখা উচিত।