২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণরা সাত বছর পর জানবেন পরীক্ষার নম্বর, ২০১৭-র ফলও সোমবার

২০১৪ সালে প্রাথমিকে শিক্ষক পদে যোগ্যতা নির্ণায়ক পরীক্ষা (টেট) দিয়েছিলেন যাঁরা সেই উত্তীর্ণরা ৭ বছর পর অবশেষে সেই নম্বর জানতে পারবেন। টেটের নম্বর জানতে পারবেন ২০১৭ সালে টেট পরীক্ষায় উত্তীর্ণরাও। সোমবারই তাঁদের নম্বর জানানো হবে। এমনটাই জানিয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল।

এই সপ্তাহের মধ্যেই ওই উত্তীর্ণদের প্রাপ্ত নম্বর প্রকাশ করবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। পর্ষদের সভাপতি গৌতম জানিয়েছেন, এর ফলে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আসবে। ২০১৭ সালে টেট পাশ করেছিলেন ৯,৮৯৬ জন। ২০১৪ সালে টেট পাশ করেছিলেন ১ লক্ষ ২৫ হাজার।

হাই কোর্টের নির্দেশে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ ১১ হাজার পদে নিয়োগের জন্য ইন্টারভিউ শুরু করেছে। আগামী ১৪ নভেম্বর আবেদন জমা দেওয়ার শেষ দিন। তার মধ্যেই ২০১৪ এবং ২০১৭ সালের টেট উত্তীর্ণরা এ বার নিজেদের নম্বর জেনে যাবেন। এর ফলে চাকরিপ্রার্থীদের অনেকটাই সুবিধা হবে। তাঁরাও বুঝতে পারবেন যে, লিখিত পরীক্ষায় তাঁরা কত নম্বর পেয়েছেন। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে যে নতুন টেট হবে, তার ফলাফল প্রকাশের সময়ও জানানো হবে তাঁদের প্রাপ্ত নম্বর, এমনটাই জানিয়েছেন পর্ষদ সভাপতি।

টেট উত্তীর্ণরা দীর্ঘ দিন ধরে নম্বর জানার দাবিতে লড়াই করছেন। তাঁদের সেই লড়াই আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। মামলাকারীদের আইনজীবী জানিয়েছিলেন, লিখিত পরীক্ষার নম্বর জানা না থাকায় প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের আবেদনপত্র পূরণে আবেদনকারীরা সমস্যায় পড়ছেন। গত শুক্রবারই পর্ষদের কৌঁসুলি হাই কোর্টে জানান, ২০১৭ সালের তথ্য সোমবারের মধ্যে দেওয়া যাবে। কিন্তু ২০১৪ সালের তথ্য পাওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা থেকেই গিয়েছিল। তার পরেই পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল সোমবার নম্বর প্রকাশের কথা ঘোষণা করলেন।