সোমবার ২৫ নভেম্বর, ২০২৪


 

প্রেক্ষাগৃহ: প্যারাডাইস, উত্তরা, পূরবী ও উজ্জ্বলা

‘কার পাপে’ ছবির ভরাডুবি, শুধু ফিল্ম কেরিয়ারেই উত্তমকে চোখে অন্ধকার দেখায়নি, ব্যক্তি জীবনটাকেও ছারখার করে দিয়েছিল। বসু পরিবার-র সাফল্য ও খ্যাতি, অপরিণত উত্তমকে বড্ড ছেলেমানুষ করে দিয়েছিল। ছবি তখন চলছে। উত্তম পোর্ট কমিশনার্সের চাকরিতে মন বসাতে পারছে না। সবসময় একটা চাপা উত্তেজনা কাজ করছে। এতদিনের ব্যর্থতার গ্লানি পেরিয়ে সাফল্যের একটা মুক্ত বাতাস, কিছুক্ষণের জন্য মানুষকে সজীব করে দেয় বটে। সেই সজীবতাকে পাথেয় করে চাকরিতে দিনের পর দিন ফাঁকি, কাজের প্রতি ডেডিকেটেড উত্তমকে মনে মনে অপরাধী করে তুলছিল।

সব কথা গৌরীকে খুলে বলা ছাড়া উপায় নেই। খুব নিরুপায় হয়ে উত্তম জানালেন, ”গৌরী! এ ভাবে অফিসের কাজে যে আর ফাঁকি দেওয়া যাচ্ছে না। আমি চাকরিটা ছেড়ে দিতে চাই— ভবিষ্যতে যদি হেরে যাই তুমি আঘাত পাবে না তো?” গৌরী বিন্দুমাত্র দ্বিধা না করে বলেছিল, ”তোমার ব্যর্থতা আমার ব্যর্থতা, তোমার সাফল্য আমার সাফল্য। সুতরাং আঘাতের কোনও প্রশ্নই ওঠে না।”
অরুণকে উত্তম কুমার হয়ে উঠতে গৌরী সবচেয়ে বেশি ত্যাগ স্বীকার করেছিল। একটা দুধের শিশুকে কোলে নিয়ে কোন ঘরনি স্বামীর নিশ্চিত উপার্জন ছাড়ার সিদ্ধান্ত সমর্থন করবেন — জানতে হলে কপালে দুঃখ আছে। ধনীর দুলালী গৌরী, জীবন দিয়ে তা করে দেখিয়েছিল। তাই ভবিষ্যতে প্রতিষ্ঠিত উত্তমকে নিয়ে বেশি চিন্তিত হয়ে পড়ত গৌরী। আগলে রাখার চেষ্টা করত। পরবর্তীকালে ইগোর লড়াই দুজনকে দুপ্রান্তে করে দিয়েছিল।

চাকরিটা অরুণ ছেড়ে দিল। যে চাকরিটা অনেক চেষ্টা করে পেয়েছিল ফিল্মের জন্য নির্দ্বিধায় তাতে যবনিকা টেনে দিত হল। ছাড়ার সময় যে কষ্ট হয়েছিল তা আর আলোচনা করে লাভ নেই কারণ গৌরীর ভালোবাসার উত্তমকে বিধাতাপুরুষ আর সেখানে ফিরে যেতে দেননি। শেষ হয়ে গেল অরুণের কেরানি জীবন।

বিচ্ছেদের এ অব্যক্ত মোচড়, অরুণ তথা উত্তম জীবনে আর একবার পাবে যখন সুপারস্টার (উত্তম)-র মানসিক পুষ্টি যোগাতে অক্ষম আটপৌরে গৌরী দিনের পর দিন পিছিয়ে পড়ছিল। ‘বসু পরিবার’-র আশাতীত সাফল্যে উত্তমের ছবির সংখ্যা বাড়ল না। চাকরি ছাড়ার পর কয়েক মাস নিতান্ত বেকার আর অসহায় অবস্থার মধ্যে দিয়ে কাটলো। কিছু ছবির কথা হয়, তবে কোনও কাজে লাগে না। মাঝে ‘কার পাপে’-র মুখ থুবড়ে পড়া গোদের ওপর বিষফোঁড়া হয়ে দেখা দিল।
পরবর্তীকালে যে সুযোগসন্ধানীরা উত্তমকে কাজে লাগিয়ে আখের গুছিয়েছেন তারা কোনওদিন জানতে চেষ্টাই করেননি মানুষটা কি দুঃসহ যন্ত্রণার মধ্য দিয়ে শুরুর দিনগুলো কাটিয়েছিল।

‘কার পাপে’-র সঙ্গে ‘সাড়ে চুয়াত্তর’-র রিলিজের তফাত মাত্র ছ’মাস পাঁচ দিন। কিন্তু চাকরিহীন ছবিহীন উত্তমের প্রতিটা মুহুর্ত দুর্ভাগ্যের চাকায় পিষতে পিষতে চুরমার হয়ে যাচ্ছিল। চারিদিকে শুধুই অন্ধকার আর অন্ধকার। কোথাও এক চিলতে আলোর আশা নেই।

এর মধ্যেই ঘটে গেল সেই অপ্রত্যাশিত সোনায় বাঁধানো ঘটনা। অনেক পরীক্ষা-অনেক আলোচনা-জল্পনার পর একটা ছবিতে ‘বসু পরিবার’ হিট দেওয়া উত্তমকে নির্বাচন করা হল। কনট্র্যাক্ট ফর্ম সামনে খোলা। সই করা হবে এমন মুহুর্ত। কলম খুলে উত্তম সই করতে উদ্যত হয়েছেন কিন্তু সই করতে পারলেন না। উত্তমের কলম তখন আর তার হাতে নেই। কলম প্রযোজকের হাতে। সই করতে দিলেন না। জানা গেল উত্তমের চেয়ে অনেক হেভিওয়েট একজন শিল্পীকে তাঁরা রাজি করিয়ে ফেলেছেন। এতদিন সে পয়া শিল্পীর সঙ্গে দরে পোষাচ্ছিল না বলে তাঁরা দয়া করে উত্তম কুমার নামক ‘কার পাপে’ ফ্লপ নায়ককে ডেকে পাঠিয়েছিলেন। ক্ষোভে অপমানে সেদিন কারও দিকে তাকাতে পারেনি আগামী দিনের মহানায়ক।

নীরবে, সবার অলক্ষ্যে সেদিন চোরের মতো মাথা হেঁট করে সেখান থেকে চলে আসতে হয়েছিল উত্তমকে। অবচেতন মন সবসময় চিৎকার করে জানিয়েছে দয়া করে সুযোগ দিন, প্রমাণ করতে দিন উত্তম কুমার অযোগ্য নয়।
আরও পড়ুন:

উত্তম কথাচিত্র, পর্ব-৯: দুঃসময়ের স্মৃতিগুলো ‘কার পাপে’? [১৫/০৮/১৯৫২]

অচেনা টলিউড, পর্ব-৪: স্বপনদার ছবিতে সরস্বতীর ছোঁয়া (শিল্প) না থাকলেও, লক্ষ্মীর আশীর্বাদ (মুনাফা) ছিল

পর্দার আড়ালে: হিন্দি ‘মমতা’ ছবির শুটিংয়ে সুচিত্রা’র সংলাপ মুখস্ত করার ঘটনা ছিল অসাধারণ

নাট্যকার গিরিশচন্দ্রের সন্ধানে, পর্ব -২২: প্রথম ঐতিহাসিক নাটক ‘চন্ড’-এর মাধ্যমে নিজের প্রতিভা তুলে ধরেছিলেন গিরিশচন্দ্র ঘোষ

এদিকে নির্মল দে’র অবস্থা বদলেছে। ‘বসু পরিবার’-র সাফল্যে মাত্র কিছুদিনের মধ্যেই পেয়েছেন প্রতিষ্ঠা। অনেক অফার আসা সত্ত্বেও নির্মলবাবু নিজেকে সহজ করতে পারলেন না। একটাও গ্রহণ করলেন না।

কিন্তু সব চিন্তাই ব্যর্থ হয়ে গেল। কিছুদিন পর এমপি প্রোডাকশনস আবার ছবি করবেন ঠিক করলেন। এবারও পরিচালনার দায়িত্বে এমপি কর্তৃপক্ষ, নির্মলবাবুকেই নির্বাচন করলেন। নির্মলবাবু সবাইকে প্রত্যাখ্যান করলেও এমপি-র কর্ণধার মুরলীধরবাবুকে পারলেন না।
একটা হাসির ছবি তৈরি করার ব্যবস্থা পাকাপাকি হয়ে গেল। ছবির নামকরণ হল ‘সাড়ে চুয়াত্তর’।

স্টাফ আর্টিস্ট হিসাবে উত্তমের সুযোগ পাওয়া উচিত তবুও মনের কোণে একটা সন্দেহের মেঘ জমে রইল। নির্মলবাবু পরিচালক হিসাবে আগামী দিনের শক্তি সামন্ত। শিল্পের প্রয়োজনে ভীষণ নির্মম। কিন্তু নিয়তির বিধান বোঝা দায়। ঠিক সময়মতো নির্মলবাবু উত্তমকে ডেকে পাঠালেন এবং ‘সাড়ে চুয়াত্তর’ ছবির নায়ক নির্বাচন করলেন।
বিভ্রাট হল নায়িকা নির্বাচন নিয়ে। সম্মিলিত সিদ্ধান্তে স্থির হল মালা সিনহার নাম। মালা সিনহা তখন বাংলা ছবির ক্ষেত্রে পরিচিত নাম। মালা সিনহা রাজি হতে পারলেন না। অনেকগুলো ছবিতে চুক্তিবদ্ধ। সকলের তখন একই চিন্তা, কাকে নিয়ে কাজ করা হবে! হঠাৎ একটা নাম মনে পড়ল নির্মলবাবুর। রমা। সুচিত্রা সেন।

দর্শকমহলে তখন সুচিত্রা সেন ধরতে গেলে নবাগতা। পরিচালক সুকুমার দাশগুপ্ত যথারীতি চেষ্টা করছেন ঘষে মেজে তৈরি করতে। নির্মলবাবুর সিক্সথ সেন্স, কোথায় যেন ইঙ্গিত দিচ্ছে রমার ফটোজেনিক মুখটা মনে রেখে। যেমন ভাবা তেমন কাজ। বিবাহিতা সুচিত্রা, স্বামী দিবানাথের সঙ্গে এসে ‘সাড়ে চুয়াত্তর’ ছবির স্ক্রিপ্ট শুনে কনট্র্যাক্ট ফর্মে সই করে গেলেন।

যথাসময়ে ছবির কাজ শুরু হল। নিয়মিত শুটিং চলতে লাগল ‘সাড়ে চুয়াত্তর’ ছবির। তখন উত্তমের দুটো মুখ্য কাজ। বাড়ি থেকে স্টুডিও আর স্টুডিও থেকে বাড়ি। একটা সময়ে ‘সাড়ে চুয়াত্তর’-র কাজ শেষ হল। এবার মুক্তি পাবার পালা।
মুক্তির পর্ব নিয়ে সে এক কাজিয়া। এমপি-র কর্তৃপক্ষ কি কারণে ভাবলেন জানি না ‘প্যারাডাইস’ হলে মুক্তি পাবে ‘সাড়ে চুয়াত্তর’। প্যারাডাইসের মতো প্রেক্ষাগৃহে বাংলা ছবি এ ব্যাপারটাই দর্শকদের কাবু করে দিল।

ফলাও করে বিজ্ঞাপন ছাপা হল ‘প্যারাডাইস চিত্রগৃহে বাংলা ছবি’। এরপরই উত্তমের কালো সময়। কারণ বিজ্ঞাপনের পরবর্তী আকর্ষণ ‘তুলসী চক্রবর্তী-র নাম ভূমিকায় সমৃদ্ধ বাংলা ছবি।’

লজ্জা ঘেন্নার মাথা খেয়ে “সাড়ে চুয়াত্তর” ছবির প্রচার বিভাগের কাছে উত্তম অনেক হাতে পায়ে ধরলেন। কিন্তু তাঁরা কোনওভাবেই উত্তম কুমারকে আমল দিতে রাজি নন। বিজ্ঞাপনে নাম পাবার অধিকার তাঁর যে এখনও হয়নি— এটাই তাদের ব্যবহারে ফুটে উঠল।
অবশেষ ছবি মুক্তি পেল।

প্রথম প্রথম কয়েকদিন নড়বড়ে গেলেও তারপর শুরু হল তুলসীয়ানা। বাচ্চা থেকে বুড়ো কমেডি ছবির নতুন ফর্মুলায় কুপোকাত। ‘পরশপাথর’ তুলসীবাবুকে সরস্বত মর্যাদা এনে দিয়েছে সত্য, কিন্তু আমজনতার বৈঠকি মেজাজে শান দেওয়ানোর মোক্ষম দাওয়াই হল ‘সাড়ে চুয়াত্তর’-র রঙিন সংলাপ। দাম্পত্যের রসালো বিনিয়োগ কত মধুর হতে পারে তার চিরন্তন দলিল হয়ে আছে এ ছবির প্রতিটা ফ্রেম।
আরও পড়ুন:

২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণরা সাত বছর পর জানবেন পরীক্ষার নম্বর, ২০১৭-র ফলও সোমবার

ছোটদের যত্নে: শিশুকে টনসিলের সমস্যা থেকে দূরে রাখতে চান? মেনে চলুন শিশু বিশেষজ্ঞের এই সব টিপস

শিশুকে নিয়ে বেড়াতে যাচ্ছেন? কোন কোন বিষয়ে সতর্কতা প্রয়োজন? কী কী ওষুধ সঙ্গে রাখবেন? রইল পরামর্শ

মনের আয়না: অনিদ্রায় ভুগছেন? হাজার রকম ঘুমের ওষুধ খেয়েও মিটছে না সমস্যা? শুনুন মনোবিদের পরামর্শ

তুষারপাতের সেই দিনগুলি, পর্ব-৭: সে এক কাণ্ড, প্রথমে দেখে তো বুঝতেই পারছিলাম না সুপিরিয়রের শুরু কোথায়…

সকলের মুখে মুখে তুলসী চক্রবর্তী আর মলিনা দেবী। এতদিন যে মলিনা দেবী ভক্তিমূলক ছবিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করে সকলের প্রণম্যা হয়েছেন তাঁর এ হেন গার্হস্থ্যরূপ মানুষ মাথায় তুলে নিয়েছিল।

আর সেই ছাতার নীচে উত্তম-সুচিত্রা নামক যুগলমূর্তি খুঁজে পেয়েছিল সুশীতল অভিভাবকত্বের ঘেরাটোপে সংসার পাতার রসদ। একরোখা, আদর্শবান যুবক উত্তম যেভাবে স্বল্পসন্তুষ্ট গৌরীকে ব্যক্তিজীবনে আপন করেছিল এ ছবির পরতে পরতে ছড়িয়ে ছিল তার রিপিট টেলিকাস্ট। ফলে প্রতিটা শটে উত্তম ক্যামেরার সামনে শুধু বিহেভ করে গিয়েছিল।

আমরা ইতিহাসের খতিয়ান মেলাতে গিয়ে পরবর্তীকালে উত্তম-সুচিত্রার প্রথম ছবির মর্যাদায় ‘সাড়ে চুয়াত্তর’-কে তালিকাভুক্ত করি কিন্তু ছবি শুরু হলে গোগ্রাসে গিলতে থাকি পরের পর ভানু-জহর, হরিধন-নবদ্বীপ, শ্যাম লাহা-পঞ্চানন, অজিত-রঞ্জিত, শ্যামল-মানবেন্দ্র-সনত, গুরুদাস-পদ্মা দেবী মায় তুলসী-মলিনার দরবারী রসায়ন। সেখানে উত্তম-সুচিত্রা খড়কুটোর মতো ভেসে গিয়েছেন।
নিরপেক্ষ দৃষ্টিতে তখন তাঁরা অনেকর মধ্যে একজন। গুরুত্বপূর্ণ কেউ নন। তাহলে প্রশ্ন উঠবে, উত্তম ছাড়াও অন্য কাউকে নিলে ছবি বাণিজ্যিক দিক দিয়ে কোনও ঝুঁকির মুখে পড়ত না। এখানেই লুকিয়ে আছে পরিচালকের গোপন তাস। ছবিতে উত্তমকে বাদ দিলে সেসময়ে এ চরিত্রে অভিনয়ের জন্য সমর মল্লিক (‘সাত নম্বর কয়েদি’-তে সুচিত্রার প্রথম হিরো) ছাড়া আর কেউ ছিলেন না। রবীন মজুমদার, বিকাশ রায়, বসন্ত চৌধুরীরা মেসে থাকা গোঁয়াড়ে যুবকের রোলে অতি বাড়াবাড়ি বা ম্যানারিজম সর্বস্ব অভিনয় করে বসতেন যা, ছবির মেজাজের সঙ্গে একেবারে বেমানান হতো।

উত্তমের সবচেয়ে বড় সম্পদ ছিল, গল্পের ইনার লাইনকে আত্মস্থ করে নিজের চেহারাকে ক্যামেরার সামনে সেভাবে উপস্থাপন করা। সারাজীবন উত্তম ক্যামেরাকে নিজের অনুকূলে ব্যবহার করতে পেরেছিল— এটাই ছিল মহানায়ক সিক্রেট।

পথশ্রমে ক্লান্ত, সংগ্রামী চেহারা নিয়ে বয়ঃজ্যেষ্ঠদের সম্মান, মেয়েদের প্রাপ্য মর্যাদা দিয়ে দায়িত্ববান চোখে পথে যেতে যেতে যেভাবে সুচিত্রাকে প্রেম নিবেদন— মাঝে স্বপ্নভঙ্গ। অবশেষে মিলনসেতুরচনার ত্রিবেণীসঙ্গম ঘটিয়েছেন উত্তম ছাড়া কারও মুখ মনে করতে বেশ কষ্ট হচ্ছে।
পরিচালকের মাপজ্ঞান তারিফ করার মতো। চরিত্র অনুযায়ী অভিনেতা নির্বাচন নির্মল দে-কে সত্যজিৎ রায়-র পূর্বসূরী বলা যায়।

সঙ্গে কালীপদ সেন-র চোস্ত সুরলহরী, ছবির মেজাজকে দর্শকমনে গেঁথে দিয়েছে। আমরা যে মনস্তাত্ত্বিক গঠন নিয়ে পরবর্তীকালের অনেক এলেমদার শিল্পীদের মূল্যায়ন করি তাদের সকলের প্রবেশিকা পরীক্ষা ছিল ‘সাড়ে চুয়াত্তর’। আর তাদের ট্রেনার ছিলেন খোদ চক্কোত্তি মশায়।—চলবে
* উত্তম কথাচিত্র (Uttam Kumar – Mahanayak – Actor) : ড. সুশান্তকুমার বাগ (Sushanta Kumar Bag), অধ্যাপক, সংস্কৃত বিভাগ, মহারানি কাশীশ্বরী কলেজ, কলকাতা।

Skip to content