সোমবার ২০ জানুয়ারি, ২০২৫


বড়সড় জয় পেল মোদী সরকার। সোমবার সুপ্রিম কোর্ট আর্থিক ভাবে দুর্বল শ্রেণি (ইডব্লিউএস)-র জন্য কলেজ এবং সরকারি চাকরিতে ১০ শতাংশ সংরক্ষণের পক্ষেই রায় দিয়েছে। এই মামলায় শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, আর্থিক মানদণ্ডের দিক দিয়ে দুর্বল শ্রেণির জন্য সংরক্ষণের সিদ্ধান্ত একেবারেই বৈষম্যমূলক নয়। মামলায় শীর্ষ আদালতের ৫ বিচারপতির মধ্যে ৩ জনই সংরক্ষণ নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্তকে বৈধ বলে মনে করেছেন। মামলাটির জন্য পাঁচ সদস্যের একটি সাংবিধানিক বেঞ্চ গঠন করা হয়। বেঞ্চের নেতৃত্বে প্রধান বিচারপতি উমেশ ললিত। ওই সাংবিধানিক বেঞ্চে আর বাকি চারজন বিচারপতি ছিলেন বেলা এম ত্রিবেদী, বিচারপতি এস রবীন্দ্র ভাট, বিচারপতি জেবি পার্দিওয়ালা এবং বিচারপতি দীনেশ মহেশ্বরী।
সূত্রের খবর, এই মামলার রায়ে বিরুদ্ধমত পোষণ করেন প্রধান বিচারপতি ললিত এবং বিচারপতি ভাট। যদিও এ নিয়ে বিচারপতি মহেশ্বরীরের পর্যবেক্ষণ, ইডব্লিউএস সংরক্ষণ আইন আর্থিক মানদণ্ডের দিক দিয়ে সংবিধানের মূল কাঠামো বা সাম্যের নীতিকে একেবারেই লঙ্ঘন করে না। অন্যদিকে প্রধান বিচারপতি ললিত এবং বিচারপতি ভাটের মত ছিল, এই ব্যবস্থা থেকে তফসিলি জাতি, তফসিলি উপজাতি এবং অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির দরিদ্রদের বাদ দেওয়া অসাংবিধানিক।
আরও পড়ুন:

২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণরা সাত বছর পর জানবেন পরীক্ষার নম্বর, ২০১৭-র ফলও সোমবার

রণবীর-আলিয়ার একরত্তি কন্যাসন্তানের নাম প্রকাশ্যে! জানিয়েছিলেন খোদ ‘গঙ্গুবাঈ’ই

শাশ্বতী রামায়ণী, পর্ব ২০: আকস্মিক অভিঘাত-আনন্দের পাত্রে বিষাদবিষ

মোদী সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতে একাধিক আবেদন জমা পড়ে। গত সেপ্টেম্বরে মামলার শুনানির পর রায়দান স্থগিত রাখা হয়েছিল। সোমবার মামলার রায় ঘোষণা করা হয়। রায়দানের সময় বিচারপতি রবীন্দ্র ভট্ট ছাড়া অন্য বিচারপতিরা সংরক্ষণ ব্যবস্থার পক্ষেই রায় দিন। উল্লেখ্য, কংগ্রেস-সহ বেশির ভাগ রাজনৈতিক দলই কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেনি।

Skip to content