ছবি: নাসা
চাঁদের মাটিতে মানুষ পা দিলেও এখনও আশ্চর্য এই উপগ্রহটি নিয়ে মানুষের কৌতূহলের শেষ নেই। তাকে কেন্দ্র করে বাস্তবেই রয়েছে হাজারও রহস্য। তেমনই এক রহস্য আছে চাঁদের জন্ম বৃত্তান্ত নিয়েও। এবার চাঁদের সৃষ্টিতত্ত্ব নিয়ে গবেষণায় দাবি করা হল, পৃথিবীর এই উপগ্রহটি তৈরি হতে শতাব্দীর পর শতাব্দী সময় লাগেনি। বরং কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সৃষ্টি হয়েছিল চাঁদের। তখন থেকেই পৃথিবীকে কেন্দ্র করে ঘুরতে শুরু করে।
চাঁদ নিয়ে সাধারণ ধারণা হল, চাঁদের সৃষ্টি হয়েছিল প্রায় সাড়ে চারশো কোটি বছর আগে। পৃথিবীতে বড়সড় কোনও আলোড়নের ফলে পৃথিবীরই উপাদান ছিটকে বেরিয়ে চাঁদের সৃষ্টি হয়ে বলে গবেষকদের একাংশ মনে করেন। তবে পৃথিবীর সঙ্গে চাঁদের গঠনের আশ্চর্য মিল নিয়ে ধন্দ রয়েছে বিজ্ঞানীদের মধ্যে। এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেননি গবেষকরা। এর মধ্যেই ব্রিটেনের ডারহ্যাম ইউনিভার্সিটির অধীন ইনস্টিটিউট ফর কম্পিউটেশনাল কসমোলজির এক দল গবেষক জানিয়েছেন, চাঁদ সৃষ্টি হতে সময় লেগেছিল মাত্র কয়েকটি ঘণ্টা মাত্র। মঙ্গল গ্রহের আকারের থিয়া নামের এক মহাজাগতিক বস্তুর আঘাতে চাঁদের সৃষ্ট হয়।
আরও পড়ুন:
আসছে নতুন ধারাবাহিক ‘নাগপঞ্চমী’! দেখা যাবে রাজদীপ ও সুস্মিতাকে? গুঞ্জন টলিপাড়ায়
আবিষ্কার যখন আবিষ্কারকহন্তা, পর্ব-৪: ‘উড়ন্ত মানুষ’ কার্ল উইলহেম অটো লিলিয়েনথাল
ডারহ্যাম ইউনিভার্সিটির গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে ‘দ্য অ্যাস্ট্রোফিজিক্যাল জার্নাল লেটার্স’-এ। বিজ্ঞানীরা কৃত্রিম ভাবে মডেলের সাহায্যে থিয়া ও পৃথিবীর সংঘর্ষের পুনর্নিমাণ করেও দেখিয়েছেন। গবেষকদের দাবি, তীব্র সংঘর্ষে থিয়া ও পৃথিবী থেকে কিছুটা করে অংশ ছিটকে বেরিয়ে প্রায় সঙ্গে সঙ্গে পৃথিবীর চারদিকে ঘুরতে শুরু করে।
গবেষণার নেতৃত্বে থাকা জ্যাকব কেগেরেস নাসাকে এই বিষয়ে বলেছেন, “এটি চাঁদের সৃষ্টতত্ত্ব নিয়ে গবেষণায় একটি সম্পূর্ণ নতুন অধ্যায় খুলে দিয়েছে।” ডারহ্যাম ইউনিভার্সিটির গবেষণা চাঁদ ও পৃথিবীর সৃষ্টি ও মানুষের পৃথিবীতে আবির্ভাব সংক্রান্ত রহস্যে অন্য কোনও দিশা আনতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
গবেষণার নেতৃত্বে থাকা জ্যাকব কেগেরেস নাসাকে এই বিষয়ে বলেছেন, “এটি চাঁদের সৃষ্টতত্ত্ব নিয়ে গবেষণায় একটি সম্পূর্ণ নতুন অধ্যায় খুলে দিয়েছে।” ডারহ্যাম ইউনিভার্সিটির গবেষণা চাঁদ ও পৃথিবীর সৃষ্টি ও মানুষের পৃথিবীতে আবির্ভাব সংক্রান্ত রহস্যে অন্য কোনও দিশা আনতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।