ছবি প্রতীকী
এখন বাতাসে সকাল বেলাতে একটু যেন শিরেশিরে ভাব মনে হচ্ছে। সারাদিনই কমবেশি টান ধরছে হাত-পায়ের চামড়ায়। মধ্যরাতে ঘুমের মাঝেই বন্ধ করতে হচ্ছে এসি। অনেক মহিলাই এখন সুতির বদলে আলমারি থেকে সাধের সিল্কের শাড়ি নামিয়ে ফেলছেন। কলকাতায় শীত পড়া নিয়ে আপামর জনসাধারণের আহ্লাদের শেষ থাকে না। কারণ এ শহরে তো সে ভাবে শীতকাল পড়েও না। সেই শহরে কি না পুজো যেতে না যেতেই শীতের আগমন! এ তো মেঘ না চাইতেই জল!
কিন্তু সত্যিই কি শীত আসছে? লেপ-কম্বল নামিয়ে রোদে দেওয়ার সময় এসেছে তবে? এবার সে উৎসাহে জল ঢালল হাওয়া দফতর। আবহাওয়া দফতরের বক্তব্য, সবে তো ৩০-এর কোঠায় নেমেছে তাপমাত্রা। এখনও শীত আসতে অনেক দেরি। পশ্চিমবঙ্গ আবহাওয়া দফতরের পূর্বাঞ্চলের প্রধান সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, ”সবে তো বর্ষা বিদায় নিচ্ছে। এখনই শীতের দেখা পাওয়া যাবে নেই। এ হল বর্ষা বিদায় নেওয়ার সময়। শীতের শুরু নয়। প্রতি বছর বর্ষা বিদায় নেওয়ার সময়ে তাপমাত্রা খানিকটা পড়ে। এখনও সেটাই হচ্ছে।” তিনি এও বলেন, ”তাপমাত্রার সঙ্গে পুজোর কোনও সম্পর্ক নেই। পুজো এক-এক বছর এক-একটা সময়ে আসে। তবে অক্টোবর মাসের মাঝের সময়টা এমনই হয়।”
আরও পড়ুন:
ঠিক কী কী কারণে আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছে কিশোর-কিশোরীরা?
পুলিশে ছয়লাপ করুণাময়ী, টানটান উত্তেজনা, আন্দোলনকারীদের অনশন তোলার অনুরোধ পুলিশের
সরিয়ে দেওয়া হল সোনালিকে, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী উপাচার্য হচ্ছেন সহ-উপাচার্য আশিস চট্টোপাধ্যায়
বর্ষা বিদায় নিচ্ছে। এখন ধীরে ধীরে উত্তুরে হাওয়ার তেজ বাড়তে পারে। প্রতিবছর গরমে রেকর্ড তৈরি করে কলকাতা। এ বছরও বাদ পড়েনি। ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পেরিয়েছে পারদ। তার পরেই টানা বৃষ্টি হওয়ায় চলাফেরায় সমস্যা হয়েছে অনেক দিন। পুজোর ক’দিনও ভ্যাপসা গরম আর ঘামে বিরক্ত হয়েছেন শহরবাসী। তাই এ সময়টা খানিক স্বস্তিদায়ক।
ছবি: সংশ্লিষ্ট সংস্থার সৌজন্যে
ছবি: সংশ্লিষ্ট সংস্থার সৌজন্যে