রবিবার ২৪ নভেম্বর, ২০২৪


‘কার্গো ফ্লাইট’ বি-৭৪৭ জাম্বো জেটে নামিবিয়া থেকে ভারতে উড়ে এল আটটি চিতা এল। মধ্যপ্রদেশের গ্বালিয়রের বায়ুসেনা ঘাঁটিতে জাম্বো জেট নামার পরে চিনুক কপ্টারে করে কুনো পালপুর জাতীয় উদ্যোনে তাদের নিয়ে যাওয়া হয়। শনিবার চিতাগুলিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁর ৭২তম জন্মদিনে খাঁচামুক্ত করে ছেড়ে দিলেন অরণ্যে। আগামী এক মাস ৫০ মিটার দীর্ঘ এবং ৩০ মিটার প্রশস্ত জালের মধ্যে আলাদা আলাদা ভাবে রাখা হবে। তাদের দু’দিন অন্তর তিন কিলোগ্রাম মাংস খেতে দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন:

ছোট্ট সোনামণি সাজতে খুব ভালবাসে? কেমন হবে এ বারের পুজোর বিশেষ রূপটান? রইল টিপস

ছোটদের যত্নে: সন্তান জ্বরে ভুগছে? কী ভাবে সামলাবেন? রইল ঘরোয়া চিকিৎসার খুঁটিনাটি

পরবর্তী পর্যায়ে চিতাগুলিকে পালপুর জাতীয় উদ্যোনের একাংশ তারের জাল দিয়ে ঘেরা ১,৩৬০ একর এলাকায় ছেড়ে দেওয়া হবে। তারা যাতে শিকার ধরতে পারে সেই সুযোগও থাকবে। মুক্ত পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার একাধিক সুযোগও থাকছে। চিতাগুলির বয়স চার থেকে ছ’বছরের মধ্যে। এরা সাধারণত ৮-১২ বছর বাঁচে। আটটি চিতার মধ্যে তিনটি পুরুষ। চলতি বছরের প্রথম দিকে ভারতের কেন্দ্রীয় বন ও পরিবেশ মন্ত্রক বন্যপ্রাণ বিশেষজ্ঞদের একটি দল নামিবিয়ায় বিভিন্ন জঙ্গলে ঘুরে চিতা বাছাই করেন। সেই দলে ছিলেন ওয়াইল্ডলাইফ ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া (ডব্লিুডব্লিউএফ)-র বিজ্ঞানী ওয়াইভিও।

কেন্দ্রীয় বন ও পরিবেশ মন্ত্রক সূত্রের খবর, আগামী পাঁচ বছর ধরে ধাপে ধাপে আরও ৫০টি চিতা ভারতে আনা হবে। এ বছরই দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আরও ১২টি চিতা আসবে দেশে। এর আগে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের সরকারের আমলে ২০০৯ সালে ইরান থেকে এশীয় চিতা আনার চেষ্টা হয়েছিল। সেই সময় তেহরানের সম্মতিও মিলেছিল। যদিও তারা এশীয় চিতার বদলে ভারত থেকে এশীয় সিংহ চেয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়নি।

মধ্যপ্রদেশ ও রাজস্থানের ওই এলাকায় চোরাশিকারিদের উপদ্রব থাকায় সুরক্ষায় ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। অতিরিক্ত বনরক্ষী নিয়োগ করা হয়েছে। তৈরি হয়েছে পাঁচটি নজরমিনারও। থাকছে সিসিটিভি এবং ড্রোনের মাধ্যমে নজরদারির ব্যবস্থাও। আফ্রিকা থেকে চিতা নিয়ে আসার সরকারি উদ্যোগের বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণপ্রেমীদের একাংশ সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেন। কিন্তু শীর্ষ আদালত সেই আর্জি খারিজ করে ‘পরীক্ষামূলক ভাবে’ চিতা ছাড়ার অনুমতি দেয় মোদী সরকারকে।

Skip to content