শুক্রবার ৩১ জানুয়ারি, ২০২৫


ছবি প্রতীকী

প্রশিক্ষিত না হয়েও প্রশিক্ষিত শিক্ষকের শংসাপত্র দেখিয়ে ২০ বছর ধরে চাকরির অভিযোগ। ধরা পড়তেই ২০ বছরের বেতন ফেরানোর নির্দেশ দিল আদালত। অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি ওড়িশার জাজপুরের এক প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক। নাম প্রশান্তকুমার সর। জানা গিয়েছে, ১৯৯২ সালে বাবার মৃত্যুর পর পুনর্বাসন প্রকল্পের অধীনে চাকরি পান প্রশান্ত। তিনি প্রশিক্ষিত শিক্ষক নন, তবুও প্রশিক্ষিত শিক্ষকের বেতন পাচ্ছিলেন। যখন শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে তোলপাড় চলছে, এমন এক আবহেই ওড়িশার জাজপুর থেকে এই ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে।
সূত্রের খবর, ইলাহাবাদের হিন্দি সাহিত্য সম্মেলন থেকে প্রশান্ত শিক্ষা বিশারদ শংসাপত্র (এসবিসি) পান। সেই শংসাপত্র দেখানোর পর ২০০০ সাল থেকে প্রশান্তকে প্রশিক্ষিত শিক্ষকের স্কেল অনুযায়ী বেতনের বিষয়টিতে অনুমোদন দেন স্কুলের জেলা পরিদর্শক। সেই সময় প্রশান্ত বলেছিলেন, শিক্ষা বিশারদ শংসাপত্রটি প্রশিক্ষিত শিক্ষকের শংসাপত্রের সমান। কিন্তু ন্যাশনাল ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো, জাজপুরের সোশ্যাল ক্রাইম ডিভিশন দাবি, যে শংসাপত্র তিনি দেখিয়েছেন তা প্রশিক্ষিত শিক্ষকের সমতুল্য নয়। এর পরই বিষয়টি প্রাথমিক শিক্ষা অধিকর্তার নজরে আনা হয়। শিক্ষা অধিকর্তা বিষয়টি তদন্ত করার জন্য জাজপুর জেলা শিক্ষা আধিকারিক রঞ্জনকুমার গিরিকে নির্দেশ দেন।
তদন্তের পর শিক্ষা আধিকারিক জানিয়েছেন, প্রশান্তের শিক্ষা বিশারদ শংসাপত্রটি প্রশিক্ষিত শিক্ষকের শংসাপত্রের সমতুল নয়। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর অপ্রশিক্ষিত শিক্ষক হিসাবে প্রশান্তের পদাবনতি হয়। এই বিষয়ে রঞ্জনকুমার গিরি জানান, প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে আমরা প্রশান্তকে প্রশিক্ষিত থেকে অপ্রশিক্ষিতে স্কেলে ফিরিয়ে নিয়েছি। পাশাপাশি গত ২০ বছরে ওই শিক্ষক যে টাকা বেতন পেয়েছেন তা ফিরিয়ে দিতে হবে।

Skip to content