বিলকিস বানোর ধর্ষকদের মুক্তির সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন। সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, মঙ্গলবার শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি এনভি রমনার কাছে এই মামলাটি তোলেন আইনজীবী অপর্ণা ভট্ট। জরুরি ভিত্তিতে বুধবার এই মামলাটি তালিকাভুক্তের আবেদন জানানো হয়েছে। প্রধান বিচারপতি জানিয়েছেন, মামলাটি তালিকাভুক্ত করার বিষয়টি বিবেচনা করে দেখা হবে।
বিলকিস বানো-কাণ্ডে সাজাপ্রাপ্ত ১১ জনকে স্বাধীনতা দিবসের দিন মুক্তির সিদ্ধান্ত নেয় গুজরাত সরকার। সিদ্ধান্ত মতো ১১ জনকে গোধরা জেল থেকে মুক্তির সিদ্ধান্ত হয়। এই নিয়ে বিভিন্ন মহলে চর্চা শুরু হয়। এ প্রসঙ্গে বিলকিস জানান, ‘গত ২০ বছরের আতঙ্ক ১৫ অগস্ট আমাকে আবার গ্রাস করল, আমি যখন শুনলাম আমার জীবন ও পরিবারকে ধ্বংস করে দেওয়া সেই ১১ জনকে মুক্তি দিয়ে দেওয়া হল। ভাষা হারিয়ে ফেলেছিলাম আমি। বোবা হয়ে আছি এখনও।’
বিলকিস বানো-কাণ্ডে সাজাপ্রাপ্ত ১১ জনকে স্বাধীনতা দিবসের দিন মুক্তির সিদ্ধান্ত নেয় গুজরাত সরকার। সিদ্ধান্ত মতো ১১ জনকে গোধরা জেল থেকে মুক্তির সিদ্ধান্ত হয়। এই নিয়ে বিভিন্ন মহলে চর্চা শুরু হয়। এ প্রসঙ্গে বিলকিস জানান, ‘গত ২০ বছরের আতঙ্ক ১৫ অগস্ট আমাকে আবার গ্রাস করল, আমি যখন শুনলাম আমার জীবন ও পরিবারকে ধ্বংস করে দেওয়া সেই ১১ জনকে মুক্তি দিয়ে দেওয়া হল। ভাষা হারিয়ে ফেলেছিলাম আমি। বোবা হয়ে আছি এখনও।’
উল্লেখ্য, ২০০২ সালে গোধরা-কাণ্ডের পর গুজরাতে সাম্প্রদায়িক হিংসা শুরু হলে দাহোড় জেলার দেবগড় বারিয়া গ্রামে ভয়াবহ হামলা চালানো হয়। ৩ মে ওই গ্রামের বাসিন্দা বিলকিস বানো-সহ তাঁর মা-বোনকে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। সে সময় বিলকিস পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। বিলকিসের সামনেই হামলাকারীরা তাঁর তিন বছরের মেয়েকে পাথরে আছড়ে মারে বলে জানা যায়। এই ঘটনায় ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এমনকি, পরিবারের আরও কয়েক জনকেও হত্যা করা হয়।
সে সময় এই ঘটনাকে ‘বিরল থেকে বিরলতম’ বলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা মুম্বইয়ের সিবিআই আদালতে কড়া সাজার পক্ষে সওয়াল করে। বিশেষ আদালত অভিযুক্ত ১২ জনের বিরুদ্ধে যাবজ্জীবনের রায় ২০০৮ সালের ২১ জানুয়ারি। এর মধ্যে সেই মামলা চলাকালীন এক অভিযুক্তের মৃত্যু হয়েছিল।
সে সময় এই ঘটনাকে ‘বিরল থেকে বিরলতম’ বলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা মুম্বইয়ের সিবিআই আদালতে কড়া সাজার পক্ষে সওয়াল করে। বিশেষ আদালত অভিযুক্ত ১২ জনের বিরুদ্ধে যাবজ্জীবনের রায় ২০০৮ সালের ২১ জানুয়ারি। এর মধ্যে সেই মামলা চলাকালীন এক অভিযুক্তের মৃত্যু হয়েছিল।