বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর, ২০২৪


ছবি প্রতীকী

আজ আমি মেয়েদের অবাঞ্ছিত চুল নিয়ে কিছু কথা বলব। তবে আজকে চুল পড়ে যাওয়ার সমস্যা নয়, কম চুলও নয়, বরং একটু বেশি চুল নিয়েই আলোচনা করব। বেশি চুলের অর্থ, অনেক মেয়েদের গালে বা শরীরের বিভিন্ন জায়গায় অবাঞ্ছিত চুল গজায়। চুল কমে গেলেও যেমন সমস্যা, চুল বেড়ে গেলেও তেমনই সমস্যা। ফলে মেয়েদের মুখে বা গায়ে যদি অবাঞ্ছিত চুল হয় সেটা কিন্তু সত্যই খুব সমস্যার বিষয়।
 

সাধারণত কী কী কারণে এমন হয়?

সাধারণত মেয়েদের মুখে অবাঞ্ছিত চুল হয় না। কিন্তু কারও যদি হয় সেক্ষেত্রে প্রথমে পরীক্ষা করে দেখতে হবে তাঁর কিছু শারীরিক সমস্যা আছে কি না। আজকাল পিসিওডি-র সমস্যায় বহু মহিলা ভোগেন। পিসিওডি অর্থাৎ যেকে সিস্ট বলা হয়। এই পিসিওডি-র সমস্যা থাকেও অবাঞ্ছিত চুল হতে পারে। তবে পিসিওডি না থাকলেও কারও কারও এই সমস্যা হয়। এছাড়াও ওভারিতে বা অ্যাড্রিনাল গ্রন্থিতে কোনও সমস্যা দেখা দিলে বা টিউমার থাকলে এই সংক্রান্ত সমস্যা বেশি দেখা দেয়। এছাড়াও আরও অনেক কারণে এমনটা হতে পারে। অনেক সময় অবাঞ্ছিত চুল কেন হয় তার সঠিক কারণ খুঁজে পাওয়া যায় না।
তাই কারও অবাঞ্ছিত চুলের সমস্যা থাকলে প্রথমেই পরীক্ষা করে দেখা হয় তাঁর কোনও শারীরিক সমস্যা আছে কি না। এক্ষেত্রে কোনও রোগ ধরা পড়লে তার চিকিৎসা করতে হবে। আবার যদি দেখা যায় পরীক্ষায় কোনও রোগই ধরা পড়ছে না, তাহলে আমরা কিছু ক্রিমের সাহায্যে বাড়তি চুলের বৃদ্ধি কমাতে চেষ্টা করি। এছাড়াও লেজার ট্রিটমেন্ট করা যায়। লেজার ট্রিটমেন্ট করলে চুলের রুটকে ধীরে ধীরে নষ্ট হয়ে যায়। কিন্তু এক বার করলে হবে না, বেশ কয়েক বার লেজার করতে হয়। অবাঞ্ছিত চুলের সমস্যায় এখনও পর্যন্ত সারা বিশ্বে লেজার ট্রিটমেন্টই বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতি।

আমরা পরামর্শ, অবাঞ্ছিত চুলের সমস্যার সমাধানে চিকিৎসক ছাড়া অন্য কোথায় হাওয়া উচিত নয়। এখন কিছু কিছু জায়গায় নানান পদ্ধতিতে চুল তোলা হয়। এতে অনেক সময় চুলের রুট নষ্ট হয়ে যায়। এর ফলে চুলের গ্রোথ আরও বৃদ্ধি পায়। অনেক সময় চুল আরও মোটা হয়ে যায়। এক্ষেত্রে একটা কথা বলি, ছেলেরা যে ভাবে সেভিং করে তাতে কিন্তু চুলের রুট নষ্ট হয় না। তাই অবাঞ্ছিত চুলের সমস্যায় সেভিং করাই যেতে পারে। কিন্তু মেয়েরা এতে খুব একটা অভ্যস্ত নন। তাছাড়া তাঁরা এটাকে মন থেকেও মেনে নিয়ে পারেন না।
 

তাহলে সমাধান?

মেয়েদের মুখে বা শরীরের অন্য জায়গায় যদি অবাঞ্ছিত চুল গজায় তাহলে সেটাকে লুকিয়ে রাখার জন্য অন্য কোথাও না গিয়ে চিকিৎসা শুরু করা দরকার। এক্ষেত্রে একজন ত্বক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে। তিনিই আপনাকে এ বিষয়ে সঠিক পরামর্শ দেবেন। চিকিৎসক পরীক্ষা করে দেখবেন, কেন এমন হচ্ছে এবং সেই মতো প্রয়োজনীয় চিকিৎসা করবেন। দরকার হলে অন্য চিকিৎসকের কাছে পাঠাবেন। আর চুল যদি তুলতেই হয়, তাহলে সেটা তাঁরাই লেজার দিয়ে করবেন। যদি তিনি না করেন, তাহলে যে চিকিৎসক এই কাজ করেন তাঁদের সন্ধানও তিনি দিয়ে দেবেন। কিন্তু খেয়াল রাখবেন, চিকিৎসক নন, এমন কোনও জায়গা থেকে লেজার মেশিনের সাহায্যে অবাঞ্ছিত চুল তুলবেন না। কারণ লেজার মেশিনের সঠিক ব্যবহার না জানলে নানারকম সমস্যা দেখা দিতে পারে।

যোগাযোগ: ৯৮৩১৫৮৫০৮০, ৯৮৩০৩৮২৪৯৮


Skip to content