বুধবার ২৭ নভেম্বর, ২০২৪


অচিন্ত্য শিউলি

চরম দারিদ্রতার মধ্যেও স্বপ্নের উড়ান নিয়ে অবিচল ছিলেন বাংলার সোনার ছেলে অচিন্ত্য শিউলি। রবিবার মধ্যরাতে সবাই গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন, তখন বার্মিংহ্যামে দেশের দ্বায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেন পাঁচলার বছর কুড়ির অচিন্ত্য। তাঁর চমকপ্রদ জয় দেখে মোহিত রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সচিন তেণ্ডুলকর প্রমুখ অচিন্ত্যকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
টুইটে শচীন লিখেছেন, ‘পরিবারের পাশে দাঁড়াতে অচিন্ত্য হাওড়ায় দরজির কাজ করতেন। আর সেখানে থেকে বার্মিংহ্যামে ভারতের তেরঙ্গা উড়িয়েছেন তিনি। অচিন্ত্য, ঈড়শোণীয় তোমার যাত্রাপথ। তোমার কাহিনী সবাইকে অনুপ্রেরণা জোগাবে। সোনার পদক জেতার জন্য তোমাকে অনেক অভিনন্দন।
অচিন্ত্য শিউলি ভারতীয় সেনার তত্ত্বাবধানে ট্রেনিং করতেন। এ প্রসঙ্গে শচীন বলেছেন, ‘এমন একজন অসাধারণ প্রতিভাকে সাহায্য করার জন্য ভারতীয় সেনাকে কুর্নিশ জানাই।’
অচিন্ত্য মাত্র ১১ বছর বয়সে বাবাকে হারিয়েছেন। এই বয়সেই সংসারের সব দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেন সোনার ছেলে অচিন্ত্য। মা এবং দাদার সঙ্গে হাওড়ার পাঁচলায় জরির কাজ করতে শুরু করে দেন। যদিও অভাব তাঁর স্বপ্নের উড়ানের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি। অচিন্ত্য ২০১৪ সালে তৃতীয় হন ন্যাশনাল গেমসে। পরের বছর ভারতে যুব কমনওয়েলথ গেমসে রুপোর পদক জেতেন তিনি। এর পর ২০১৭ সালে তাসখন্দে যুব বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে রুপো, ২০১৯ সালে জুনিয়র বিভাগে সোনা, ২০২১ সালে তাসখন্দে ওয়ার্ল্ড জুনিয়র প্রতিযোগিতায় রুপো এবং জুনিয়র ও সিনিয়র বিভাগে দুটি সোনার পদক ছিনিয়ে নেন অচিন্ত্য।


Skip to content