সোমবার ২৫ নভেম্বর, ২০২৪


আবার স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)-এর বিরুদ্ধে তথ্যবিকৃতিরও অভিযোগ উঠল কলকাতা হাই কোর্টে। এতদিন বেআইনি ভাবে শিক্ষক নিয়োগের অভিযোগ নিয়ে মামলা তো ছিলই। এবার নম্বর সংক্রান্ত তথ্যে বিকৃতির নালিশ শুনে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এই বিষয়ে ব্যাখ্যা তলবের সঙ্গেই হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, এই অভিযোগ যদি সত্য প্রমাণিত হলে পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়া পর্যন্ত বাতিল হয়ে যেতে পারে।
মাধ্যমিক স্তরের (নবম-দশম শ্রেণির) শিক্ষক নিয়োগ মামলার এক চাকরিপ্রার্থী শিউলি খাতুনের আইনজীবী ফিরদৌস শামিম শুক্রবার এসএসসি-র একটি নথি দেখিয়ে আদালতে জানান, কমিশন আগের একটি হলফনামায় বিশ্বজিৎ বিশ্বাস নামে এক প্রার্থীর ‘পার্সোনালিটি টেস্ট’-এ প্রাপ্ত নম্বর আট বলে জানিয়েছিল। সম্প্রতি নম্বর বিভাজন অনুযায়ী মেধা-তালিকা প্রকাশের পরে দেখা যাচ্ছে, ওই প্রার্থীর প্রাপ্ত নম্বর ৭.৫। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এই অভিযোগ অত্যন্ত গুরুতর বলে মন্তব্য করেছেন। এ ব্যাপারে কমিশনকে বিশদে জানাতে বলেছেন। তাঁর নির্দেশ অনুযায়ী, আগামী ১৮ অগস্টের মধ্যে কমিশনকে এই বিষয়ে তাদের ব্যাখ্যা কোর্টে জমা দিতে হবে।
এ দিনেই আবার মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষক নিয়োগে মেধা-তালিকার বাইরে থেকেও অনেক প্রার্থীর নিয়োগ হয়েছে বলে অভিযোগ করেন অনিন্দিতা বেরা নামে অন্য এক চাকরিপ্রার্থীর আইনজীবী সুদীপ্ত দাশগুপ্ত ও বিক্রম বন্দ্যোপাধ্যায়। আইনের সুবিধা পেতে আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। আন্দোলনকারীদের ব্যাপারেও খোঁজ নেন বিচারপতি। সেই প্রসঙ্গে তাঁর মন্তব্য, প্রতিবাদ করতে হলে পথেই নেমে তা করতে হবে। কেউ দুর্নীতির শিকার হলে বাড়িতে বসে নেট মাধ্যমে প্রতিবাদ করলে চলবে না। যদি কোনও প্রার্থীর মামলা করার মতো আর্থিক সঙ্গতি না-থাকে, সে-ক্ষেত্রে তিনি প্রয়োজনে কোর্ট ফি মকুব করে দেবেন।
একই সঙ্গে তিনি জানান, এ দিন সুদীপ্ত ও ফিরদৌসের দ্বারা আরও একটি বিষয় আদালত জানতে পেরেছে। সাধারণত নিয়োগে পদ-পিছু ক’জন প্রার্থীকে ইন্টারভিউয়ে ডাকা হবে, তার একটি নির্দিষ্ট অনুপাত থাকে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে তার চেয়ে অনেক বেশি প্রার্থীকে ইন্টারভিউয়ে ডাকা হয়েছিল। এ বিষয়ে কমিশন জানায়, অনেকেই একই নম্বর পেয়েছিলেন বলে তাঁরা অনুপাতের চেয়ে বেশি লোককে ডেকেছিলেন। অবশ্য বিচারপতি সেই তালিকাও দেখতে চেয়েছেন।

Skip to content