সোমবার ২৫ নভেম্বর, ২০২৪


ছবি প্রতীকী

ভারতে প্রতিবছর প্রায় ১২ হাজার থেকে ৫০ হাজার মানুষ সাপের কামড়ে আক্রান্ত হয়। সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, প্রতিদিন ৩ জন এবং মাসে প্রায় ৯০ থেকে ৯৫ জন মানুষের সাপের কামড়ে মৃত্যু হয়।
 

প্রাথমিক ভাবে করণীয়

* প্রথমেই সাবান ও গরম জল দিয়ে ক্ষতের জায়গাটা পরিষ্কার করে দিতে হবে।
* যেখানে সাপ কামড়েছে সেখানে সংক্রমণমুক্ত (Sterile) ভেজা ব্যান্ডেজ হালকা করে জড়িয়ে দিতে হবে।
* সাপে কামড়ালে তাঁর শরীর থেকে সব অলংকার যথা চুড়ি, আংটি বালা, ঘড়ি ইত্যাদি খুলে দিতে হবে। কারণ, জায়গাটা ফুলে গেলে এগুলোর জন্য নতুন করে ক্ষত তৈরি হতে পারে।
* পায়ে জুতো থাকলেও খুলে ফেলতে হবে।
* কামড়ানো জায়গাটা হৃদপিন্ডের লেভেলের থেকে নিচে রাখতে হবে। এতে বিষক্রিয়া সহজে হৃদপিন্ড এবং মস্তিষ্কে ছড়িয়ে পড়বে না।
* রোগীকে দ্রুত এমন জায়গায় রাখতে হবে, যাতে সাপ আবার না কামড়াতে পারে। কারণ বিষধর সাপের চরিত্রই হল— একবার কামড়ালে সুযোগ পেলে সে আবারও ছোবল মারার চেষ্টা করবে।
* রোগীকে শান্ত থাকতে হবে এবং মন শক্ত রাখার পরামর্শ দিতে হবে।

 

কখন যাবেন চিকিৎসকের কাছে

সাপ বিষধর না হলেও সাপে কামড়ানোর পরে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য রোগীকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব হাসপাতাল বা চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে হবে। একই সঙ্গে কোনও প্রত্যক্ষদর্শী যদি চিকিৎসকের কাছে সাপের বর্ণনা দিতে পারেন তাহলে সঠিক চিকিৎসা শুরু করতে সুবিধা হবে।

 

প্রতিরোধের উপায়

* সন্দেহজনক জায়গায় হাত ও পা সতর্ক ভাবে রাখতে হবে। যে সব জায়গায় পা ফেলছেন তার কাছাকাছি সাপ থাকতে পারে কি না সে সম্পর্কে সজাগ থাকতে হবে।
* কোনও ঝোপ-জঙ্গল ও গর্তের কাছে না যাওয়াই ভালো।
* কোন বস্তুর নীচে বা আড়ালে সাপ আছে কি না সে বিষয়ে নিশ্চিত না হয়ে তার সংস্পর্শে যাবেন না।
* এমন কোনও জায়গায় বসা বা শোয়া উচিত নয়, যার কাছাকাছি সাপ থাকতে পারে।
* বনে-জঙ্গলে হাঁটলে বিশেষ ধরনের উঁচু জুতো পরাই উচিত।
* যে কোনও প্রকার সাপ ধরার চেষ্টা থেকে বিরত থাকতে হবে।
*কোথাও সাপ দেখলে সেই দিকে এগিয়ে না যাওয়াই বুদ্ধিমানের পরিচয়।

ছবি: সংশ্লিষ্ট সংস্থার সৌজন্যে

যোগাযোগ: ৯৮৩০২৯৪৯৩২


Skip to content