সোমবার ২৫ নভেম্বর, ২০২৪


এমব্রয়ডারির কাজ শিখতে মুম্বই পাড়ি দিয়েছিলেন আব্বাস আলি খান। তিনি সেলাই যন্ত্রে সুচ পরাবেন বলে সেটি মুখে ধরে রেখেছিলেন। তখন এক পরিচিত মজা করে পিছন থেকে তাঁর মাথায় ধাক্কা মারেন। আব্বাস তখন সুচ মাটিতে পড়ে গিয়েছে ভেবে খুঁজতে শুরু করেন। কিন্তু কোথাও সেই সুচ পাওয়া যায়নি। তাঁর শরীরে কোনও সমস্যা না হওয়ায় কিছু মনেও হয়নি তাঁর। আব্বাসের কথায়—বছর দু’য়েক পর থেকে কাশির সঙ্গে রক্ত উঠতে থাকে, শুলে মুখেও রক্ত চলে আসত, বুকে ব্যথা হতে লাগলো। যক্ষ্মা পরীক্ষা করালেও তাতে কিছু ধরা পড়েনি। শেষে এক্স-রে করে দেখা গেল, ফুসফুসে সুচ গেঁথে রয়েছে।
মুম্বইয়ে ফিরে একটি হাসপাতালে এক মাস ভর্তি থাকলেও সুচ বার করা সম্ভব হয়নি বলে জানাচ্ছেন বাইশ বছরের আব্বাস। এর পর বেঙ্গালুরুর একটি বেসরকারি হাসপাতালে দু’ বছর আগে যান। আব্বাস বলেন— ওই হাসপাতালে প্রায় তিন লক্ষ টাকা খরচ হবে বলে জানায়। এত টাকা আমার ছিল না। তাই আবার মুম্বইয়ে কাজে ফিরে যাই।
পরে সমস্যা বাড়তে থাকায় মাস তিনেক আগে বাড়ি ফিরে পিজির বক্ষরোগ বিভাগে যান তিনি। হাস্পাতাল থেকে তাঁকে সিটিভিএস বিভাগে পাঠানো হয়। সেখানকার শিক্ষক চিকিৎসক শিল্পা বসু রায় জানান, সিটি স্ক্যানে দেখা গিয়েছে ডান দিকের ফুসফুসের নীচের অংশে গেঁথে রয়েছে সুচ। দীর্ঘ দিন সুচ এ ভাবে থাকায় সংক্রমণ ছড়িয়ে বড়সড় কোনও বিপদ হতে পারত।
সাত বছর পরে ফুসফুসে গেঁথে থাকা সেই সুচ বার করে এসএসকেএম হাসপাতাল আব্বাস আলি খানের প্রাণ বাঁচাল। আব্বাস জানান— আর রক্ত উঠছে না। আশা করছি কিছু দিনের মধ্যেই আবার কাজে ফিরতে পারবো।

Skip to content