রবিবার ২৪ নভেম্বর, ২০২৪


অমরনাথের মেঘভাঙা বৃষ্টির জেরে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে আটকে পড়েছিল হাওড়ার এক পরিবার। একই পরিবারের তিন জন নিখোঁজ ছিলেন। ছোট আর মেজো মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে অমরনাথ তীর্থে গিয়েছিলেন মা। বড় মেয়ে সোমা সিংহ বাড়িতেই ছিলেন। শুক্রবার বিপর্যয়ের পর ছোট বোন তাঁকে ফোন করে কাঁদতে কাঁদতে জানান মাকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তারপরই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। সোমা অনেক চেষ্টা করেও দুই বোনের সঙ্গে আর যোগাযোগ করতে পারেননি। শেষমেশ বাধ্য হয়েই তিনি প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২ জুলাই হাওড়া থেকে হিমগিরি এক্সপ্রেসে শ্রীনগরের উদ্দেশে রওনা দেন মধ্য হাওড়ার কালীবাবুর বাজার এলাকার একই পরিবারের তিন বাসিন্দা। গৃহকর্ত্রী সত্তর বছরের শিলা সিংহয়ের সঙ্গে ছিলেন মেজো মেয়ে ঝুমা আর ছোট মেয়ে প্রীতি। সোমার কথায় সব কিছু ঠিকই ছিল, ভারী বৃষ্টির জেরেই এই বিপত্তি। ঝেঁপে বৃষ্টি আর আকাশ ছিঁড়ে বিদ্যুৎ। হড়পা বানে তাবু ভেসে যাওয়ার পর থেকে নিখোঁজ তাঁদের মা। শুক্রবার বিকেলে ছোট বোনের সঙ্গে তাঁর শেষ বার কথা হয়েছিল। মাকে খোঁজার চেষ্টা করা হচ্ছে জানিয়েই ফোন কেটে গিয়েছিল। তার পর অনেক বার ফোন করেছি কিন্তু এক বারও ফোনে পায়নি।
ইতিমধ্যেই নবান্ন হেল্পলাইন চালু করা হয়েছে। ০৩৩-২২১৪৫২৬ এই ফোন নম্বর ২৪ ঘণ্টাই চালু থাকবে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টুইট করে জানিয়েছেন, কন্ট্রোল রুম খুলে জম্মু ও কাশ্মীর প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, শুক্রবার বিকেলে সাড়ে পাঁচটা নাগাদ মেঘ ভাঙা বৃষ্টির জেরে অমরনাথের গুহার উপর থেকে হঠাৎ করেই জল নামতে শুরু করে। তারপরই জল ও কাদামাটি হুড়মুড়িয়ে ঢুকে পড়ে অমরনাথ গুহার কাছের তাঁবুগুলিতে। ভেসে যায় প্রায় ২৫টি তাঁবু। এখন পাওয়া তথ্য অনুযায়ী অন্তত ১৬ জন অমরনাথ যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজের সংখ্যা ৪০ জন। তবে মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।


Skip to content