ছবি প্রতীকী
বাস্তুশাস্ত্রে ভবন নির্মাণ সংক্রান্ত সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া অত্যন্ত বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করা হয়েছে৷ জমির লক্ষণ, জমি (মাটি) পরীক্ষাবিধি, কম্পাস দিয়ে যথার্থভাবে দিক নিরূপণ, ভূমি শোধন, উত্তম ভূখণ্ডের চয়ন ইত্যাদি হল ভবন নির্মাণ প্রক্রিয়ার প্রাথমিক স্তর৷ বাড়ির জন্য যে জমি নির্দিষ্ট করা হবে তার আশপাশের পরিবেশ, প্রতিবেশীদের আকাশছোঁয়া বাড়িঘর, মন্দির, ঢিপি, পাহাড়, পুকুর, কুয়ো, নদী, গাছগাছালি সব কিছুই ওই জমিকে প্রভাবিত করে৷ সুতরাং কোনটা গ্রহণ করতে হবে আর কোনটা ত্যাগ করতে হবে, তা বাস্তুবিদ্যার অধ্যয়ন, মনন এবং ব্যবহারিক জ্ঞানের মাধ্যমেই জানা যেতে পারে৷ প্রথমে আমাদের দিক ও কোণগুলি সম্পর্কে জানতে হবে৷ নীচের ছবিতে সেটা বোঝানো হয়েছে৷
বাস্তুবিজ্ঞানে এই চার দিক ও তার সহায়ক কোণগুলির বিশেষ গুরুত্ব আছে৷ আমাদের মুনিঋষিরা আধুনিক বিজ্ঞান প্রসারের কয়েক হাজার বছর আগে সূর্যরশ্মির জীবনদায়ী তত্ত্বগুলির খোঁজ পেয়েছিলেন৷ এ জন্যই তাঁরা বাসস্থানকে পূর্বমুখী করার বিধান দিয়েছিলেন৷ সেই সঙ্গে অন্যান্য কোণের দেবতাদের অনুরূপ গৃহনির্মাণের পরিকল্পনা করেছিলেন৷ এর অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল মানুষের সুখ, সমৃদ্ধি ও আরোগ্য বৃদ্ধিতে সহায়তা পাওয়া৷
প্রতি দিকের পৃথক দেবতা
জমির দিক নির্ণয়
জমি যদি আয়তাকার অথবা বর্গাকার হয় তবে কেন্দ্র বের করে সেখানে কম্পাস রেখে উত্তরের দিকটি নির্ণয় করতে হবে৷ তারপর ওই রেখা ওই নকশায় এঁকে নিতে হবে৷ এরপর এই রেখা থেকে ২২.৫ অংশ (পূর্ব) এবং ২২.৫ অংশ (পশ্চিম) এর দুটি কোণ (কেন্দ্র থেকে) তৈরি করে রেখা টানুন৷
ভূখণ্ডের বিভাজন
উপরে ভূখণ্ডের দ্বি-বিভাজন ও চতুর্বিভাজন দেখানো হয়েছে৷ এ ছাড়াও জমিকে প্রয়োজনানুসারে বিভিন্ন আকারে বিভাজিত করা যায়৷ নীচে ৬, ৮, ও ১৬টি অংশে বিভাজিত ভূখণ্ডের চিত্র দেওয়া হল৷
* বাস্তুবিজ্ঞান (Vastu Shastra): সুরেন্দ্র কাপুর (Surendra Kapoor), বিশিষ্ট বাস্তুবিদ।