শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪


ফ্যাশন দুনিয়ায় তিনি ছিলেন দীর্ঘ চার বছর। জানা গিয়েছে, আয় ভালোই করতেন। ফ্যাশন শ্যুট ছাড়াও নানা অনুষ্ঠানে অংশ নিতেন তিনি। ফলে, অর্থাভাবও তাঁর ছিল না। সদ্য মৃত মডেলের ঘনিষ্ঠরা জানিয়েছেন, শেষের দিকে কাজের চাপে পড়াশোনাতেও ততটা মন দিতে পারতেন না৷ তবে পল্লবী দে-র মতো তাঁরও নাকি সম্পর্কের টানাপোড়েন চলছিল বলে খবর। বিদিশার ঘনিষ্ঠ মহলের দাবি, বেশ কিছু দিন ধরে কেমন যেন ঝিমিয়ে পড়ছিলেন তিনি। কাজেও তেমন মন ছিল না। তাঁর পোস্ট করা ইনস্টাগ্রামের রিল ভিডিয়োর নেপথ্য-গান থেকেই একাথা ভালোভাবেই বোঝা যায়। সেখানে শুধুই বিরহ। ঘনিষ্ঠ মহল থেকে এও জানা গিয়েছে একাধিক সম্পর্ক ছিল বিদিশার। বিদিশা প্রথমে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন রাজারহাটের এক যুবকের সঙ্গে। তাঁর সঙ্গে দীর্ঘ সম্পর্ক ছিল তাঁর। কিন্তু পরে অজানা কারণে তিনি ‘অতীত’ হয়ে যান।এর পর বিদিশা সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন পেশায় শরীরচর্চার এক প্রশিক্ষকের সঙ্গে। তাঁকে চোখে হারাতেন বিদিশা। সুযোগ পেলেই ফোন। দেখা করতে যেতেন। কাজের চাপে বিদিশা ঠিকমতো খাওয়াদাওয়া করতেন না। এতে তাঁর রক্তচাপ কমে যায়। প্রায়ই মাথা ঘুরত। তবে ওই প্রশিক্ষকের ‘চাপে’ তিনি আবার খাওয়াদাওয়া নিয়মিত করা শুরু করেন। এর মধ্যেই সম্পর্কে বিচ্ছেদ। বিদিশা বিষণ্ণতায় ডুবেছেন। ঘনিষ্ঠদের একাংশের মতে, তিনি নিয়মিত নেশা করতেন। সম্প্রতি কাছের একজনকে বলেছিলেন, ‘পল্লবীর মতো ফুরিয়ে যেতে ইদানীং আমারও খুব ইচ্ছে করে!’
উত্তর খুঁজছেন বিদিশা দে মজুদারের নিকটজন। তাঁর বক্তব্য, ‘বিকেলে ফোন পেয়েই ছুটতে ছুটতে নাগেরবাজার রামগড় কলোনিতে। ঈশ্বরকে বলছি খবরটা যেন মিথ্যে হয়।
বাড়ির কাছে পৌঁছেই বুকটা ছ্যাঁৎ করে ওঠে তাঁর। ফ্ল্যাটের ভিতরে বাইরে পুলিশ দাঁড়িয়ে। প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে ফ্ল্যাটের দরজায় পৌঁছন নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক বিদিশার আত্মীয়। ভেজানো দরজা খুলতেই দেখেন, ওড়নায় ফাঁস লাগিয়ে বিদিশা ঝুলছেন। শরীরে বিকৃতি দেখা দিয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীর কথায়, ঘরে বাতানুকূল যন্ত্র নেই। অথচ তরল জমাট বেঁধে গিয়েছে। সেটা দেখেই তাঁর অনুমান, মডেলের মৃত্যু হয়েছে সম্ভবত বুধবার ভোরেই।

ছবি: ফেসবুক

Skip to content