ছবি প্রতীকী, সংশ্লিষ্ট সংস্থার সৌজন্যে।
আগামী ৭ মার্চ থেকে ১৬ মার্চ ২০২২ মাধ্যমিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার জন্য নির্ধারিত। করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকবে ধরে নিয়ে আমাদের পরীক্ষা কেন্দ্রে গিয়ে পরীক্ষা দিতে হবে, আপাতত সেটাই পরিকল্পনা। এক্ষেত্রে কিছু প্রাসঙ্গিক কথা এসে পড়ে। প্রথমত এতদিন কি পড়েছি, কিভাবে প্রস্তুতি নিয়েছি এবং পরীক্ষা কেন্দ্রের জন্য কি কি ভাবনা মাথায় রাখতে হবে সেই নিয়ে এই আলোচনা।
তোমরা জানো এবারও মাধ্যমিকের জীবনবিজ্ঞান সিলেবাস কিছুটা সংক্ষিপ্ত। মোট পাঁচটি ইউনিট থেকে প্রথম তিনটি ইউনিট থাকছে, শেষ দুটি থাকছে না। জীবজগতে নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয়, জীবনের প্রবহমানতা, বংশগতি এবং কয়েকটি সাধারণ জিনগত রোগ, এই তিনটি মূল বিষয় নিয়েই এই সিলেবাস। স্বাভাবিকভাবেই প্রতিটি অধ্যায়ের পাঠ্যবিষয় ভালোভাবে পড়তে হবে। মুল বইটি প্রথমে ভালো করে পরে তারপর প্রশ্ন ও তার উত্তর অংশ অনুশীলন করতে হবে। আমি জানি, তোমরা সেভাবেই করেছ।
● প্রথম ভাবমূলে মোট পাঁচটি উপাংশ। গাছেদের চলন ও গমন, গাছের হরমোন, প্রাণির হরমোন, প্রাণির স্নায়ুতন্ত্র এবং প্রাণির গমন।
● দ্বিতীয় ভাবমূলে আছে কোষ ও তার বিভাজন, জনন, ফুল গাছের জনন, বৃদ্ধি ও বিকাশ।
● তৃতীয় বিভাগটি বংশগতি ও জিনগত রোগ দুটি অধ্যায় নিয়ে তৈরি হয়েছে।
পরীক্ষার আগে সিলেবাসের প্রতিটি অংশকে সাজিয়ে মনে রাখা খুব দরকার। যেমন ধরো, গাছেদের হরমোন ও প্রাণিদের হরমোন অধ্যায় দুটি পাশাপাশি রেখে আমাদের ভাবতে হবে। গাছ কী কী হরমোন বের করে বলে আমরা জানতে পেরেছি, তাদের উৎস কোথায়, কী কী কাজ তারা করে, সেখান থেকেই বের করে নিতে হবে। ঠিক সেভাবেই প্রাণিদের হরমোন গ্রন্থি, হরমোনের নাম, কাজও সেভাবেই জানতে হবে। এইভাবে পড়লে লাভ হবে, কারণ তুলনামূলক প্রশ্ন, যেমন উদ্ভিদ ও প্রাণি হরমোনের পার্থক্য, ভৌত ও রাসায়নিক সমন্বয়ের তফাৎ, সহজেই বুঝতে পারা যাবে। গাছ ও প্রাণির জনন অধ্যায়টি উদাহরণসহ ছকের মত করে সাজিয়ে তৈরি করতে পারলে উপকার হবে। অবজেকটিভ প্রশ্নের উত্তর দিতে সুবিধা হবে। কোষ ও কোষ বিভাজন অধ্যায়টি থেকে কোষ অঙ্গাণু, তাদের কাজ জেনে রাখতে হবে। কোষচক্র, মাইটোসিস ও মিয়োসিস কোষ বিভাজনের দশা, উপদশা বৈশিষ্ট্য জেনে রাখো। এখানে ছবিও তৈরি করতে হবে। ক্রোমোজমের ছবি আঁকতে হবে। বৃদ্ধি ও বিকাশ অধ্যায়টি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। এখান থেকেও নানারকম প্রশ্ন আসতে পারে। বংশগতি থেকে মেন্ডেলিজম, একসংকর ও দ্বিসংকর ক্রস, সুত্র, ব্যাতিক্রম, টেস্ট ও ব্যাকক্রস জেনে রাখো। মনে রেখো এখান থেকে অনেক পার্থক্য, ডেফিনিশন ও অবজেকটিভ প্রশ্ন আসে।
প্রশ্নোত্তর অনুশীলনের জন্য যত পারবে প্রশ্ন দেখবে। সময় ধরে লেখার অভ্যাস করে যাও। লেখা পরিচ্ছন্ন ও খাতা পরিপাটি হতে হবে। এই সময়ের মধ্যে অনলাইন ক্লাস করে আমরা হয়তো টাইপিং বেশি করেছি। লেখার অভ্যাস কমেছে। লেখার অভ্যাস ফিরিয়ে আনতে হবে।
তোমাদের প্রশ্নপত্রে এমসিকিউ থাকবে ১৫টি। আর ২১টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে ১ নম্বরের জন্য। ২ নম্বরের ১২টি ও ৫ নম্বরের ৬টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়। এসব তোমরা জানো। কোন প্রশ্নের উত্তর কতটা লিখতে হব এসেটা এই সময়ে তোমরা একবার দেখে নিও। প্রশ্নের নির্দেশ মেনে উত্তর করবে। প্রশ্নের নম্বর অনুসারে ধারবাহিকতা বজায় রেখে, পরপর উত্তর লেখার চেষ্টা করবে। আগে পরে করে না লেখাই ভালো।
এবার ৫ নম্বরের জন্য সম্ভাব্য কিছু নমুনা প্রশ্ন উল্লেখ করছি, সেগুলি তৈরি করে রাখতে পারো।
● উদ্ভিদের ট্রপিক চলন কত প্রকার? উদাহরণ দাও।
● অক্সিন জিব্বারেলিন ও সাইটোকাইনিন হরমোনের উৎস ও কাজ লেখ।
● পিটুইটারি গ্রন্থি নিঃসৃত হরমোনের নাম ও কাজ লেখ।
● ইনসুলিন হরমোনের কাজ উল্লেখ কর।
● শুক্রাশয় ও ডিম্বাশয় নিঃসৃত হরমোনের নাম ও কাজ লেখ।
● মানুষের স্নায়ুতন্ত্রের শ্রেণি বিভাজন কর। ছবিসহ নিউরোনের গঠন উল্লেখ কর।
● মানুষের মস্তিষ্কের বিভিন্ন অংশ ছকের সাহায্যে দেখাও ও কাজ লেখ।
● মানুষের চোখের গঠন বিবৃত কর। ছবিসহ। একনেত্র ও দ্বিনেত্র দৃষ্টি কী? হাইপারমেট্রোপিয়া ও মায়োপিয়া কাকে বলে?
● মানুষের গমনে সাহায্যকারী পেশি ও অস্থির ভূমিকা লেখ।
● ক্রোমোজোমের ভৌতগঠন (ছবি) ও রাসায়নিক গঠন উল্লেখ কর।
● মাইটোসিস কোষ বিভাজনের দশাগুলি কী কী? তাদের বর্নণা দাও। ছবিসহ।
● মিয়োসিস কোষ বিভাজনের গুরুত্ব লেখ।
● উদ্ভিদের অঙ্গজ ও অযৌন জননের বিভিন্ন পধতি লেখ। উদাহরণ সহ।
● পরাগযোগ কি? মাধ্যমের ওপর নির্ভর করে পরাগযোগ কত প্রকার ও কি কি? উদাহরণ দাও।
● ফুলগাছের দ্বিনিষেক ছবিসহ ব্যাখ্যা কর।
● বৃদ্ধি ও পরিস্ফুটনের পর্যায়গুলি কী কী?
● বিজ্ঞানী মেন্ডেল’র করা এক ও দুই সংকর জননের জিনোটাইপিক ও ফিনোটাইপিক অনুপাত উল্লেখ করে সংরায়ণ দেখাও।
● মানব শিশুর লিঙ্গ নির্ধারণে ক্রোমোজোমের ভূমিকা লেখ।
● বিজ্ঞানী মেন্ডেল’র প্রস্তাবিত বৈশিষ্ট্যের উত্তরাধিকার সম্বন্ধীয় সূত্রগুলি উল্লেখ কর ও তার সীমাবধ্যতা লেখ।
● থ্যালাসেমিয়া, হিমোফিলিয়া ও বর্ণান্ধতা রোগের কারণ ও প্রতিরোধ উল্লেখ কর।
নমুনা হিসেবে এই ধরণের প্রশ্নগুলি অভ্যাস করে রাখো। এছাড়াও আরও বহু প্রশ্ন আছে যা পরীক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। সেগুলিও দেখবে। ছোট প্রশ্নের জন্য নানা ধরণের প্রশ্ন দেখে যাও। পুরনো প্রশ্ন দেখো।
তোমাদের সকলের পরীক্ষা ভালো হবে। নিজেদের কাজের ব্যাপারে দায়িত্বশীল হবে, সিরিয়াস হবে। তাহলেই দেখবে সব কাজই ভালো করে করতে পারবে। অনেক শুভকামনা জানাই।
তোমরা জানো এবারও মাধ্যমিকের জীবনবিজ্ঞান সিলেবাস কিছুটা সংক্ষিপ্ত। মোট পাঁচটি ইউনিট থেকে প্রথম তিনটি ইউনিট থাকছে, শেষ দুটি থাকছে না। জীবজগতে নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয়, জীবনের প্রবহমানতা, বংশগতি এবং কয়েকটি সাধারণ জিনগত রোগ, এই তিনটি মূল বিষয় নিয়েই এই সিলেবাস। স্বাভাবিকভাবেই প্রতিটি অধ্যায়ের পাঠ্যবিষয় ভালোভাবে পড়তে হবে। মুল বইটি প্রথমে ভালো করে পরে তারপর প্রশ্ন ও তার উত্তর অংশ অনুশীলন করতে হবে। আমি জানি, তোমরা সেভাবেই করেছ।
পরীক্ষার আগে সিলেবাসের প্রতিটি অংশকে সাজিয়ে মনে রাখা খুব দরকার। যেমন ধরো, গাছেদের হরমোন ও প্রাণিদের হরমোন অধ্যায় দুটি পাশাপাশি রেখে আমাদের ভাবতে হবে। গাছ কী কী হরমোন বের করে বলে আমরা জানতে পেরেছি, তাদের উৎস কোথায়, কী কী কাজ তারা করে, সেখান থেকেই বের করে নিতে হবে। ঠিক সেভাবেই প্রাণিদের হরমোন গ্রন্থি, হরমোনের নাম, কাজও সেভাবেই জানতে হবে। এইভাবে পড়লে লাভ হবে, কারণ তুলনামূলক প্রশ্ন, যেমন উদ্ভিদ ও প্রাণি হরমোনের পার্থক্য, ভৌত ও রাসায়নিক সমন্বয়ের তফাৎ, সহজেই বুঝতে পারা যাবে। গাছ ও প্রাণির জনন অধ্যায়টি উদাহরণসহ ছকের মত করে সাজিয়ে তৈরি করতে পারলে উপকার হবে। অবজেকটিভ প্রশ্নের উত্তর দিতে সুবিধা হবে। কোষ ও কোষ বিভাজন অধ্যায়টি থেকে কোষ অঙ্গাণু, তাদের কাজ জেনে রাখতে হবে। কোষচক্র, মাইটোসিস ও মিয়োসিস কোষ বিভাজনের দশা, উপদশা বৈশিষ্ট্য জেনে রাখো। এখানে ছবিও তৈরি করতে হবে। ক্রোমোজমের ছবি আঁকতে হবে। বৃদ্ধি ও বিকাশ অধ্যায়টি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। এখান থেকেও নানারকম প্রশ্ন আসতে পারে। বংশগতি থেকে মেন্ডেলিজম, একসংকর ও দ্বিসংকর ক্রস, সুত্র, ব্যাতিক্রম, টেস্ট ও ব্যাকক্রস জেনে রাখো। মনে রেখো এখান থেকে অনেক পার্থক্য, ডেফিনিশন ও অবজেকটিভ প্রশ্ন আসে।
প্রশ্নোত্তর অনুশীলনের জন্য যত পারবে প্রশ্ন দেখবে। সময় ধরে লেখার অভ্যাস করে যাও। লেখা পরিচ্ছন্ন ও খাতা পরিপাটি হতে হবে। এই সময়ের মধ্যে অনলাইন ক্লাস করে আমরা হয়তো টাইপিং বেশি করেছি। লেখার অভ্যাস কমেছে। লেখার অভ্যাস ফিরিয়ে আনতে হবে।
তোমাদের প্রশ্নপত্রে এমসিকিউ থাকবে ১৫টি। আর ২১টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে ১ নম্বরের জন্য। ২ নম্বরের ১২টি ও ৫ নম্বরের ৬টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়। এসব তোমরা জানো। কোন প্রশ্নের উত্তর কতটা লিখতে হব এসেটা এই সময়ে তোমরা একবার দেখে নিও। প্রশ্নের নির্দেশ মেনে উত্তর করবে। প্রশ্নের নম্বর অনুসারে ধারবাহিকতা বজায় রেখে, পরপর উত্তর লেখার চেষ্টা করবে। আগে পরে করে না লেখাই ভালো।
এবার ৫ নম্বরের জন্য সম্ভাব্য কিছু নমুনা প্রশ্ন উল্লেখ করছি, সেগুলি তৈরি করে রাখতে পারো।
নমুনা হিসেবে এই ধরণের প্রশ্নগুলি অভ্যাস করে রাখো। এছাড়াও আরও বহু প্রশ্ন আছে যা পরীক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। সেগুলিও দেখবে। ছোট প্রশ্নের জন্য নানা ধরণের প্রশ্ন দেখে যাও। পুরনো প্রশ্ন দেখো।
তোমাদের সকলের পরীক্ষা ভালো হবে। নিজেদের কাজের ব্যাপারে দায়িত্বশীল হবে, সিরিয়াস হবে। তাহলেই দেখবে সব কাজই ভালো করে করতে পারবে। অনেক শুভকামনা জানাই।