ছবি প্রতীকী, সংশ্লিষ্ট সংস্থার সৌজন্যে
শীতের হাওয়া বাঙালির হৃদয়ে আমলকীর ডালের মতোই নাচন লাগায়। সতেজ লাবণ্যময়তা নিয়ে বাঙালি হয়ে ওঠে প্রাণবন্ত। আর প্রাণবন্ততাকে উপভোগ করার জন্য বাঙালি বেরিয়ে পড়ে পাহাড়-সমুদ্রের উদ্দেশ্যে। কিন্তু অনেক সময় স্থান ও আবহাওয়া বদলের ফলে হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পড়লে মনের সাধ মিটিয়ে ঘুরতে পারায় ছেদ পড়ে। তাই ঘুরতে গিয়ে অসুস্থতা যাতে আনন্দকে মাটি করে দিতে না পারে তার জন্য প্রত্যেকের সঙ্গে থাকা দরকার কিছু দরকারি হোমিওপ্যাথি ওষুধ।
অ্যাকোনাইট ন্যাপ ৩০
ঘুরতে গিয়ে ঠান্ডা হাওয়া লেগে হঠাৎ ঠান্ডা লেগে গেলে তার থেকে রেহাই দেয় এই হোমিওপ্যাথি ওষুধটি। সারাদিনে ৩ থেকে ৪ বার ৩-৪টে দানা খাবার আগে খেলে এই ওষুধটি কার্যকরী ফল দেয়।
ব্রায়োনিয়া অ্যালবা ৩০
ঘুরতে গিয়ে ঠান্ডা গরম আবহাওয়ার জন্য হঠাৎ ঠান্ডা লেগে অসুস্থ হয়ে পড়লে সারাদিনে ব্রায়োনিয়া অ্যালবা-৩০-এর ওষুধটির ৩-৪টে দানা দিনে অন্তত ৩ থেকে ৪ বার সেবনের ফলে অচিরেই সুস্থ হয়ে ওঠা যায়।
বেলেডোনা ৩০
শীতকালে বিশেষ করে সমতল থেকে পাহাড়ে বেড়াতে গেলে প্রচণ্ড ঠান্ডা লেগে গলা ব্যথা, গলা ফুলে যাওয়া, চোখ-মুখ লাল হয়ে যাওয়া, টনসিল ফুলে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটলে বেলেডোনা ৩০ ওষুধের ৩ থেকে ৪টে দানা দিনে ৩-৪ বার সেবন করতে হবে।
আর্নিকা ৩০
বাঙালি গৃহস্থে চোট-আঘাতের প্রাথমিক চিকিৎসাই শুরু হয় আর্নিকা দিয়ে। ঘুরতে গিয়ে হঠাৎ করে পড়ে ব্যথা পেলে তৎক্ষণাৎ ব্যথা কমানোর জন্য আর্নিকা ৩০ সেবনের কোনও বিকল্প নেই। ৩-৪টে দানা সেবন করতে হয় একসঙ্গে।
ককুলাস ইন্ডিকাস
ঘুরতে গেলে ট্রেন-বাসে যাতায়াত করার সময় মোশন সিকনেসের ফলে অনেকেরই বমি বমি পায় বা বমি হয়। এই মোশন সিকনেসকে কমানোর জন্য ককুলাস ইন্ডিকাস অব্যর্থ হোমিওপ্যাথিক ওষুধ। বমি বমি ভাব বা বমি হলেই সঙ্গে সঙ্গে ৩-৪টে দানা খেয়ে নিলে মোশন সিকনেসের ফলে হওয়া বমি থেকে রেহাই পাওয়া যায়।
কোকা ৩০
যাদের হাই অলটিটিউড সিকনেস-এর সমস্যা আছে, অর্থাৎ পাহাড়ে ঘুরতে গেলে যাঁরা শ্বাসকষ্টের সমস্যায় কষ্ট পান তাঁরা কোকা ৩০-এর সাহায্য নিতেই পারেন। ৩ থেকে ৪টে দানা খেতে হবে একসঙ্গে।
ইপিক্যাক ৩০
ঘুরতে গিয়ে বদহজম জনিত সমস্যা বা গ্যাস-অম্বলের কারণে বমি হলে বিশেষ করে বাচ্চাদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা দেখা দিলে ইপিক্যাক-৩০-এর ৩-৪টে দানা যদি খাইয়ে দেওয়া যায় তাহলে খুব সহজেই উপকার মেলে।
নাক্সভম ৩০
ঘুরতে গিয়ে সব মানুষেরই যেখানে ঘুরতে যাচ্ছে সেখানকার স্থানীয় খাবার খাওয়ার একটা প্রবণতা থাকে। কোনও সময় অতিরিক্ত খেয়ে ফেললে, বা মশলাদার খাবার খাওয়া হলে, সহজে হজম না হলে বা পেট ব্যথা বা পেট পরিষ্কার না হলে নাক্সভম-৩০-এর ৩-৪টে দানা প্রয়োজন অনুযায়ী খেতে হবে যতক্ষণ না সমস্যার থেকে সমাধান মেলে।
আর্সেনিক অ্যালবাম ৩০
ঘুরতে গিয়ে পাতলা পায়খানা, ফুড পয়জিনিং বা ডাইরিয়ার মতো গুরুতর সমস্যার সম্মুখীন হন অনেকেই। বিশেষ করে পাহাড়ে ঘুরতে গেলে সমতলের মানুষদের পাহাড়ি জল পান সহ্য হয় না। তখন আর্সেনিক অ্যালবাম ৩০-র প্রয়োজন মতো ৩ থেকে ৪টে দানা সেবনে উক্ত সকল সমস্যা থেকে মুক্ত হওয়া যায়।
আর্টিকা ইউরেন্স ৩০
বিশেষ করে সমুদ্রে বেড়াতে গেলে সুস্বাদু সামুদ্রিক মাছ খেয়ে রসনা তৃপ্তির একটা ইচ্ছে কম বেশি সকলের মধ্যেই থাকে। অনেক সময় সামুদ্রিক মাছ খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সারা শরীর জুড়ে গোল-গোল আকারে ফুলে উঠে ও চুলকাতে থাকে, এটাকে অ্যালার্জি জনিত সমস্যা বলে। এরকম সমস্যার সম্মুখীন হলে হোমিওপ্যাথি ওষুধ আর্টিকা ইউরেন্স ৩০-এর ৩ থেকে ৪টে দানা সঙ্গে সঙ্গে খেয়ে নিলে
অ্যালার্জির মতো সমস্যাকে বাড়তে দেওয়া থেকে আটকানো যায়।
রাসটস্ক ৩০
ঘুরতে যাওয়ার সময় ভারী ব্যাগ বহন করতে হয় কমবেশি সকলকেই। ব্যাগ হাতে বা কাঁধে তুলতে গিয়ে অনেক সময় কোমর বা পিঠে হ্যাঁচকা টান লাগে অনেকের, আবার পাহাড়ে বেড়াতে গিয়ে উঁচুনিচু রাস্তায় হাঁটাচলা করার সময় হঠাৎ বেকায়দায় পা ফেললে পা মচকে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে প্রবল। ঠিক এই ধরনের সমস্যায় পড়লে প্রাথমিকভাবে রাসটস্ক ৩০ ওষুধের ৩-৪টে দানা প্রাথমিক চিকিৎসার কাজ করে।
ঘুরতে গিয়ে ঠান্ডা হাওয়া লেগে হঠাৎ ঠান্ডা লেগে গেলে তার থেকে রেহাই দেয় এই হোমিওপ্যাথি ওষুধটি। সারাদিনে ৩ থেকে ৪ বার ৩-৪টে দানা খাবার আগে খেলে এই ওষুধটি কার্যকরী ফল দেয়।
ঘুরতে গিয়ে ঠান্ডা গরম আবহাওয়ার জন্য হঠাৎ ঠান্ডা লেগে অসুস্থ হয়ে পড়লে সারাদিনে ব্রায়োনিয়া অ্যালবা-৩০-এর ওষুধটির ৩-৪টে দানা দিনে অন্তত ৩ থেকে ৪ বার সেবনের ফলে অচিরেই সুস্থ হয়ে ওঠা যায়।
শীতকালে বিশেষ করে সমতল থেকে পাহাড়ে বেড়াতে গেলে প্রচণ্ড ঠান্ডা লেগে গলা ব্যথা, গলা ফুলে যাওয়া, চোখ-মুখ লাল হয়ে যাওয়া, টনসিল ফুলে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটলে বেলেডোনা ৩০ ওষুধের ৩ থেকে ৪টে দানা দিনে ৩-৪ বার সেবন করতে হবে।
বাঙালি গৃহস্থে চোট-আঘাতের প্রাথমিক চিকিৎসাই শুরু হয় আর্নিকা দিয়ে। ঘুরতে গিয়ে হঠাৎ করে পড়ে ব্যথা পেলে তৎক্ষণাৎ ব্যথা কমানোর জন্য আর্নিকা ৩০ সেবনের কোনও বিকল্প নেই। ৩-৪টে দানা সেবন করতে হয় একসঙ্গে।
ঘুরতে গেলে ট্রেন-বাসে যাতায়াত করার সময় মোশন সিকনেসের ফলে অনেকেরই বমি বমি পায় বা বমি হয়। এই মোশন সিকনেসকে কমানোর জন্য ককুলাস ইন্ডিকাস অব্যর্থ হোমিওপ্যাথিক ওষুধ। বমি বমি ভাব বা বমি হলেই সঙ্গে সঙ্গে ৩-৪টে দানা খেয়ে নিলে মোশন সিকনেসের ফলে হওয়া বমি থেকে রেহাই পাওয়া যায়।
যাদের হাই অলটিটিউড সিকনেস-এর সমস্যা আছে, অর্থাৎ পাহাড়ে ঘুরতে গেলে যাঁরা শ্বাসকষ্টের সমস্যায় কষ্ট পান তাঁরা কোকা ৩০-এর সাহায্য নিতেই পারেন। ৩ থেকে ৪টে দানা খেতে হবে একসঙ্গে।
ঘুরতে গিয়ে বদহজম জনিত সমস্যা বা গ্যাস-অম্বলের কারণে বমি হলে বিশেষ করে বাচ্চাদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা দেখা দিলে ইপিক্যাক-৩০-এর ৩-৪টে দানা যদি খাইয়ে দেওয়া যায় তাহলে খুব সহজেই উপকার মেলে।
ঘুরতে গিয়ে সব মানুষেরই যেখানে ঘুরতে যাচ্ছে সেখানকার স্থানীয় খাবার খাওয়ার একটা প্রবণতা থাকে। কোনও সময় অতিরিক্ত খেয়ে ফেললে, বা মশলাদার খাবার খাওয়া হলে, সহজে হজম না হলে বা পেট ব্যথা বা পেট পরিষ্কার না হলে নাক্সভম-৩০-এর ৩-৪টে দানা প্রয়োজন অনুযায়ী খেতে হবে যতক্ষণ না সমস্যার থেকে সমাধান মেলে।
ঘুরতে গিয়ে পাতলা পায়খানা, ফুড পয়জিনিং বা ডাইরিয়ার মতো গুরুতর সমস্যার সম্মুখীন হন অনেকেই। বিশেষ করে পাহাড়ে ঘুরতে গেলে সমতলের মানুষদের পাহাড়ি জল পান সহ্য হয় না। তখন আর্সেনিক অ্যালবাম ৩০-র প্রয়োজন মতো ৩ থেকে ৪টে দানা সেবনে উক্ত সকল সমস্যা থেকে মুক্ত হওয়া যায়।
বিশেষ করে সমুদ্রে বেড়াতে গেলে সুস্বাদু সামুদ্রিক মাছ খেয়ে রসনা তৃপ্তির একটা ইচ্ছে কম বেশি সকলের মধ্যেই থাকে। অনেক সময় সামুদ্রিক মাছ খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সারা শরীর জুড়ে গোল-গোল আকারে ফুলে উঠে ও চুলকাতে থাকে, এটাকে অ্যালার্জি জনিত সমস্যা বলে। এরকম সমস্যার সম্মুখীন হলে হোমিওপ্যাথি ওষুধ আর্টিকা ইউরেন্স ৩০-এর ৩ থেকে ৪টে দানা সঙ্গে সঙ্গে খেয়ে নিলে
অ্যালার্জির মতো সমস্যাকে বাড়তে দেওয়া থেকে আটকানো যায়।
ঘুরতে যাওয়ার সময় ভারী ব্যাগ বহন করতে হয় কমবেশি সকলকেই। ব্যাগ হাতে বা কাঁধে তুলতে গিয়ে অনেক সময় কোমর বা পিঠে হ্যাঁচকা টান লাগে অনেকের, আবার পাহাড়ে বেড়াতে গিয়ে উঁচুনিচু রাস্তায় হাঁটাচলা করার সময় হঠাৎ বেকায়দায় পা ফেললে পা মচকে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে প্রবল। ঠিক এই ধরনের সমস্যায় পড়লে প্রাথমিকভাবে রাসটস্ক ৩০ ওষুধের ৩-৪টে দানা প্রাথমিক চিকিৎসার কাজ করে।
* * হোমিওপ্যাথি (Homeopathy) : ডাঃ আশিস শাসমল (Asish Sasmal), সহযোগী অধ্যাপক, পিসিএম হোমিওপ্যাথিক হসপিটাল অ্যান্ড কলেজ।