ছবি সংশ্লিষ্ট সংস্থার সৌজন্যে
বলিজগতের আকাশছোঁয়া স্বপ্নের দেশে কত তারা নিজেদের মতো করে ফুটে ওঠে। যাদের যাত্রাপথের কক্ষপথটি হয় জোরালো, তারা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে হয়ে ওঠে উজ্জ্বল থেকে উজ্জ্বলতর আর যাদের কক্ষপথে ভাগ্য মুচকি হেসে ছলনা করে তারা ম্লান হতে হতে কখন যেন হারিয়ে যায় তা বোঝাই যায় না অনেক সময়। কিন্তু অনেক তারকাই যথার্থ ‘তারকা’ হয়ে উঠতে না পারলেও তাদের অনেককেই কিন্তু দর্শক কোনও না কোনও কারণে মনে রেখে দেয়। এরকমই একজন তারকা হলেন বলি অভিনেত্রী ‘সন্দলী’ সিনহা। নাম হয়তো অনেক মানুষই ঠিক মনে করতে পারবেন না, কারণ তাকে সন্দলী নামে মানুষ চেনেন যত বেশি তার থেকে অনেক বেশি চেনেন ‘পিয়া’ নামে। হ্যাঁ, একদম ঠিক ধরেছেন কথা বলছি ‘তুম বিন’ চলচ্চিত্রের ‘পিয়া’-কে নিয়ে। ২০০১ সালে অনুভব সিনহা পরিচালিত এই ছবি বক্স অফিসে প্রায় বারো কোটি টাকার ব্যবসা করেছিল, আর কেবল বক্স অফিসেই নয়, চতুষ্কোণ প্রেমের এই জটিল বুননে সিঞ্চিত রোম্যান্টিসিজমের আখ্যান কিন্তু আলোড়ন তুলেছিল দর্শকমহলেও। সঙ্গে নিখিল বিনয়ের মিউজিক কম্পোজিশন বহু যুবকের হৃদয়েই বাস্তবিক হিল্লোল তুলেছিল আর তার সঙ্গে ‘পিয়া’র মিষ্টি হাসিকে হৃদয়ে ধারণ করে স্বপনে-জাগরণে তাদের ঠোঁটের কোণে গুনগুন করে ফিরত একটাই সুর ‘ছোটি ছোটি রাতে লম্বি হো যাতি হ্যায়’৷ প্রিয়াংশু চ্যাটার্জি, হিমাংশু মল্লিক এবং রাকেশ বাপাট-এর বিপরীতে সন্দলীর প্রথম ছবি ‘তুম বিন’-এই কিন্তু তিনি দর্শকের হৃদয়ের মণিকোঠায় স্থান দখল করতে সক্ষম হয়েছিলেন। কিন্তু কী হল তারপরে? পর্দার ‘পিয়া’ পর্দা থেকে চিরনির্বাসন নিলেন কেন? এই আখ্যান জানার আগে কিন্তু জেনে নিতে হবে সন্দলীর অভিনয়জীবনের যাত্রাটি ঠিক কেমন ছিল?
ছেলেবেলা থেকেই স্বপ্ন ছিল চিকিৎসক হবেন। বাবা ছিলেন বায়ুসেনার অফিসার, পরিবারে সকলেই হয় চিকিৎসক নয় বিমানচালক। কর্তব্যরত অবস্থাতেই কর্মক্ষেত্রে মারা যান বাবা। বাবাকে হারিয়েছিলেন অনেক ছোটবেলায়, সন্দলী এবং তার বোন বেড়ে ওঠেন তার মায়ের কাছেই। অনেক বড় বয়স পর্যন্ত চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্নকে নিজের ভেতরে পোষণ করলেও কলেজে পড়ার সময় থেকেই বদলাতে থাকে স্বপ্নের আঙ্গিক ও বিষয়বস্তু। নেহাতই শখে কয়েকবার র্যা ম্পে হাঁটা, সেখান থেকেই আগ্রহ জন্মায় মডেলিং-এর প্রতি। দিল্লির জেসাস অ্যান্ড মেরি কলেজ থেকে স্নাতক উত্তীর্ণ হয়েই আর দেরি করেননি, সোজা ভর্তি হয়ে গিয়েছিলেন নমিত কাপুরের অ্যাক্টিং স্কুলে। সেইসময়ে পরিচালক অনুভব সিনহা সোনু নিগমের ‘দিওয়ানা’ অ্যালবামের জন্য একটি নতুন আকর্ষণীয় মুখ খুঁজছিলেন, হঠাৎই অনুভবের চোখে পড়ে যান সন্দলী। সোনু নিগমের মিউজিক অ্যালবাম ‘দিওয়ানা’-তে কাজ করার পরই সরাসরি ছবিতে পদার্পণ অনুভবের হাত ধরেই। অনুভব সিনহা তার ছবি’তুম বিন’-এর কেন্দ্রীয় চরিত্রের জন্য বেছে নেন সন্দলীকেই। অনুভব যে কোনও ভুল করেননি তা তার জীবন্ত নিদর্শনই কিন্তু ছবিটিকে ঘিরে এবং ‘পিয়া’ চরিত্রটিকে ঘিরে দর্শকদের প্রতিক্রিয়া। কিন্তু প্রথম ছবির অসামান্য সাফল্য সত্ত্বেও পরে আর একটিও হিট ছবি বেরোয়নি তার ঝুলি থেকে। নিজেকে নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্য অভিনয় করেছিলেন দক্ষিণী ছবিতেও কিন্তু কোনও লাভ হয়নি সেখানেও, অথচ ততদিনে তার অভিনীত ছবি জাতীয় পুরস্কারের মতো সম্মান অর্জন করেছে, প্রশংসিত হয়েছে তার অভিনয়ও। ২০০৫ সালে শেষ ছবি করার পর তিনি সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন চলচ্চিত্র জগৎ থেকে। সেই বছরই বিয়ে করেন ব্যবসায়ী কিরণ সালসেকরকে। ঠিক এরপরই কিন্তু বাঁক বদল করে জীবনের মোড়। অচিরেই বদলে যায় সন্দলীর পরিচয়ের সংজ্ঞা। স্বামীর বেকারির ব্যবসা তুলে নেন তিনি নিজের কাঁধে, তার ঐকান্তিক পরিশ্রমের ফলস্বরূপ কান্ট্রি অফ অরিজিন এখন দেশের সবচেয়ে বড় বেকারি যার মালকিন এখন সন্দলী নিজে। এছাড়া মুম্বইয়ে তার নিজস্ব স্পা-ও রয়েছে। পনেরো বছর পরে ‘তুম বিন’ ছবির সিক্যোয়েল-এ সন্দলীকে অতিথি শিল্পীর ভূমিকায় দেখা গেলেও তিনি স্পষ্টতই জানিয়েছেন পাকাপাকিভাবে অভিনয়ে ফেরার কোনও পরিকল্পনা তার বর্তমানে নেই। গত পনেরো বছরে তিন সন্তানের মা হওয়ার পাশাপাশি তার পরিচয়ের সংজ্ঞায়নেও ঘটেছে বদল, অভিনেত্রী থেকে একজন সফল বিজনেস উওম্যান হয়ে ওঠার এই যাত্রায় অনেকটা সময় কেটে গেছে তার জীবনের, কিন্তু গ্ল্যামার জগতে বয়স যত বাড়ে গ্ল্যামারও তত বেশি প্রস্ফুটিতও হতে থাকে নাকি। তবে কি সন্দলীর এই সিদ্ধান্তের পেছনে লুকিয়ে রয়েছে কোনও প্রগাঢ় অভিমান নাকি কেকের সঙ্গে তার সখ্য এই পনেরো বছরে এতটাই গভীর হয়েছে যে সেই সখ্য থেকে এতটুকু সময়ও তিনি অন্য কোথাও ব্যয় করতে নারাজ। এই প্রশ্নের একমাত্র উত্তর দিতে পারেন অভিনেত্রী স্বয়ং, আপাতত যার কোনও সম্ভাবনা নেই, তবে আমরা এইটুকু নিশ্চিত সুন্দরী গ্ল্যামারাস বিজনেস উওম্যানের কেকপ্রীতি কিন্তু এখন জমে ক্ষীর, আর এই প্রীতি তথা অরিজিন অফ কান্ট্রির সঙ্গে তার দীর্ঘ প্রেম সহজে ভাঙবে বলে মনে হয় না।
ছেলেবেলা থেকেই স্বপ্ন ছিল চিকিৎসক হবেন। বাবা ছিলেন বায়ুসেনার অফিসার, পরিবারে সকলেই হয় চিকিৎসক নয় বিমানচালক। কর্তব্যরত অবস্থাতেই কর্মক্ষেত্রে মারা যান বাবা। বাবাকে হারিয়েছিলেন অনেক ছোটবেলায়, সন্দলী এবং তার বোন বেড়ে ওঠেন তার মায়ের কাছেই। অনেক বড় বয়স পর্যন্ত চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্নকে নিজের ভেতরে পোষণ করলেও কলেজে পড়ার সময় থেকেই বদলাতে থাকে স্বপ্নের আঙ্গিক ও বিষয়বস্তু। নেহাতই শখে কয়েকবার র্যা ম্পে হাঁটা, সেখান থেকেই আগ্রহ জন্মায় মডেলিং-এর প্রতি। দিল্লির জেসাস অ্যান্ড মেরি কলেজ থেকে স্নাতক উত্তীর্ণ হয়েই আর দেরি করেননি, সোজা ভর্তি হয়ে গিয়েছিলেন নমিত কাপুরের অ্যাক্টিং স্কুলে। সেইসময়ে পরিচালক অনুভব সিনহা সোনু নিগমের ‘দিওয়ানা’ অ্যালবামের জন্য একটি নতুন আকর্ষণীয় মুখ খুঁজছিলেন, হঠাৎই অনুভবের চোখে পড়ে যান সন্দলী। সোনু নিগমের মিউজিক অ্যালবাম ‘দিওয়ানা’-তে কাজ করার পরই সরাসরি ছবিতে পদার্পণ অনুভবের হাত ধরেই। অনুভব সিনহা তার ছবি’তুম বিন’-এর কেন্দ্রীয় চরিত্রের জন্য বেছে নেন সন্দলীকেই। অনুভব যে কোনও ভুল করেননি তা তার জীবন্ত নিদর্শনই কিন্তু ছবিটিকে ঘিরে এবং ‘পিয়া’ চরিত্রটিকে ঘিরে দর্শকদের প্রতিক্রিয়া। কিন্তু প্রথম ছবির অসামান্য সাফল্য সত্ত্বেও পরে আর একটিও হিট ছবি বেরোয়নি তার ঝুলি থেকে। নিজেকে নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্য অভিনয় করেছিলেন দক্ষিণী ছবিতেও কিন্তু কোনও লাভ হয়নি সেখানেও, অথচ ততদিনে তার অভিনীত ছবি জাতীয় পুরস্কারের মতো সম্মান অর্জন করেছে, প্রশংসিত হয়েছে তার অভিনয়ও। ২০০৫ সালে শেষ ছবি করার পর তিনি সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন চলচ্চিত্র জগৎ থেকে। সেই বছরই বিয়ে করেন ব্যবসায়ী কিরণ সালসেকরকে। ঠিক এরপরই কিন্তু বাঁক বদল করে জীবনের মোড়। অচিরেই বদলে যায় সন্দলীর পরিচয়ের সংজ্ঞা। স্বামীর বেকারির ব্যবসা তুলে নেন তিনি নিজের কাঁধে, তার ঐকান্তিক পরিশ্রমের ফলস্বরূপ কান্ট্রি অফ অরিজিন এখন দেশের সবচেয়ে বড় বেকারি যার মালকিন এখন সন্দলী নিজে। এছাড়া মুম্বইয়ে তার নিজস্ব স্পা-ও রয়েছে। পনেরো বছর পরে ‘তুম বিন’ ছবির সিক্যোয়েল-এ সন্দলীকে অতিথি শিল্পীর ভূমিকায় দেখা গেলেও তিনি স্পষ্টতই জানিয়েছেন পাকাপাকিভাবে অভিনয়ে ফেরার কোনও পরিকল্পনা তার বর্তমানে নেই। গত পনেরো বছরে তিন সন্তানের মা হওয়ার পাশাপাশি তার পরিচয়ের সংজ্ঞায়নেও ঘটেছে বদল, অভিনেত্রী থেকে একজন সফল বিজনেস উওম্যান হয়ে ওঠার এই যাত্রায় অনেকটা সময় কেটে গেছে তার জীবনের, কিন্তু গ্ল্যামার জগতে বয়স যত বাড়ে গ্ল্যামারও তত বেশি প্রস্ফুটিতও হতে থাকে নাকি। তবে কি সন্দলীর এই সিদ্ধান্তের পেছনে লুকিয়ে রয়েছে কোনও প্রগাঢ় অভিমান নাকি কেকের সঙ্গে তার সখ্য এই পনেরো বছরে এতটাই গভীর হয়েছে যে সেই সখ্য থেকে এতটুকু সময়ও তিনি অন্য কোথাও ব্যয় করতে নারাজ। এই প্রশ্নের একমাত্র উত্তর দিতে পারেন অভিনেত্রী স্বয়ং, আপাতত যার কোনও সম্ভাবনা নেই, তবে আমরা এইটুকু নিশ্চিত সুন্দরী গ্ল্যামারাস বিজনেস উওম্যানের কেকপ্রীতি কিন্তু এখন জমে ক্ষীর, আর এই প্রীতি তথা অরিজিন অফ কান্ট্রির সঙ্গে তার দীর্ঘ প্রেম সহজে ভাঙবে বলে মনে হয় না।